২০ বার ফাইনাল খেলে নয় বার জিতেছে সাম্বার দেশ। ২০১৯ সালের ফাইনালে যাদেরকে হারিয়েছিলেন নেইমাররা, সেই পেরুকেই এবার সেমিফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা ফাইনালে গেলেন।
শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলেছিলেন সেলেকাওরা। কখনও নেইমার, কখনও লুকাস পাকুয়েটা, কখনও আবার ক্যাসেমিরো পরীক্ষা নিতে থাকেন পেরুর রক্ষণভাগের। তবে সব আক্রমণই যেন ধাক্কা খাচ্ছিল পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গ্যালেজের সামনে।
৩৫ মিনিটের মাথায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তিতে। নেইমারের পাস এবং পাকুয়েটার গোল। বল নিয়ে পেরুর বক্সের মধ্যে ঢুকে নেইমার দেখলেন তিন জন রক্ষণভাগের ফুটবলার তাকে ঘিরে দিয়েছে। গোলে শট নিতে পারবেন না।
নেইমারকে আটকাতে গিয়ে মাঝখান দিয়ে উঠে আসা পাকুয়েটা তখন অরক্ষিত। চকিতে তাঁকে পাস বাড়ালেন নেইমার। সঙ্গে সঙ্গে জোরালো শটে বল জালে জড়িয়ে দিলেন তিনি।
প্রথমার্ধে একাধিক গোলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল নেইমারদের। নিজেদের ভুলেই সেটা পারলেন না তাঁরা। তবে পাকুয়েটার গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই সাজঘরে ফিরল ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই ব্রাজিল রক্ষণে চাপ বাড়াতে শুরু করে পেরু। বেশ কয়েকবার তা সামাল দিতে হয় এডেরসন মোরায়েজকে। তবে গোল হয়নি।
৭১ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন নেইমার। তিনি পেনাল্টির আবেদন জানালেও রেফারি কর্নারের নির্দেশ দেন। পর পর দুই বার কোপা জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারেন তিতের ছেলেরা।
তবে রবিবারের ফাইনালে কার বিপক্ষে নেইমাররা খেলবেন, তা ঠিক হবে বুধবার আর্জেন্টিনা বনাম কলম্বিয়া ম্যাচে। ফুটবলপ্রেমীরা যদিও মেসি বনাম নেইমার ফাইনাল দেখার জন্যই প্রার্থনা করবেন।