১৯৫৩ : দৈনিক ইত্তেফাকের প্রথম প্রকাশ।
১৮৮১ : জুয়ান রামন জিমানাস, নোবেলজয়ী স্প্যানিশ কবি।
১৮৯০ : ডা. রফিউদ্দিন আহমেদ, ভারতে প্রথম ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৯১ : প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ, ভারতীয় রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।
১৯২৪ : মোহাম্মদ রফি, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫২ : আলাউদ্দিন আলী, আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৫২৪ : পর্তুগীজ নাবিক ও পর্যটক ভাস্কো-দা-গামা।
১৯৪৩ : বিখ্যাত বাঙালি গীতিকার অজয় ভট্টাচার্য।
২০১৮ : প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়।
আলাউদ্দিন আলী ছিলেন বাংলাদেশি একজন সুরকার, বেহালাবাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার এবং সঙ্গীত পরিচালক। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান তৈরি করেছেন। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তিনি সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে। বাবা ওস্তাদ জাদব আলী। মায়ের নাম জোহরা খাতুন। দেড় বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে চলে আসেন আলাউদ্দীন আলী। তিন ভাই ও দুই বোনের সঙ্গে সেই কলোনিতেই বড় হন এই গুণী শিল্পী।
সংগীতে প্রথম হাতেখড়ি ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে। পরে ১৯৬৮ সালে বাদ্যযন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজগতে পা রাখেন। শুরুটা শহীদ আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে, পরে প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজের সঙ্গে কাজ করেন দীর্ঘদিন।
লোকজ ও ধ্রুপদী গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা আলাউদ্দীন আলীর সুরের নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে এক আলাদা ঢং হয়ে উঠেছে প্রায় চার দশক ধরে। বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বহু স্বনামধন্য শিল্পী তার সুরে গান করে নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। তার সুরারোপিত গানের মধ্যে ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসত’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়’, ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’, ‘সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়’, ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’, ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৯), ‘সুন্দরী’ (১৯৮০), ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্যে তিনি ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন।
কর্ম মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। কর্ম মানুষকে পরিণত করে কিংবদন্তিতে। তেমনই কিংবদন্তি বাংলাদেশের সংগীতের অঘোষিত এই মহারাজ আলাউদ্দিন আলী ২০২০ সালের ৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত