গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৬২তম (অধিবর্ষে ৬৩তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা,বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৭১ : ঢাকা শহরের পল্টন ময়দানে বিশাল জনসভায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রস্তাবিত জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র প্রচার।
১৯৭২ : বাংলাদেশ রাইফেলস প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭৬ : বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকার ‘বাংলাদেশি’ জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন।
১৯৭৮ : জাতীয় স্মৃতিসৌধের নকশা অনুমোদন।
২০০৫ : রাজধানীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ যানজট নিরসনের অংশ হিসেবে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সদরঘাট আশুলিয়া নৌপথ উদ্বোধন।
১৮৪৭ : আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল,স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।
১৯৫০ : শেখ সাদী খান,বাংলাদেশি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৯৬৫ : বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিল্পকলা বিশারদ শাহেদ সোহরাওয়ার্দী, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বড় ভাই।
১৯৯২ : সুকুমার সেন,শিক্ষাবিদ,ভাষাবিদ ও গবেষক।
২০২০ : শুদ্ধানন্দ মহাথের,বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বৌদ্ধ ধর্মীয় পণ্ডিত।
সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাংঘিক ব্যক্তিত্ব। প্রয়াত বিশুদ্ধানন্দ মহাথের’র একজন স্বনামধন্য শিষ্য। তিনি ঢাকা কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পাদুয়ায় এক সম্ভ্রান্ত বৌদ্ধ পরিবারে। বাবার নাম বংঘ চন্দ্র বড়ুয়া এবং মা রেবতী বালা বড়ুয়া।
তিনি বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি এবং বিশ্ব বৌদ্ধ ভ্রাতৃত্ব সংঘের সহ-সভাপতি ছিলেন। সমাজসেবায় অবদানের জন্যে বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১২ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ মহাথের জীবদ্দশায় অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণ পদক,বাংলা একাডেমির ফেলো, মহত্মা গান্ধী শান্তি পদক,সমাজসেবায় একুশে পদক,ভারতের শান্তি স্বর্ণ পদকসহ দেশ-বিদেশে অনেক সম্মাননা লাভ করেন।
শুদ্ধানন্দ মহাথের ২০২০ সালের ৩ মার্চ রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন সম্প্রীতির মানুষ।
সূত্র : সংগৃহীত