1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন

ইতিহাসে জুলাই ১৮ -বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী আনোয়ারুল হক এর জন্মদিন

  • সময় রবিবার, ১৮ জুলাই, ২০২১
  • ১২৬৮ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী আনোয়ারুল হক এর জন্মদিন

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৯৯তম (অধিবর্ষে ২০০তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৯৬৬ : মহাকাশযান জেমিনি ১০ উৎক্ষেপন করা হয়।
১৯৭৬ : গ্রীস্মকালীন অলিম্পিক গেমসের ইতিহাসে রুমানিয়ার জিমন্যাস্ট নাদিয়া কোমিনিচি প্রথমবারের মতো পারফেক্ট ১০ স্কোর করেন।
১৯৭৬ : মন্ট্রিলে ২১তম অলিম্পিকের উদ্বোধন হয়।

জন্ম

১৬৩৫ : রবার্ট হুক, ইংরেজ বিজ্ঞানী।
১৮৬১ : কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতে তথা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম মহিলা চিকিৎসক।
১৯০২ : মেজর সত্য গুপ্ত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সমাজসেবী।
১৯০৯ : বিষ্ণু দে, বাঙালি কবি, লেখক ও চলচ্চিত্র সমালোচক।
১৯১৮ : আনোয়ারুল হক, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯১৮ : নেলসন ম্যান্ডেলা, দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা ও রাষ্ট্রপতি, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।
১৯২৭ : মেহদী হাসান, পাকিস্তানি গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী।

মৃত্যু

১৯১৮ : প্রথম ভারতীয় (বাঙালি) বিমানচালক ইন্দ্রলাল রায়, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।
২০০৫ : বাংলাদেশি অভিনেতা ও পরিচালক রহমান

আনোয়ারুল হক

আনোয়ারুল হক ছিলেন বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান সরকারি আর্ট ইন্সটিটিউট (বর্তমানে চারুকলা ইন্সিটিটিউট) গড়ে তোলার পেছনে তার ভূমিকা ছিল। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন এবং শিক্ষক হিসেবে সুনাম অর্জন করেন। ১৯৪৫ সালে সর্বভারতীয় শিল্পকলা প্রতিযোগিতায় তিনি ‘জল রঙ চিত্রে’ শ্রেষ্ঠ শিল্পীর সম্মান লাভ করেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই আফ্রিকার উগান্ডায়। সেখানে বাবা-মায়ের সঙ্গে তার শৈশব অতিবাহিত হয়। আট বছর বয়সে তিনি কলকাতায় যান এবং ১৯৩৫ সালে কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন। তৎকালীন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ছবি আঁকা ছিল এক রকম নিষিদ্ধ কাজ। আনোয়ারুল হকের অভিভাবকরাও তার ছবি আঁকা শেখাকে ভালো নজরে দেখতেন না। কিন্তু অদম্য উৎসাহে সব বাধা অতিক্রম তিনি আর্ট স্কুলের ছয় বছরের কোর্স সমাপ্ত করেন। ১৯৪১ সালে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। আর্ট স্কুলের ৬০জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ মাত্র ১১জনের মধ্যে তিনি ছিলেন একজন। পরে তিনি আর্ট স্কুল থেকে ‘টিচারশিপ’ কোর্স শেষ করে কিছুদিন স্বাধীনভাবে চিত্রকলা চর্চা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি ড্রইং শিক্ষক হিসেবে ফরিদপুর জিলা স্কুলে যোগ দেন। পরে হাওড়া জিলা স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেন। এর কিছুদিন পর কলকাতা আর্ট স্কুলে বাণিজ্যিক শিল্পকলা বিভাগে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর চট্টগ্রামের নর্মাল স্কুলে ড্রইং শিক্ষক পদে যোগ দেন।

আনোয়ারুল হক ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালে। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শফিউদ্দিন আহমেদ, কামরুল হাসান প্রমুখের সম্মিলিত চেষ্টায় ঢাকায় গড়ে তোলেন শিল্প-শিক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘পূর্ব-পাকিস্তান সরকারি আর্ট ইনস্টিটিউট’ (বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট)। ওই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রমের শুরু থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতা করেন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের বিদেশ ভ্রমণের সময় এবং তার অবসর গ্রহণের কয়েক বছর পর আনোয়ারুল হক আর্ট ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে তিনি আদর্শ শিল্পী তৈরিতে, চারুকলার পাঠ্যসূচি প্রণয়নে এবং আর্ট ইনস্টিটিউটের সব রকম উন্নয়ন কাজে নিজেকে নিরন্তর নিয়োজিত রেখেছেন। বাংলাদেশের সমকালীন বেশির ভাগ প্রথিতযশা শিল্পীই তার ছাত্র।

জলরং ও তেলরং উভয় মাধ্যমকে তিনি চিত্রকর্ম সৃষ্টিতে ব্যবহার করেছেন। তার বেশসংখ্যক চিত্রকর্ম রয়েছে। প্রথম দিকে বাস্তবধর্মী চিত্রকর্ম সৃষ্টিতে বিশেষ করে জলরং এবং ষাটের দশকের পর প্রকৃতি নির্ভর চিত্রকর্মে তেলরং-এ নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিত্র নির্মাণ করেন। পরাবাস্তবধর্মী ছবি আঁকায় তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন। জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গভবন, দিল্লি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, পাকিস্তান আর্ট কাউন্সিল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে তার উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম রয়েছে।

১৯৮১ সালের ১৮ নভেম্বর রাজধানী ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com