1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন

চীনে ভিডিও গেম আসক্তি ঠেকাতে কারফিউ জারি

  • সময় মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট, ২০২১
  • ১০৭২ বার দেখা হয়েছে

অপ্রাপ্ত বয়স্কদের অনলাইন গেম খেলার ওপর কারফিউ জারি করেছে চীনা সরকার। গত ৬ নভেম্বর ২০১৯ এ ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার। এর ফলে যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তারা রাত দশটা থেকে সকাল আটটার মধ্যে কোনো অনলাইন গেম খেলতে পারবে না। আর সাপ্তাহিক কর্মদিবসে দেড় ঘণ্টার বেশি আর সাপ্তাহিক ছুটি বা অন্য ছুটির দিনে তিন ঘণ্টার বেশি গেম খেলা যাবে না।

ভিডিও গেম আসক্তি শিশুদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে বলে মনে করে চীন। আর এ কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। বিশ্বে অনলাইন ভিডিও গেমিংয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার চীন।

অনলাইন গেমিংয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকারের নতুন নীতিমালায় অপ্রাপ্তবয়স্ককরা গেমিংয়ের পেছনে কত অর্থ ব্যয় করতে পারবে- তারও সীমা ঠিক করে দেয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সীরা প্রতি মাসে ২০০ ইউয়ান (২৯ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত খরচ করতে পারবে, আর যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮, তারা পারবে এর দ্বিগুণ।

কেন এই পদক্ষেপ

ভিডিও গেমিংয়ের ক্ষতিকর প্রভাবের ব্যাপারে চীন সরকার বরাবরই সমালোচনামুখর। ২০১৮ সালে চীন সরকার গেমিংয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের জন্যে একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করে।

শিশুদের মধ্যে দৃষ্টিক্ষীণতার সমস্যা বেড়ে যাওয়ার পর সরকার এই পদক্ষেপ নেয়। অতিরিক্ত গেম খেললে এমন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।

ফলে চীনের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করা হয় শিশুদের গেমিংয়ের উপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপের জন্যে।

গত বছর চীন একই সঙ্গে নতুন ভিডিও গেম অনুমোদনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। নয় মাসের এই নিষেধাজ্ঞা চীনে ভিডিও গেমিং শিল্পের জন্যে ছিল এক বিরাট আঘাত।

বড় বড় ভিডিও গেম কোম্পানিগুলো চীনের এসব পদক্ষেপে ইতিবাচক সাড়া দেয়। তবে কিছু সমস্যা রয়েই যায়।

যেমন- বয়স যাচাই কীভাবে করা হবে এবং এসব নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কিনা, সেটা কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে।

এসব সমালোচনার মুখে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গেমিং কোম্পানি টেনসেন্ট ১২ বছরের কম বয়সীদের বেলায় এক ঘণ্টার বেশি গেম খেলা যাবে না বলে সময় বেঁধে দেয়।

১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বেলায় বেঁধে দেয়া হয় দু ঘণ্টার সময়সীমা। বয়স যাচাই করার নিয়মও চালু করা হয়।

চীন সরকার এখন যে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, এটি সব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বেলায় কার্যকর হবে।

গেমিং প্ল্যাটফর্মগুলো যদি কোনো ব্যবহারকারীর বয়স এবং পরিচয় যাচাই করতে চায়, তারা সরকারি তথ্যভাণ্ডারের সাহায্য নিয়ে সেটি করতে পারবে।

গত বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথমবারের মতো গেমিংয়ের আসক্তিকে একটি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে।

এটিকে ‘গেমিং ডিজঅর্ডার’ বলে বর্ণনা করা হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মনোচিকিৎসকদের সংগঠন ‘সাইকিয়াট্রি অ্যাসোসিয়েশন’ এখনো এটিকে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা বলে স্বীকৃতি দেয়নি, তারা বলছে, এটি নিয়ে আরও গবেষণা দরকার।

তবে কিছু দেশের সরকার অতিরিক্ত গেম খেলাকে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্ণিত করেছে। অনেক দেশে গেমিংয়ের আসক্তি কমানোর জন্যে ক্লিনিকও রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি (৭ নভেম্বর ২০১৯)

নতুন মন্তব্য

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com