আইন, নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন করে আগে ফলাফল ঘোষণা করে ফলাফলের আলোকে ব্যালট রেডি করে এক নজীরবিহীন কারচুপির নির্বাচন প্রত্যক্ষ করলেন হাব সদস্যগণ দিনের ভোট রাতে হয়নি: ভোট কেন্দ্রের ফলাফল মন্ত্রণালয়ে তৈরি করা হয়েছে।
১. কোন ব্যালট পেপার চেক করতে দেয়া হয়নি।
২. ম্যাশিনে বিদ্যুৎ গতিতে ম্যাশিনারিজ তাৎক্ষণিক ফলাফল ঘোষিত হয়, আর বৃহস্পতিবার বিকালে ২২/২/২৫ ও ২৩/২/২৫ তারিখে বেক ডেটে স্বাক্ষরিত ফলাফল হাব এর নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়।
৩. আজ শুক্রবার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল হাব এর অফিসিয়াল ওয়াটসপ গ্রুপে প্রকাশ করেছে। ঢাকা আঞ্চলিক ভোট এর পূর্ণাঙ্গ ফলাফল এখনো দেয়নি, তা নাকি এখনো রেডি হয়নি।
৪. পুন গননা, ব্যালট পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়া হয়নি। কয়টি ব্যালট বাতিল হয়েছে তা জানানো হয়নি।
৫. নির্বাচন কমিশনকে ঠুটু জগন্নাথ বানিয়ে দিনের ভোট রাতে করার অসাধারণ কারিগর ওএসডিতে থাকা হাব এর প্রশাসক অবৈধ হস্তক্ষেপ করে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপির অতীত সব রেকর্ড ভঙ করেছেন।
৬. হাব এর সংঘবিধির ৪০ ধারা, নির্বাচনী আচরণ বিধির ৯, ১৪, ১৮,২২,২৩,৩১,৩৩,৩৪,৩৫,৩৬ ধারা চরম ভাবে লঙ্ঘন করেছে।
৭. আপিল শোনানী নিষ্পত্তি না করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা ও পোর্ট পোলিও নির্বাচন সম্পন্ন করেছে।
৮. আপিলের রায় এখনো আপিলকারীরা পায়নি।
৯. ব্যালট পেপার কোথায় কার কাছে আছে, মুড়ি কোথায় কার কাছে আছে, এগুলো কার সামনে সীলগালা করা হয়েছে কেউ জানে না।
১০. বিধি অনুযায়ী প্রার্থী বা তার পোলিং এজেন্ট এর স্বাক্ষর নিতে হয় ফলাফল সীটে তাও করা হয়নি।
১১. হাব সদস্যরা যাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করবেন তারাই দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা তাদের ভালো কাজে সহযোগিতা করব।
১২. কিন্তু টাকা আর ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেন তেন ভাবে হাব দখলকারীরা একদিন এর উপযুক্ত জবাব পাবেই পাবে ইনশাআল্লাহ। গণতান্ত্রিক জোট এবং প্যানেল প্রধান হাবের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ অভিযোগ করেন।
২২শে ফেব্রুয়ারী কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। একটা নির্বাচনে নির্বাচন কেন্দ্রে প্রথমেই ব্যালট পেপার বই, ব্যালট পেপারের সংখ্যা পোলিং এজেন্টদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, ব্যালট পেপার সংখ্যা গনণা করে পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়, নির্বাচন শেষে আবার ব্যালট পেপার বই চেক করা হয়, কতোগুলো ব্যালট ব্যবহৃত হয়েছে,কতোগুলো ব্যবহৃত হয়নি সবকিছু গনণা করে আবারও পোলিং এজেন্ট দের স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিন্ত এবারের হাব নির্বাচনে নীলনকশার কৌশল হিসেবে এসব কিছুই করা হয়নি।
আবার ভোট গনণার সময় প্রার্থীদের উপস্থিত থাকার বিধান থাকলেও হাব ঐক্য ফোরামের কোন প্রার্থীকে গনণার সময় ভোট কেন্দ্র প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। হাব ঐক্য ফোরামের প্রার্থীদের গনণার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেওয়া হলেও হাব ঐক্য কল্যাণ পরিষদের পক্ষে প্রার্থী নন এরকম অনেক ব্যক্তিকে গনণার সময় কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
সর্ব জনাব ইব্রাহীম বাহার, আসলাম খান, আফতাব আহমেদ, ড. ফারুক, জামাল উদ্দিন সহ প্রায় ১২ জন যাঁরা প্রার্থী নন তাঁরা গনণার সময় কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করে গনণার তদারকি করেছেন।
অতঃপর একটা নীলনকশার ফলাফল স্ক্রীনে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল শীট তৈরী করা হয়নি এবং ফলাফল শীটে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের স্বাক্ষর নেয়া হয়নি।
২২ শে ফেব্রুয়ারী ভোট কেন্দ্রে সংঘটিত উল্লেখিত প্রক্রিয়াকে কি নির্বাচন বলা যায় ? কখনোই নয়।
এই ভাবে নির্বাচন হয় না। ২২শে ফেব্রুয়ারীর হাব নির্বাচন ইতিহাসের পাতায় কলঙ্কময় নির্বাচন হয়ে থাকবে ।