শিক্ষার্থী জীবনে ছুটি-বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা এবং এ বিষয়ে কোয়ান্টাম দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোকপাত .
প্রথমেই স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিৎ এ বিষয়ে যে আদৌ আমাদের ছুটি-বিনোদন-বিশ্রামের প্রয়োজন আছে কী না। সাধারণ মানুষ কাজের মাঝে বিশ্রামকে অপরিহার্য মনে করে। কখনো কখনো একটুখানি বিনোদনের নামে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয় টেলিভিশনের সামনে। এছাড়াও আড্ডা, ফেসবুক, ফোনালাপ- এসব তো রয়েছেই। সময়ের গতিতে সময় চলে যায় এবং এই তথাকথিত বিশ্রাম-বিনোদন শিক্ষার্থী জীবনে নিয়ে আসে সমূহ বিপর্যয়। অথচ মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে পরিশ্রমনির্ভর এবং কষ্টসহিষ্ণু করে। বিশ্রামের পরিমিতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে যারা কাজ করে যায় তারাই হতে পারে জীবনে প্রথম।
শিক্ষার্থীদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো দু’টো পরীক্ষার মাঝে কয়েকদিন ছুটি থাকলে বিশ্রামের স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া, যা তার স্বাভাবিক প্রস্তুতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘ ট্রেনযাত্রায় কখনো কোন স্টেশনে ট্রেন থামানোর প্রয়োজন হলেও ইঞ্জিন বন্ধ করা হয় না। কারণ একবার ইঞ্জিন বন্ধ করলে তা চালু করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। জীবনে কাজের গতিকেও কখনো এমন ভাবে থামানো উচিৎ নয় যা পুনরায় শুরু করার জন্যে প্রতিবন্ধক হতে পারে। অতিরিক্ত বিশ্রাম বা বিনোদন কাজের স্বাভাবিক ছন্দকে সাঙ্ঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অহেতুক আরাম-আয়েশে না ডুবে কাজের জন্যে প্রয়োজনীয় বিরতিটুকু নেয়াই কোয়ান্টাম দৃষ্টিভঙ্গি। সেইসাথে আনন্দ নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করতে পারলেই বছর শেষে এটা হবে এক বিশাল অর্জন।