১৭৫২ : যুক্তরাজ্য গ্রেগারিয়ান দিনপঞ্জি গ্রহণ করে নেয়।
১৯৪৫ : ভিয়েতনাম ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৫৮ : চীনের প্রথম টেলিভিশন স্টেশন পিকিং-এ চালু হয়।
১৯৮৫ : চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ভারতবর্ষের অনন্য চলচ্চিত্র কেন্দ্র নন্দন উদ্বোধন করেন।
২০০৫ : চট্টগ্রামে চিলড্রেন ক্যান্সার হোম উদ্বোধন হয়।
১৮৫৩ : উইলহেম অসওয়াল্ড, নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।
১৯২০ : বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা বাঙালি কবি।
১৯৬৬ : সালমা হায়েক, মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৮৬৫ : আইরিশ গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন।
১৯১৩ : জাপানের প্রখ্যাত শিল্পী ও বাংলায় বিংশ শতকের গোড়ার দিকে নব উন্মেষের সূচনাকারী ওকাকুরা কাকুজো।
১৯৩৩ : ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী অনাথবন্ধু পাঁজা।
১৯৪৬ : বাংলা ভাষার সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরী।
১৯৫২ : একজন প্রাজ্ঞ বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক, দেশপ্রেমিক এবং শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্রসহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাগুরু বেণী মাধব দাস।
১৯৬৭ : উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক আয়েত আলী খাঁ।
১৯৭৩ : ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, কবি ও ভাষাতত্ত্ববিৎ জে. আর. আর. টলকিন।
১৯৯২ : নোবেল বিজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী বারবারা ম্যাকলিন্টক।
২০১৩ : নোবেল বিজয়ী ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও লেখক রোনাল্ড কোসে।
বিশ্ব নারিকেল দিবস
বেণী মাধব দাস ছিলেন প্রাজ্ঞ বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক এবং দেশপ্রেমিক। তিনি শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্রসহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাগুরু ছিলেন। জন্মগ্রহণ করেন ১৮৮৬ সালের ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলার শেওড়াতলী গ্রামে। বাবা কৃষ্ণ চন্দ্র দাস।
বেণী মাধব দর্শন শাস্ত্রে উচ্চ শিক্ষা লাভ করার পর চট্টগ্রাম কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। তার হাতে এটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। চট্টগ্রামের পর তিনি ঢাকা, কটক র্যাভেনশ স্কুল, কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুল ও কলকাতার স্কুল ও কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।
ব্রাহ্ম নেতা মনীষী কেশবচন্দ্র সেনের প্রভাবে তিনি ব্রাহ্ম সমাজে যোগ দেন এবং ব্রাহ্ম সমাজের প্রকাশনা- ইন্ডিয়ান মেসেঞ্জার ও নববিধান এর সাথে যুক্ত ছিলেন।
দেশপ্রেম ও শিক্ষকতায় নিবেদিতপ্রাণ বেণী মাধব ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। দর্শন ছাড়াও তিনি অর্থনীতি ও ইতিহাসে পণ্ডিত ছিলেন। তিনি ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে কাকিনাদায় (বর্তমানে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে) অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া থেইস্টিক কনফারেন্সের সভাপতিত্ব করেন।
সভাপতি হিসেবে তার ভাষণ পরে মডার্ন থেইস্টিক মুভমেন্ট ইন ইন্ডিয়া নামক পুস্তিকায় প্রকাশ করা হয়। তার প্রবন্ধ সংকলন- পিলগ্রিমেজ থ্রু প্রেয়ার্স- সমালোচকদের কাছে ভূয়সী প্রশংসা লাভ করেছিল।
বেণী মাধব দাসের পরিবার ছিল রাজনৈতিক পরিবার। অসহযোগ ও জাতীয় আন্দোলনের যোগ দেওয়ার কারণে তার মেজো ছেলে কারাবরণ করেন। পত্নী সারদা দেবী ছিলেন মধূসূদন সেনের কন্যা।
মধুসূদন সেন কলকাতার সাধারণ ব্রাহ্ম সমাজের সম্পাদক হিসেবে কাজ করার পর অবসর নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছিলেন। সারদা দেবী সমাজ সেবায় সক্রিয় ছিলেন। তাদের দুই মেয়ের নাম কল্যাণী দাস (ভট্টাচার্য) এবং বীণা দাস (ভৌমিক)। কল্যাণী দাস সমাজ সেবা ও বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
তিনি ছাত্রী সংঘের উদ্যোক্তা ছিলেন এবং ব্রিটিশ বিরোধী রাজনীতির জন্যে কারাবরণও করেন। বীণা দাস ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবে সক্রিয় ছিলেন এবং ১৯৩২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বাংলার ব্রিটিশ গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা প্রচেষ্টার জন্যে ৯ বছর কারা বরণ করেন।
মেয়ের বিপ্লবী কার্যকলাপে বাধাদান তো দূরের কথা, দেশপ্রেমিক বেনীমাধব রীতিমতো উৎসাহ প্রদান করেছিলেন।
বেণী মাধব দাস তার সারা জীবন ব্রাহ্ম সমাজের কল্যাণে নিবেদন করেন। ১৯৫২ সালের ২ সেপ্টেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র : সংগৃহীত
নতুন মন্তব্য