‘আপনারা যারা রক্তদান করছেন ভালো কাজ করছেন। যিনি রক্তদান করেন আসলে তিনি দেয়ার আনন্দে দেন। জীবনে ভালো কাজ করার চেয়ে আনন্দের অনুভূতি আর নেই। আমি আপনাদের অভিবাদন জানাচ্ছি।
১৯৯৮ সালে আমার মায়ের চিকিৎসা করাতে বিদেশে যাই। তখন মায়ের অস্ত্রোপচারে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। আমি অথৈ সাগরে পড়ি। সে-সময়ে ওখানকার একটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসে। তাই রক্তদানকে আমার এত বড় কাজ মনে হয়’।
কোয়ান্টাম সম্পর্কে খুব বেশি জানতাম না। কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে এসে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সম্পর্কে ধারণা হয়েছে। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সংগঠিত করা, উদ্বুদ্ধ করা এবং যোগাযোগের সমন্বয় করাও বিরাট কাজ। এখানে এসে মনে হলো কোয়ান্টাম সংগঠিতভাবে এ কাজগুলো করছে’।
১৪ অক্টোবর ২০২১ রাজধানীর কাকরাইলস্থ কোয়ান্টাম মেডিটেশন হলে ১৬৪ তম শত আজীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সন্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) মাননীয় সচিব জনাব মো. মাহবুব হোসেন। এ অনুষ্ঠানে ১০০ জন আজীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানানো হয়।
স্বেচ্ছা রক্তদাতা হিসেবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন নওশীন মোবাশ্বের। নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতি বর্ণনা করেন থ্যালাসেমিয়া রোগী জান্নাতুল ফেরদৌস মুন্নী। আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের কো-অর্ডিনেটর ডা. মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। তিনি রক্তদাতাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, রক্তের কোনো বিকল্প পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় নি। মানুষের জীবন বাঁচানোর চেয়ে মহৎ কাজ আর হতে পারে না। দানের প্রতিদান মানুষ দিতে পারে না, মানুষ শুধু শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারে। সম্মাননা জানাতে পারে। স্রষ্টা আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিন—এই প্রার্থনাই করি।
প্রত্যেক রক্তদাতাকে সম্মাননা সার্টিফিকেট আইডি কার্ড ও বিশেষ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সবশেষে কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের ওপর নির্মিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় শত আজীবন রক্তদাতা সম্মাননার ১৬৪ তম পর্বের অনুষ্ঠান।