বাংলাদেশি লেখক, গবেষক নরেন বিশ্বাস জন্মগ্রহণ করেন।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩২০তম (অধিবর্ষে ৩২১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৪৬ : বিশ্বে প্রথমবারের মতো কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত সৃষ্টি করা হয়।
১৮৯০ : হেমেন্দ্রনাথ ঘোষ, ভারতে প্রথম সিরাম ভ্যাকসিন ও পেনিসিলিন প্রস্তুতকারক বিশিষ্ট ভেষজ বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।
১৯২০ : সৌরীন্দ্র মিত্র, ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র গবেষক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৩০ : মিহির সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি সন্তরণবিদ, প্রথম ভারতীয় হিসেবে ১৯৫৮ সালে ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন।
১৯৪৫ : নরেন বিশ্বাস, গবেষক ও লেখক।
১৮১২ : ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা জন ওয়ালটার।
২০১২ : বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অভিনেতা সুভাষ দত্ত।
আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস
পুরো নাম নরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। তিনি একজন বাংলাদেশি লেখক, গবেষক, আবৃত্তিশিল্পী এবং মুক্তিযোদ্ধা। আবৃত্তি চর্চায় তার নিপুণতা এবং বিভিন্ন গবেষণামূলক বই লেখার জন্যে তিনি বাকশিল্পাচার্য হিসেবেও পরিচিত।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৫ সালের ১৬ নভেম্বর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মাঝিগাতি গ্রামে। বাবা নগেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও মা হরিদাসী বিশ্বাস।
কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি মিড হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক ও রামদিয়া শ্রীকৃষ্ণ কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স এবং ১৯৬৬ সালে মাস্টার্স পাশ করেন।
নরেন বিশ্বাস ১৯৬৬-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত মাদারীপুর নাজিমউদ্দিন কলেজে অধ্যাপনা করেন এবং ১৯৭৬ সাল থেকে আমৃত্যু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নরেন বিশ্বাস কলকাতায় চলে যান। তার ভাই নীতিশ বিশ্বাস ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিভিন্ন নাটক, জীবন্তিকা ও নকশায় অংশগ্রহণ করেন। নাটক, আবৃত্তি, উচ্চারণ, কথন প্রভৃতি শিল্প-কর্মসাধনার কারণে তিনি খ্যাতি লাভ করেন।
বাংলা ভাষার শুদ্ধ উচ্চারণ শিক্ষার জন্যে তিনি বাংলা উচ্চারণ অভিধান নামে একটি বই লেখেন। কাব্যের ব্যাকরণ হিসেবে রচনা করেন কাব্যতত্ত্ব অণ্বেষা ও অলংকার অণ্বেষা নামে দুটি বই। উচ্চারণ ও আবৃত্তি চর্চার জন্যে কণ্ঠশীলন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার লেখা অন্যান্য বইগুলো হলো- প্রসঙ্গ বাংলা ভাষা, বাংলা উচ্চারণ সূত্র, নিহত কুশীলব, রৌদ্রদিন, ক্রুশবিদ্ধ যিশু, তমসীর ফাঁসি ইত্যাদি।
নরেন বিশ্বাস স্মরণে ১৯৯৯ সাল থেকে আবৃত্তি সংগঠন কণ্ঠশীলন ‘নরেন বিশ্বাস পদক’ চালু করে। গাজী মাহতাব হাসান অলাতচক্র চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কলকাতায় আশ্রিত থাকা নরেন বিশ্বাসের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
নরেন বিশ্বাস ১৯৯৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।