গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৬৪ তম (অধিবর্ষে ২৬৫ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৬৪ : যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মাল্টা।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্যারাগুয়ের স্বীকৃতি।
১৯৯১ : সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা পায় আর্মেনিয়া।
১৮৯৮ : তুষারকান্তি ঘোষ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি সাংবাদিক।
১৯১৯ : ফজলুর রহমান মালিক, ইসলামের অন্যতম পরিচিত বিদ্বান ব্যক্তি।
১৯২৬ : নূরজাহান, পাকিস্তানের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী।
১৯৪৭ : স্টিফেন কিং, মার্কিন লেখক।
১৮৩২ : স্কটল্যান্ডের বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা এবং কবি ওয়াল্টার স্কট।
১৯৪৪ : বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী গোপাল সেন।
তুষারকান্তি ঘোষ ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় বাঙালি সাংবাদিক, ঔপন্যাসিক, শিশুসাহিত্যিক ও লেখক। ষাট বৎসরের বেশি সময় ধরে আমৃত্যু কলকাতার ইংরেজি দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বিশ্বের প্রখ্যাত সাংবাদিকতার সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট’ এবং ‘কমনওয়েলথ প্রেস ইউনিয়ন’-এর অন্যতম নেতা ছিলেন। ভারতের সাংবাদিকতা জগতে ‘গ্রান্ড ওল্ড ম্যান অব ইন্ডিয়ান জার্নালিজম’ এবং দেশের মুক্ত সংবাদমাধ্যমে অবদানের জন্যে তিনি ‘ডিন অব ইন্ডিয়ান জার্নালিজম নামে পরিচিত ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায়। বাবা অমৃতবাজার পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা খ্যাতনামা সাংবাদিক শিশির কুমার ঘোষ। পড়াশোনা করেন কলকাতার টাউন স্কুল, হিন্দু স্কুল ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ বঙ্গবাসী কলেজে। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে বিএ পাসের পর তিনি অমৃতবাজার পত্রিকায় যোগ দেন এবং ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে এর সম্পাদক হয়ে আমৃত্যু সেই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা দৈনিক ‘যুগান্তর’ প্রতিষ্ঠা করেন। ষাটের দশকের গোড়ায় তারই সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ‘অমৃত’ প্রকাশিত হয়।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সাংবাদিক হিসেবে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি মহাত্মা গান্ধী এবং অহিংস আন্দোলনের সমর্থক ছিলেন।১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে বিচার ও শাসনবিভাগ সংক্রান্ত একটি সম্পাদকীয় লেখার কারণে তাকে কারাবরণ করতে হয়।
সাংবাদিক হিসেবে তিনি সারা পৃথিবী ঘুরে বেরিয়েছেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি কাল্পনিক উপন্যাস, ছোটদের পড়ার বই রচনা করেছেন। প্রাচীন বাংলা গান, বিশেষত টপ্পা ও কীর্তন গানে তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল।
রচিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে বিচিত্র কাহিনী, আরও বিচিত্র কাহিনী, চিত্র-বিচিত্র ইত্যাদি। সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের জন্যে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ লাভ করেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্ট মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য