১৮৬৫ : আটলান্টা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯৩ : নিউজিল্যান্ড প্রথমবারের মতো নারীদের ভোটাধিকার দেয়।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বুর্কিনা ফাসো (আপার ভোল্টা)।
১৯০৩ : অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, কল্লোল যুগের বিশিষ্ট বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক।
১৯১১ : উইলিয়াম গোল্ডিং, নোবেলজয়ী ইংরেজ কথাসাহিত্যিক।
১৯২১ : বিমল কর, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক।
১৯২৪ : সুচিত্রা মিত্র, রবীন্দ্র সঙ্গীতের অগ্রগণ্য গায়িকা ও বিশেষজ্ঞ, প্রথিতযশা ও স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী।
১৯৩৪ : সুধীর চক্রবর্তী, বাঙালি অধ্যাপক, লেখক, সঙ্গীত-গবেষক এবং লোকসংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ।
১৮৮১ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিংশতম রাষ্ট্রপতি জেমস গারফিল্ড।
১৯৮৭ : লোকগীতি সংগ্রাহক ও সম্পাদক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন।
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশ লোকসঙ্গীত, লোকসাহিত্য সংগ্রাহক ও লোকসাহিত্যবিশারদ, শিক্ষাবিদ। তার অমর কীর্তি ১০ খণ্ডের ‘হারামণি’। সাহিত্যে অবদানের জন্যে তিনি ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার এবং শিক্ষায় অবদানের জন্যে ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯০৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পাবনার সুজানগর থানার মুরারীপুর গ্রামে। বাবা জয়ধর আলী মণ্ডল। কৃষক পরিবারের সন্তান মনসুরউদ্দীন স্থানীয় খলিলপুর উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স পাস করে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে আইএসসি ও রাজশাহী সরকারি কলেজে বিএ পড়েন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। এরপর তিনি যোগ দেন স্কুল সাব-ইন্সপেক্টর পদে। পরে ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, হাওড়া জিলা স্কুলসহ আরো দুটি কলেজে শিক্ষকতা করেন।
১৯৫২ সালে ছয় মাস তিনি ‘মাহে নও’ মাসিক পত্রের সম্পাদক ছিলেন। তিনি লন্ডনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ‘বেঙ্গলি ফোকলোর’ প্রবন্ধ পাঠ করে প্রশংসিত হন এবং তাকে আন্তর্জাতিক ফোকলোর কাউন্সিলের সদস্য করা হয়।
লন্ডন থেকে ফিরে তিনি ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৯ সালে অবসর নেন। মাঝে বেশ কিছুদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন।
পদ্মার চরাঞ্চল ও পাবনা-ফরিদপুর-কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তিনি লোকসাহিত্যের উপাদান সংগ্রহ করেছেন। হারামনি ছাড়াও তার অন্যান্য গ্রন্থগুলো হলো : ‘শিরণী’, ‘ধানের ‘আগরবাতী’, ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলিম সাধনা’ (তিন খণ্ড) ও ‘ইরানের কবি’ (১৯৬৮) ইত্যাদি।
মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিটসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হন।
১৯৮৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত