করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এইচসিএসবি এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের কিছু কথা
- সময় রবিবার, ৪ জুলাই, ২০২১
- ১৫৮৪ বার দেখা হয়েছে
ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়, আজ দেখলাম ৪৫ লাখ টিকা বাংলাদেশে এসেছে। এর আগে ফাইজার ও সিনোফার্মের ৫ লাখ ও তার আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ৫০ লাখ টিকা এসেছে। প্রায় ৬০ লাখ মানুষ এই টিকার আওতায় এসেছে, সামনে যে টিকা প্রদান করা হবে তা front liner, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এবং যারা প্রবাসে কাজ করতে যাবে তারা পাবে, তাহলে আরএমজি সেক্টরের সাথে জড়িত যারা তারা কি করবে? তারা পাবে না? অথবা আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে যে তাহলে আরএমজি সেক্টরের সাথে জড়িত যারা এরা টিকা পাবে তার কি কোন ছক তৈরি করা হয়েছে?
আমি বলব না! কারন এই বিষয়ে কথা বলার মত আরএমজি সেক্টরের সাথে জড়িত কোন সংগঠন বা কোন কর্মীকেও মিডিয়াতে কথা বলতে দেখিনি। এমনকি সরকারের এ নিয়ে কোন মাথাব্যাথা আছে কি না তাও জানা নেই। যদি থাকত তাহলে এই ৪৫ লাখ টিকার অন্তত ১০ লাখ এদের জন্য বরাদ্দ থাকত।
বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে ওঠার পিছনে ৮০% অবদান রেখেছে আরএমজি সেক্টর, কারন বাংলাদেশের ৮০% বা ততোধিক আয় আসে এই খাত থেকেই, আজ বাংলাদেশের সব শাট ডাউন করে দিলেও আরএমজি সেক্টরকে শাটডাউন করতে পারেনি সরকার। কারন আরএমজি সেক্টর শাটডাউন এর আওতায় আসলে দেশের অর্থনীতি সামগ্রিকভাবে শাটডাউন হয়ে যাবে।
বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমসি, বিজেএমসি সহ সব সংগঠন গুলোর এখনই ঝড়ো সাড়া দেওয়া উচিত। শুধু মাসের লাভ ক্যালকুলেশান না করে কিভাবে এদের কে রক্ষা করা যায়, চলমান গার্মেন্টস কে কিভাবে আরও গতিশীল করা যায় তা চিন্তা করার এখনই সময়। আর টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারদের সংগঠন আইটিইটি, এটিইটি সহ অন্যান্য শুধুমাত্র পিকনিক এ সীমাবদ্ধ না থেকে কিভাবে সবাইকে টিকা এর আওতায় আনা যায় তা ভাববার এখনই সময়।
লেখক : এম সাখাওয়াত হোসেন হিমেল (Correspondent RMG BD News 24.com)
