১৯০৩ : রাইট ভ্রাতৃদ্বয় প্রথম উড়োজাহাজে উড্ডয়ন করেন।
১৯৩১ : প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ কলকাতায় ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।
১৮৯২ : বঙ্কিমচন্দ্র সেন, ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক।
১৯০২ : মালতী ঘোষাল, ভারতীয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।
১৯২০ : কেনেথ আইভার্সন, টুরিং পুরস্কার বিজয়ী কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৩৬ : দেবেশ রায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৩৮ : প্রখ্যাত বাঙালি লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৬১ : শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক গোলাম মাকসুদ হিলালী।
দেবেশ রায় ছিলেন একজন আন্তর্জাতিক বাঙালি ভারতীয় সাহিত্যিক। তিস্তাপারের বৃত্তান্ত উপন্যাসটির জন্যে তিনি ১৯৯০ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাহিত্য সম্মান সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত হন। বাংলা সাহিত্যে তিনি একজন ছকভাঙা আধুনিক ঔপন্যাসিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলায়, অধুনা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পাবনা জেলার বাগমারা গ্রামে। বাবা ক্ষিতীশ রায় এবং মায়ের নাম অপর্ণা রায়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে পরিবারের সবাই জলপাইগুড়ি চলে যান। ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৮৯ এক দশক তিনি পরিচয় পত্রিকা সম্পাদনা করেন। বেড়ে উঠেছেন উত্তরবঙ্গে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সময় প্রত্যক্ষ বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। রাজনীতির সূত্রে শিখেছিলেন রাজবংশী ভাষা। কলকাতা শহরেও ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
তিনি সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সে একজন গবেষণা সহকর্মী ছিলেন। তার প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে জলার্ক পত্রিকায়। তার প্রথম উপন্যাস যযাতি। তার অর্ধ শতকের বেশি সাহিত্য জীবনে উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো: যযাতি, আপাতত শান্তিকল্যাণ হয়ে আছে, মানুষ খুন করে কেন (১৯৭৬), মফস্বলী বৃত্তান্ত (১৯৮০), সময় অসময়ের বৃত্তান্ত (১৯৯৩), তিস্তা পারের বৃত্তান্ত (১৯৮৮), তিস্তা পূরাণ, প্রতিবেদন, ইতিহাসের লোকজন, বরিশালের যোগেন মন্ডল, ইউসুফ জুলেখা, সাংবিধানিক এজলাস (২০১৯), লগন গান্ধার (১৯৯৫), দেবেশ রায়ের কর্ম এবং জীবনের অনুপ্রেরণার উৎস ছিল উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের তিস্তা নদী কেন্দ্রিক রাজবংশী সম্প্রদায়।
তিনি ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে তার তিস্তা পারের বৃত্তান্ত উপন্যাসের জন্যে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি ভাষা সাহিত্য পরিষদ দ্বারা এবং ভুয়ালকা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন। তার অনুুবাদ রোমিয়ো জুুুলিয়েট, ট্র্রয়ের মেয়েরা। প্রধান প্রবন্ধের বই- আঠার শতকের বাংলা গদ্য ও উপনিবেশের সমাজ ও বাংলা সাংবাদিক গদ্য, বিপরীতের বাস্তব ও রবীন্দ্রনাথের গল্প, উপন্যাস নিয়ে, উপন্যাসের নতুন ধরনের খোঁজে, ব্যক্তিপুরুষেরা, রবীন্দ্রনাথ ও তার আদিগদ্য, উপন্যাসের বিবিধ সংকট। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ‘সেতুবন্ধন’ পত্রিকা সম্পাদনার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।
২০২০ সালের ১৪ মে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত