গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৭৩ তম (অধিবর্ষে ২৭৪ তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৮৮২ : প্রথম থমাস এডিসনের উদ্ভাবিত হাইড্রো-ইলেকট্রিক পাওয়ার প্লান্ট চালু হয়।
১৯৭৩ : বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গিনিবিসাউ।
১২০৭ : হজরত জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি, পারস্যের কবি।
১৮২৮ : যোগীরাজ শ্যামাচরণ লাহিড়ী (লাহিড়ী মহাশয়), ভারতীয় যোগী ও গুরু।
১৮৬৪ : সুনীতি দেবী, ব্রিটিশ ভারতীয় দেশীয় রাজ্য কোচবিহারের মহারাণী।
১৯০৪ : বলাইলাল দাস মহাপাত্র, বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৯০৫ : নেভিল ফ্রান্সিস মট, নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ।
১৯৪৩ : যোহান ডেইসেনহফের, নোবেলবিজয়ী জার্মান প্রাণরসায়নবিদ।
১৯৪৪ : আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলাদেশি প্রাবন্ধিক ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ।
১৯৫১ : ব্যারি মার্শাল, নোবেলবিজয়ী অস্ট্রেলীয় চিকিৎসক।
১৮৭৫ : ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও ঊনিশ শতকের বাঙলার পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা প্যারীচরণ সরকার।
১৯১৯ : ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, দার্শনিক, লেখক, অনুবাদক, ঐতিহাসিক শিবনাথ শাস্ত্রী।
১৯৪৩ : ব্রিটিশ ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়।
১৯৫৩ : প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের পুঁথি সংগ্রাহক ও সম্পাদক আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ।
১৯৯০ : নোবেলবিজয়ী ইংরেজ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান লেখক প্যাট্রিক হোয়াইট।
১৯৯৯ : বাংলাদেশের একজন গুণী সঙ্গীতশিল্পী শেখ ইশতিয়াক।
আন্তর্জাতিক অনুবাদ দিবস
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ ছিলেন ব্রিটিশ ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানের একজন বাঙালি সাহিত্যিক। তিনি প্রাচীন পুথি সংগ্রহ ও সাহিত্যের ঐতিহ্য অন্বেষণকারী এক ব্যক্তিত্ব।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৭১ সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার (বর্তমান পৌর এলাকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের উত্তর পাশে) সবুজে ঘেরা সুচক্রদণ্ডী গ্রামের এক উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে। বাবা মুন্শী নুরউদ্দীন এবং মায়ের নাম মিস্রীজান। তার মা ছিলেন হুলাইন গ্রামের প্রাচীন প্রখ্যাত পাঠান তরফদার দৌলত হামজা বংশের মেয়ে।
অপুত্রক মাতামহের নাম ছিল মুশাররফ আলি। বাবা মারা যাওয়ার তিন মাস পর আবদুল করিমের জন্ম হয়। ১৮৮৮ সালে ১৭ বছর বয়সে তিনি মাকেও হারান। ১৮৮২ সালে আবদুল করিমের দাদা-দাদি তাদের ছেলে আইনউদ্দীনের (আবদুল করিমের চাচা) বড় মেয়ে নয় বছর বয়স্ক বদিউননিসার সঙ্গে এগারো বছরের করিমের বিয়ে দেন। করিম ১৯২১ সাল পর্যন্ত চাচার সঙ্গে যৌথ পরিবারেই ছিলেন।
কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অঞ্চলে বাঙালি মুসলমানদের মধ্যে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদই প্রথম ও একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৮৯৩ সালে প্রথম এন্ট্রান্স পাস করেন। তিনি ১৮৯৫ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চলের একমাত্র এফএ পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি এফএ পরীক্ষার পাঠ শেষ করতে পারেননি।
জীবনের নানা বাঁকে সাহিত্যবিশারদ শিক্ষকতা, চট্টগ্রাম জজ আদালত ও স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিসে কেরানি পদে চাকরি করেন। নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণতার স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষাসমূহের বাংলার পরীক্ষক হিসেবেও নিয়োজিত ছিলেন তিনি। সূচক্রদণ্ডী ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন প্রায় ১০ বছর। অসুস্থতার কারণে এফএ পরীক্ষা না দিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ ছাড়ার পর আবদুল করিম চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। কিছুদিন পর অস্থায়ী প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন সীতাকুণ্ড মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে।
