জীবনের মূল জিনিসটা কী? মূল জিনিসটা হচ্ছে, নিজের পরিচয় সৃষ্টি করা, বাঁদরামি করা না। যেরকম, এখন বাঁদরামি অনেক রকম হয়েছে। এক হচ্ছে, কোরিয়ান! কী এটা? বিটিএস।
তো আসলে যে-কোনোকিছু শুনতে পারেন, শুনতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু কখনো করবেন না। অনুকরণটা নিজের পরিচয়টাকে নষ্ট করে দেয়। সবসময় মনে রাখবেন যে, আপনি আপনিই! আপনি কোরিয়ান হতে পারবেন না।
আসলে বিটিএসদের কোনো জীবন নাই। আফটার টুয়েন্টি ইয়ার্স এদের জীবন দেখবেন, তখন বুঝতে পারবেন যে, এদের আসলে কোনো জীবন নাই।
এলভিস প্রেসলি, মার্কিন পপ গায়ক। কত বছর বয়সে আত্মহত্যা করেছিলেন? ৪০-৪২ বছর বয়সে। তার যিনি সবচেয়ে বড় ফ্যান মাইকেল জ্যাকসন তার পরিণতি কী হলো? তিনিও ড্রাগে মারা গেছেন এবং এলভিস প্রেসলিও ড্রাগে মারা গেছেন। তারপর আরেকজন ছিলেন প্রিন্স তিনিও ড্রাগে মারা গেছেন। কেন? কোনো জীবন নাই।
কারণ বাঁদরামিতে কোনো জীবন থাকে না। এরা এন্টারটেইন করে অন্যদেরকে আনন্দ দেয়। কিন্তু এদের নিজেদের জীবনে কোনো আনন্দ নাই। তো যাদের নিজেদের জীবনে আনন্দ নাই তাকে আপনি কীভাবে অনুকরণ করবেন? তাকে আপনি কীভাবে অনুসরণ করবেন? সে কীভাবে আপনার মডেল হতে পারে? আপনি তাকেই ফলো করবেন তাকেই অনুসরণ করবেন যাকে অনুসরণ করা যায় যার জীবনে শান্তি আছে।
তো আমাদের আসল প্রবলেমটা কোথায়? আসল প্রবলেম একটাই যে, নিজের পরিচয়টা জানা যে, আমি অমুক! এই যে কুন্তাকিন্তে সে তার পরিচয় জানত যে, আমি কুন্তাকিন্তে। এবং পরিচয় নিয়ে সম্মানবোধ করত।
আপনাকেও সেই পরিচয় নিয়ে সম্মানবোধ করতে হবে যে, আমি অমুক। এবং এই পরিচয়টাকে সম্মান দিতে হবে। কখন সম্মান দিতে পারবেন? যখন আপনি নিজেকে ভালবাসবেন যে, না! আমার একটা জীবন আছে।
এবং জীবন কখন সুন্দর হয়? যখন জীবন উদযাপন করা হয়। এবং জীবনকে কখন উদযাপন করা যায় এবং কখন সহজ হয়? সূত্র জানলে। সূত্রটা কী? আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি পারি আমি করব আমার জীবন আমি গড়ব।
আমার মনে হয় যে, আমরা একটু বলি, আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি পারি আমি করব আমার জীবন আমি গড়ব।
[অজেয় তারণ্য, ০৮ মার্চ ২০২৩]