(আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার সংগ্রামই সর্বোত্তম জেহাদ।) নিজের প্রবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামরত ব্যক্তিই প্রকৃত মুজাহিদ (ধর্মযোদ্ধা)।
—ফাদালা ইবনে ওবায়েদ (রা); তিরমিজী, ইবনে হিব্বান, বায়হাকি
যুদ্ধে অংশ নিয়ে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাগত জানিয়ে নবীজী (স) বলেন, তোমরা ছোট জেহাদ থেকে এসেছ। এবার বড় জেহাদে যোগদান করো। একজন প্রশ্ন করলেন, বড় জেহাদ কী? তিনি বললেন, বড় জেহাদ হচ্ছে নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা (নিজেকে পুরোপুরি পরিশুদ্ধ করা)।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); বায়হাকি
নবীজীকে (স) প্রশ্ন করা হলো, এক ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্যে যুদ্ধ করল, দ্বিতীয় ব্যক্তি আত্মমর্যাদা ও সম্মানের জন্যে যুদ্ধ করল, তৃতীয় ব্যক্তি ক্রোধের বশবর্তী হয়ে যুদ্ধ করল। এদের মধ্যে কার লড়াইকে জেহাদ বলে গণ্য করা হবে? নবীজী (স) বললেন, আল্লাহর বাণী সমুন্নত রাখার জন্যে যে লড়াই করবে, সে-ই আসলে আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রামে (জেহাদে) অংশগ্রহণকারী।
—আবু মুসা আশয়ারী (রা); বোখারী, মুসলিম
আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রাম (জেহাদ) করো মাল দিয়ে, জবান দিয়ে (কথা ও লেখার মাধ্যমে বাণীপ্রচার করে), জান দিয়ে।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); আবু দাউদ
যে ব্যক্তি কোনো মুজাহিদকে জেহাদের উপকরণ সংগ্রহ করে দিল, সে যেন নিজেই জেহাদ করল। আর মুজাহিদের অনুপস্থিতিতে তার পরিবারের দেখাশোনা যে করবে, সে-ও জেহাদে অংশগ্রহণকারী বলে গণ্য হবে।
—জায়েদ ইবনে খালেদ (রা); বোখারী, মুসলিম
জালেম ও স্বৈরাচারী শাসকের সামনে হক কথা বলাই উত্তম জেহাদ।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী
আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রাম (জেহাদ) হচ্ছে কৌশল ও পারিপার্শ্বিক উপকরণ ও তথ্যের সমন্বিত কল্যাণকর প্রয়োগ।
—আবু হুরায়রা (রা), জাবির (রা); বোখারী, মুসলিম
নবীজী (স) যখন জেহাদে যেতেন, তখন প্রার্থনা করতেন : ‘হে আল্লাহ! তুমিই আমার একমাত্র ভরসা। তুমিই আমার একমাত্র সাহায্যকারী। আমি শুধু তোমারই সাহায্য চাচ্ছি। আমার সকল শক্তির উৎস তুমি। তোমার শক্তিতে শক্তিমান হয়েই আমি লড়াই করছি।’
—আনাস ইবনে মালেক (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী
এক ব্যক্তি নবীজীর (স) কাছে নির্জনবাসের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। নবীজী (স) বললেন, আল্লাহর পথে সর্বাত্মক সংগ্রামই (নিজেকে ক্রমাগত পরিশুদ্ধ ও পরিপূর্ণ সমর্পিত করার সংগ্রামই) হচ্ছে আমার উম্মতের জন্যে ‘নির্জনবাস’।
—আবু উমামা (রা); আবু দাউদ