নিয়মিত চাকরি থেকে অবসরের পর স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় আবদুল করিমকে প্রথমে প্রবেশিকার ও পরে বিএ-র বাঙলার পরীক্ষক নিয়োগ করেন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষার বাঙলা ভাষাসাহিত্যের পরীক্ষক ছিলেন। ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও বাঙলা অনার্সের একটি পত্রের প্রশ্নকর্তা ও পরীক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
অবসর নেওয়ার পর সাহিত্যবিশারদ গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করতেন। এলাকার লোকজনের অনুরোধে তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের সদস্য হন এবং বোর্ড ও বেঞ্চের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দশ বছর (১৯৩৫-৪৫) সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পটিয়া আঞ্চলিক ঋণ সালিশী বোর্ডের চেয়ারম্যানও ছিলেন। এছাড়া পরবর্তী সময়ে (মৃত্যুর আগে পর্যন্ত) পটিয়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ভূর্ষি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পর্ষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শিক্ষকতা করতে গিয়ে মানস চক্ষু প্রসারিত করে তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাঙালি মুসলমানদের স্বকীয়তা ও স্বজাত্যবোধের অভাব উপলব্ধি করেন। এই অভাববোধই তাকে সাহিত্য সাধনায় উদ্বুদ্ধ করে। পুঁথি সাহিত্যকে আপন সন্তানের মতো ভালবাসতেন তিনি। চাকরি জীবনে অঢেল খাটুনির পর তিনি পূঁথি সংগ্রহ ও সাহিত্য সাধনায় জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দিয়েছেন।
শুধু পুঁথি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত ছিলেন না তিনি। অনেক পূঁথির লেখা ছিল অস্পষ্ট, অগোছালো। সেগুলোর পাঠোদ্ধার, অর্থ নির্ণয়, টীকা লিখন এবং সম্পাদনার মাধ্যমে পাঠোপযোগী করে সংগ্রহকে পূর্ণতা দেন তিনি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রায় আড়াই হাজার পুঁথি সংগ্রহ করেন যা আর কারো একক বা দলগত প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়নি। প্রায় দেড়শ প্রাচীন ও বিস্মৃত কবিকে তিনি সুধী সমাজে পরিচিত করার মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করেন।
সমসাময়িক পত্র-পত্রিকায় তার প্রচুর প্রবন্ধ ছাপা হতো। মুসলমানদের বাঙালিত্ববোধ জেগে ওঠার পেছনে তার রচিত ও প্রকাশিত প্রবন্ধের প্রভাব অপরিসীম। তার কাজ ও গুণের খ্যাতি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং দূর-দূরান্তের সাহিত্য সভা-মজলিসে তার ডাক পড়তে থাকে।
উল্লেখ্য যে, আবদুল করিমের পূঁথি সংগ্রহের আগ্রহ এবং শুরু উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে। সে সময় থেকে তিনি বিভিন্ন পত্রিকার গ্রাহক হয়েছিলেন। ছাত্রবেলা থেকেই নানা পত্রিকার গ্রাহক হতে থাকেন। স্কুল ছাত্র হিসেবেই তিনি উইকলি ‘হোপ’ সাপ্তাহিক ‘প্রকৃতি’ এবং আটখানা মাসিক পত্রের গ্রাহক হন। ক্রমে তিনি বিভিন্ন ধরনের ৪০টি পত্রিকার গ্রাহক ও পাঠক হয়েছিলেন। দৈনিক-সাপ্তাহিক-পাক্ষিক-মাসিক পত্রিকাও নিয়মিত পড়তেন।
১৯৪৭ সাল পর্যন্ত সাহিত্যবিশারদ ও তার গবেষণাকর্মের বিশেষ মূল্যায়ন ছিল বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে। তিনি কয়েক বছর পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, একবার সহ-সভাপতি (১৩২৬ সালে, সে বছর সভাপতি ছিলেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী) ছিলেন। এর আগে তাকে পরিষদের বিশিষ্ট সদস্য (Fellow) করে সম্মানিত করা হয় (১৯০৩)। চট্টল ধর্মমণ্ডলী তার সাহিত্যকৃতির স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ১৯০৯ সালে ‘সাহিত্য বিশারদ’ এবং নদীয়ার সাহিত্য সভা ১৯২০ সালে ‘সাহিত্য সাগর’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম