১৯৪৫ : কলাম্বিয়া জাতিসংঘে যোগদান করে।
১৮৫৪ : পল সাবাইটিয়ার, নোবেল পুরস্কারজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ।
১৮৭০ : চিত্তরঞ্জন দাশ, বাঙালি আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
১৮৮৫ : উইল ডুরান্ট, আমেরিকান ইতিহাসবিদ, দার্শনিক ও লেখক।
১৮৮৭ : বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়, স্বদেশী আন্দোলনের প্রথম যুগের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা ও বিপ্লবী।
১৮৮৮ : আশুতোষ চৌধুরী, লোকগীতি সংগ্রাহক ও কবি।
১৯১৮ : বাণী রায়, বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।
১৯২০ : ডগলাস নর্থ, নোবেল পুরস্কারজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৪৮ : উইলিয়াম ড্যানিয়েল ফিলিপ্স, নোবেল পুরস্কারজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও অধ্যাপক।
১৯৪৪ : নোবেল পুরস্কারবিজয়ী ফরাসি সার্জন ও জীববিজ্ঞানী আলেক্সিস কারেল।
১৯৭৫ : নোবেলজয়ী আমেরিকান জেনেটিসিস্ট ও অধ্যাপক এডওয়ার্ড লাউরি টাটম।
২০১১ : স্বনামধন্য ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী ভূপেন হাজারিকা।
২০১২ : কিংবদন্তি বাঙালি যাত্রাশিল্পী যাত্রাসম্রাট শান্তিগোপাল পাল।
আশুতোষ চৌধুরী ছিলেন বাঙালি কবি ও লোকগীতি সংগ্রাহক। স্বভাবকবি ও গীতিকার হিসেবেও আশুতোষের খ্যাতি ছিল। চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে তিনি বহু বিচিত্র ও মর্মস্পর্শী পালাগান সংগ্রহ করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৮ সালের ৫ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার কবুরখীল গ্রামে। বাবা কৈলাসচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।
চট্টগ্রাম থেকে এন্ট্রান্স ও মোক্তারি পাস করে জেলা আদালতে যোগদান করেন আশুতোষ। পরে শিক্ষকতা পেশা গ্রহণ করে তিনি বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করেন। সে সময় তার রচিত ‘ছেলেদের চট্টলভূমি’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ পড়ে রায়বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেন মুগ্ধ হন। তারই আগ্রহে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২৫ সালে আশুতোষ চৌধুরীকে লোকগীতি সংগ্রাহক নিযুক্ত করে।
চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে তিনি বহু বিচিত্র ও মর্মস্পর্শী পালাগান সংগ্রহ করেন। তার সংগৃহীত পালাগানগুলোর মধ্যে: নিজাম ডাকাতের পালা, কাফন চোরা, ভেলুয়া, হাতী খেদার গান, কমল সদাগরের পালা, সুজা তনয়ার বিলাপ, নছর মালুম, নুরুন্নেহা ও কবরের কথা, পরীবানুর হাঁইলা, দেওয়ান মনুহর ও মজুনা ইত্যাদি। এসব পালাগান দীনেশচন্দ্র সেন সম্পাদিত পূর্ববঙ্গ-গীতিকায় সংকলিত হয়েছে।
‘গীতিকা’ নামে আশুতোষের একটি গানের সংকলন রয়েছে। আদম আশক (কাহিনীকাব্য), ব্যথার বাণী ও স্বপ্নের জয় (গাথাকাব্য) তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। তিনি চট্টগ্রামী ভাষা ও সংস্কৃতি নামে একটি অভিধানও প্রণয়ন করেন। ওহীদুল আলমের সঙ্গে যুগ্মভাবে তিনি কিছুদিন পূরবী (১৯৩৬) নামে একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
আশুতোষ চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ২৭ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত