কবি নাজমুল হক নজীর মৃত্যুবরন করেন।
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩২৭তম (অধিবর্ষে ৩২৮তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯২২ : রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৩৬ : লাইফ ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
১৭৬০ : ফ্রাঞ্চইস-নয়েল বাবেউফ, ফরাসি সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।
১৮০৪ : ফ্রাংক্লিন পিয়ের্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি।
১৮৬০ : ইয়ালমার ব্রান্তিং, নোবেলজয়ী সুইডিশ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১৬ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩০ : গীতা দত্ত, একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫০ : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, বাঙালি লেখক, ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ।
১৮৮৩ : বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্র (ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর)।
১৯৩৭ : বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
২০০৩ : প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাস।
২০১৫ঃ কবি নাজমুল হক নজীর মৃত্যুবরন করেন ।
“আমি হারালেও জানবে হারায়নি আমার কবিতা ” নিজের কবিতার বিষয়ে এমন আত্নপ্রত্যয়ী আশাবাদ ব্যক্ত করা
কবি নাজমুল হক নজীর।
১৯৫৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর তিনি ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার শিয়ালদী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
শ্লোগানের কবি নাজমুল হক নজীর সত্তর দশকের শক্তিমান কবি। কবিতার শব্দচয়ণে স্বতন্ত্র, সারল্যের ও জীবন দর্শনের অপূর্ব সমন্বয় করেছেন এই কবি। বরেণ্য এই কবি ও সাংবাদিকের ৬ষ্ঠ প্রয়াণ বার্ষিকী ২৩ নভেম্বর,আজকের এইদিনে ২০১৫ সালের রাজধানী ঢাকাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করে পাড়ি জামান অনন্তের পথে।
“স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর-পরবর্তী পট পরিবর্তনে আশাহত কবি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে তার কলম চালিয়েছেন নিরন্তর। গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণের আকাঙ্ক্ষায় তিনি ছিলেন কলমযোদ্ধা।
কবি’র ৯টি কাব্যগ্রন্থ, ৩টি ছড়া, ১টি ইতিহাস গ্রন্থ, ১টি সম্পাদিত গ্রন্থ, নির্বাচিত কবিতা ও কবিতা সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ নোনা জলের বাসিন্দা, স্বৈরণী স্বদেশ, স্বপ্নবাড়ি অবিরাম।
সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্যে মতুয়া মতবাদে অনুসারীগণের জন্য কবি বেশকিছু গান লিখেছেন।
কবি’র লেখা
আয়নায় আপন অবয়ব, নোনা জলের বাসিন্দা, ভোর হতে আর কতোক্ষণ, প্রেমের দাবিতে বলছি বাঙালির ছাড়পত্র অনন্যার জন্য গীতি কাব্য কবিতাগুলো আজও পাঠককে আন্দোলিত করে ।
কবি’র সবচেয়ে আলোচিত কাব্যগ্রন্থ “নোনা জলের বাসিন্দা”।
এছাড়া “স্বৈরিণী স্বদেশ”, “কালো জোছনার এক চুমুক”, “কার কাছে বলে যাই”, “ঘুরে দাঁড়াই স্বপ্ন পুরুষ”, “স্বপ্ন বাড়ি অবিরাম”, “এভাবে অবাধ্য রঙিন”, “ভিটেমাটি স্বরগ্রাম”, “বকুল ভেজা পথঘাট ” প্রভৃতি তাঁর কাব্যগ্রন্থ।
“সাধনার ফসল”, “আবার শ্লোগান”, “ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম”কবি’র ছড়ার বই।
সম্পাদিত গ্রন্থ- গাজী খোরশেদুজ্জামানের
কিশোর কবিতা
ফরিদপুর অঞ্চলের ইতিহাস বিষয়ক গবেষণা
গ্রন্থ-“আমাদের ফরিদপুর-১ অঞ্চল”।
সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। এর মধ্যে রয়েছে রাহিলা সাহিত্য পুরস্কার, নজরুল পদক, কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার, কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস স্মৃতি পদক,
শ্রী হরিদর্শন পুরস্কার, আমীর প্রকাশন সাহিত্য পুরস্কার, গীতিকার ক্লাব সম্মাননা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সম্মাননা, মেরিট অব ডিএক্স পুরস্কার, নির্ণয় কবি বাবু ফরিদী স্মৃতি পদক, মির্জা আবুল হোসেন পদক,ও পাঠক আন্দোলন বাংলাদেশ সাহিত্য পুরস্কর প্রভৃতি।
সূত্র: কবির আহমেদ লিঞ্জু