সাহিত্য সম্মেলনে অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি, রাউজানে কেন্দ্রীয় মুসলিম তরুণ সঙ্ঘ আয়োজিত সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতি, চট্টগ্রাম সাহিত্য পরিষদের সম্মেলনে সংবর্ধনা লাভ, ‘পূরবী’ সাহিত্য সমিতির সংবর্ধনা, বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতাদান, কলিকাতা মুসলিম সমিতির সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি, প্রগতি সাহিত্য সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি, চট্টগ্রামে নিয়াজ স্টেডিয়ামে (বর্তমানে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম) অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীর সাহিত্য সম্মেলনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণ, চট্টগ্রাম সংস্কৃতি সম্মেলনে মূল সভাপতি, কুমিলা সংস্কৃতি সম্মেলনে মূল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক পদও অলংকৃত করেন। সৈয়দ এমদাদ আলি প্রকাশিত ও সম্পাদিত ‘নবনূর’ (১৯০৩ সনে প্রকাশিত), এয়াকুব আলি চৌধুরী প্রকাশিত ও সম্পাদিত ‘কোহিনূর’ (১৩০৯), মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন প্রকাশিত ও সম্পাদিত ‘সওগাত’ (১৯১৮), আবদুর রশিদ সিদ্দিকী প্রকাশিত ও সম্পাদিত ‘সাধনা’ (১৩২৭) এবং ‘পূজারী’ নামের একটি পত্রিকার প্রধান সম্পাদক হিসেবে তার নামাঙ্কিত হয়েই গোড়ার দিকে প্রকাশিত ও সমাজে পরিচিত হয়।
আবদুল করিমই প্রথম বাঙলা ভাষাকে নির্ভীক চিত্তে উচ্চকণ্ঠে কেবল মাতৃভাষা বা স্বদেশী ভাষা নয়- মুসলিমদের জাতীয় ভাষা বলে ঘোষণা করেন, যখন অনেক মুসলমানই বাঙলা ভাষা বর্জনের জন্যে প্রচার চালাচ্ছিল। পরে পাকিস্তানে ভাষা-বিতর্কে বাঙলা ভাষার পক্ষে অন্যদের সঙ্গে বিবৃতিতে ও স্মারকলিপিতে সই দিয়েছিলেন।
বাঙলা ভাষার বিশুদ্ধতা রক্ষার কথাও বলেছেন, উচ্চশিক্ষার মাধ্যমও বাঙলা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাঙলার দাবি জানিয়ে তিনি প্রবন্ধও লিখেছেন। তার মনের দর্পণে ছিল বাঙলার ও বাঙালীর মধ্যযুগের জীবনচিত্র, চোখের সামনে ছিল বাস্তব বর্তমান আর কল্পনায় ছিল ভবিষ্যৎ। বাঙলাদেশ, বাঙলাভাষা ও বাঙালী জাতি ছিল সারা জীবন ধরে তার অনুধ্যানের বিষয়।
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ নিজের কাজের প্রচার বা মূল্যায়নের কাঙাল ছিলেন না। তিনি নিজেই বলেছেন, ‘এই যুগে যাঁহারা বাঙ্গালা ভাষার সেবায় বিভিন্নভাবে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে আমিই ছিলাম পাল হইতে পলাতক। আমার সহকর্মীরা কবিতা, সাহিত্য, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রভৃতির রচনায় মন দিয়াছিলেন।
তাঁহাদের সাহিত্য সৃষ্টির মূলে বেশিরভাগই প্রেরণা দান করিয়াছিল-স্বধর্মানুরাগ। আমার সাহিত্য সাধনা ছিল তাঁহাদের সাহিত্য সাধনা হইতে একটু পৃথক। আমি ছিলাম বাঙ্গালা ভাষায় মুসলমানদের প্রাচীন অবদানের তথ্য উদঘাটনে তৎপর। প্রাচীন বাঙ্গালায় মুসলমানদের দান সম্বন্ধে আলোচনা করিতে গিয়া আমি যে সকল নূতন তথ্যের উদঘাটন করি, তাহা জাতির পক্ষে সম্মান কি অসম্মানের গৌরব কি অগৌরবের বিষয় ছিল, সে বিচার আমি করিতে চাই না…।’
আবদুল করিম অত্যন্ত সাদাসিদে, অমায়িক, অতিথিপরায়ন, শিশুদের প্রতি স্নেহশীল ছিলেন। কষ্টার্জিত অর্থের একাংশ গ্রামের অসহায় দারিদ্র-পীড়িত লোকদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে এবং অসহায় রোগীদের নিজ হাতে ওষুধপত্র এনে দিয়ে তিনি আনন্দ পেতেন। চাকর-বাকরেরা চেয়ে নিত না বলে তিনি নিজে বিড়ি কিনে গোপনে তাদের পকেটে রেখে দিতেন। চরম শত্রুকেও ক্ষমা করতে দ্বিধা করতেন না। অপরের চাহিদাকে নিজের চাহিদার মতো করে দেখার গুণ ছিল তার।১৯৫৩ সালের মার্চে তিনি স্ত্রীকে হারান।
সাধক এই পুরুষ ১৯৫৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর দুই ঘণ্টা আগে পর্যন্ত তিনি পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। শেষ জীবনে তিনি চট্টগ্রামের অলিখিত ইতিহাস লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর কারণে তা শেষ করে যেতে পারেননি।
সূত্র : সংগৃহীত