১৯৯৬ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে মানবতাবিরোধী কালাকানুন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়।
১৭৪৬ : জ্যাকুইস চার্লস, ফরাসি উদ্ভাবক, বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও বেলুন বিশেষজ্ঞ।
১৮১৭ : বাহাউল্লা নামে পরিচিত আধ্যাত্মিক নেতা মির্জা হুসায়েইন আলী নুরি। যিনি বাহাই বিশ্বাসের জনক।
১৮৪০ : ওগুস্ত রদ্যাঁ, আধুনিক যুগের একজন বিখ্যাত ফরাসি ভাস্কর।
১৮৪২ : জন উইলিয়াম স্ট্রাট, তৃতীয় ব্যারন রেলি, নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৮৯৬ : সালিম আলী, বিখ্যাত ভারতীয় পক্ষীবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী।
১৯২৭ : দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী, রবীন্দ্র সংগীতে অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী (২০১০)।
১৯৩১ : গ্রেগরি হেমিংওয়ে, মার্কিন চিকিৎসক ও স্মৃতিকথাকার।
১৯৩৮ : বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশি কবি।
১৯২৯ : কাশিমবাজারের মহারাজা ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব স্যার মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী।
১৯৪৬ : ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ মদনমোহন মালব্য।
১৯৬৯ : বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং লেখক অজিতকুমার গুহ।
২০১৮ : মার্কিন কমিক বই লেখক, সম্পাদক, প্রযোজক ও প্রকাশক স্ট্যান লি।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস
বেলাল চৌধুরী ছিলেন বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙালি কবি; যাকে ষাট দশকের সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়। একাধারে সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক হিসেবেও তিনি খ্যাতিমান। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের ফেনী জেলার ফেনী সদর উপজেলার অন্তর্গত শর্শদি গ্রামে। বাবা রফিকউদ্দিন আহমাদ চৌধুরী ও মা মুনীর আখতার খাতুন চৌধুরানী।
বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি কারাবরণও করেন। ষাট ও সত্তরের দশকে কলকাতায় বসবাসের সময় সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ সম্পাদনায় যুক্ত হন। পরবর্তীতে পল্লীবার্তা, সচিত্র সন্ধানী ও ভারত বিচিত্রা পত্রিকার সম্পাদনায় যুক্ত হন। তিনি দীর্ঘকাল ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক প্রকাশিত ভারত বিচিত্রা পত্রিকাটির সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কবিতা, গদ্য, অনুবাদ, সম্পাদনা, শিশুসাহিত্য মিলিয়ে বেলাল চৌধুরীর গ্রন্থ সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। ‘বল্লাল সেন’, ‘ময়ূর বাহন’, ‘সবু্ক্তগীন’ ছদ্মনামেও তিনি লিখেছেন।
উল্লেখযোগ্য কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে- বত্রিশ নম্বর, মৃত্যুর কড়ানাড়া, আমার কলকাতা, নিরুদ্দেশ হাওয়ায় হাওয়ায়, জীবনের আশ্চর্য ফাল্গুন, যাওয়ার আগে আরেক চুমুক, সেলাই করা ছায়া, যে ধ্বনি চৈত্রে, শিমুলে ইত্যাদি।
কিডনিজনিত সমস্যার কারণে ২০১৭ সালের আগস্টে বেলাল চৌধুরী হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকেই শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হতে থাকে। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল তিনি ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মারা যান। গ্রামের বাড়িতে ছায়া সুনিবিড় এক দিঘির পাড়ে অন্যান্য আপনজনদের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য