না জানলেন না মানলেন! গুনাহ হলো দুইটা…
কোরআনের জ্ঞান! এই জ্ঞানকে জানতে হবে, জ্ঞানী হতে হবে।
আমাদের কিন্তু একটা ভুল ধারণা আছে। আমরা অনেকে কোরআন পড়ি না। যে যদি জানি, আর জানার পরে না মানি তাহলে গুনাহ বেশি হবে। ভুল। ভুল। অর্থাৎ না জানলেন না মানলেন! গুনাহ হলো দুইটা। আর জানলেন মানলেন না, গুনাহ হলো একটা।
তো এজন্যে বলছিলাম, সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে কি? না জানা। আরে জানলে পরে না আপনি মানবেন। আপনি জানলেনই না, মানবেনটা কী? আগে কী করতে হবে? আগে জানতে হবে এবং জানাটা ফরজ। আপনি ফরজ আদায় করে ফেললেন, সওয়াব হয়ে গেল। মানলেন না, গুনাহ হলো। একটা গুনাহ হলো। আর জানলেন না দুটো গুনাহ হলো।
কারণ জানাটা হচ্ছে ফরজ। কেন ফরজ করা হয়েছে? আপনার যদি জানা থাকে, কখনো না কখনো বিষয়টা আপনার কী করবে? আপনার ভেতরটাকে নাড়া দেবে। জানলেন-ই না, কীসে নাড়া দেবে আপনাকে? হ্যাঁ? কে নাড়া দেবে আপনাকে?
আপনাকে কখনো কেউ নাড়া দেবে না, যদি না জানেন। জানলে কখনো না কখনো নাড়া দিতে হবে।
যে-রকম আমাকে অনেকে বলেন যে, আমার ছেলেকে মেডিটেশন শেখালাম। এখন তো আর মেডিটেশনে ডাকলেও আসে না। আমি বলি যে, ছেড়ে দেন। বেশি ডাকাডাকি করবেন না, পিটাপিটি করবেন না, জোর করে মেডিটেশনে বসাবেন না। ছেড়ে দেন। ঝামেলায় পড়ুক, আবার সে মেডিটেশনে চলে আসবে।
যে-রকম আমরা ছোটবেলায় কী করতাম? আমাদের সাথে অনেককে দেখেছি সারা বছর নামাজের কোনো ধারেকাছে নাই। যেই পরীক্ষা সামনে আসল একেবারে টুপি মাথায় দিয়ে দেখি যে, তখন সেভও করে না।
এরকম একটু দাড়িও হয়ে গেছে, নামাজ পড়ছে একদম মানে কি পর্যন্ত? একদম পরীক্ষা পর্যন্ত। পরীক্ষাও না, রেজাল্ট পর্যন্ত। কারণ পরীক্ষার পরেও যদি রেজাল্ট কি হয়? কারণ রেজাল্ট তো তখন আল্লাহর হাতে। রেজাল্ট তার হাতে চলে আসলো কিসের নামাজ!
কিন্তু আবার কখন? আবার সে নামাজ জানে বলে না সে পরীক্ষার আগে নামাজ পড়তে পারছে। না জানলে সে নামাজ পড়ত কীভাবে? তো এজন্যে জানা এবং মানা। জানাটা এক জিনিস, মানাটা আরেক জিনিস। দুটো দুই জিনিস। যারা না জানছেন তাদের গুনাহ ডাবল হবে।
না জানার গুনাহ কারণ অজ্ঞতা হচ্ছে মহাপাপ। সবচেয়ে বড় পাপ হচ্ছে অজ্ঞতা। এবং এই অজ্ঞতা দূর করার জন্যে যুগে যুগে নবী-রসুলরা আসছেন। যা তার জানা দরকার সে জ্ঞানে তাকে মানুষকে জ্ঞানী করার জন্যে।
তো এজন্যে কী করবেন? জ্ঞানের প্রথম পয়েন্ট হচ্ছে কি? কোরআনের জ্ঞান। কেন কোরআনের জ্ঞান? কারণ এই কোরআনের জ্ঞান আপনাকে নিরাময় দেবে কিউর করবে, আপনার অল সর্টস অব সাইকোসোমাটিক এন্ড সাইকোসোশ্যাল নেগেটিভিটি এন্ড পারভার্সন থেকে।
আপনি বুঝতে পারবেন কী আপনার করা উচিৎ! কী আপনার করা উচিৎ নয়! কী আপনার নিজের জন্যে কল্যাণকর, কী আপনার অন্যের জন্যে কল্যাণকর। কোনটা আপনার নিজের জন্যে ক্ষতিকর, কোনটা অন্যের জন্যে ক্ষতিকর। আপনি যথাযথ জ্ঞানে বুঝতে পারবেন।
তো এজন্যে এই কোরআনের জ্ঞান অর্জন করাটা হচ্ছে প্রত্যেকের জন্যে ইম্পর্টেন্ট। প্রত্যেকের জন্যে ইম্পর্টেন্ট না, এটা একদম ফরজ। এবং আপনি মানবেন কতটুকু মানবেন সেটা হচ্ছে পরের ব্যাপার। আগের কাজটা তো আগে করতে হবে। এই আগের কাজটা আগে করতে হবে যে জানতে হবে।
আর এখন জানা তো খুব সহজ হয়ে গেছে! যে আপনি এখন মায়ের ভাষাতেই আপনি আপনি বাংলাতেই আপনি মর্মবাণী নিয়ে আপনি পড়তে পারছেন।
এবং আমরা যে মর্মবাণী করেছি আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি। কোরআনের যে শিক্ষা, আসলে কোরআন যে কথাটা বলেছে সেই কথাটাকেই আমরা খুব সহজ করে দিয়েছি।
কারণ সূরা কামারের ১৭ নম্বর আয়াত হচ্ছে, আমি কোরআনকে খুব সহজ করে দিয়েছি যাতে করে তোমরা এর শিক্ষা মনে রাখতে পারো। হে মানুষ! তুমি কি এর শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করবে না?
মানে আসলে কত দরদ দিয়ে কত মমতা দিয়ে আল্লাহতায়ালা বলছেন। তুমি কি এর শিক্ষা হৃদয়ে ধারণ করবে না? এটা তো তোমার কল্যাণের জন্যে। বলেন, কোরআন মানলে আল্লাহর কোনো কল্যাণ হবে? যে না, কোরআন মানলে আল্লাহর অনেক উপকার হবে। আপনি কি আল্লাহর উপকার করছেন না নিজের উপকার করছেন? নিজের উপকার করছেন।
তো মানা তো সেকেন্ড স্টেজে। জানা হচ্ছে প্রথম স্টেজে ফার্স্ট স্টেজ এবং এই জানাটা ফরজ।
কোনো ফরজ পালন না করা এটা গুনাহর মধ্যে সবচেয়ে বড় গুনাহ। এটাকে কবিরাহ গুনাহ বলা হয়। সবচেয়ে বড় কবিরাহ গুনাহ হচ্ছে কোরআনের জ্ঞান না জানা। আর যত গুনাহ আছে এগুলো তারপরের সেকেন্ডারি। প্রাইমারি গুনাহ হচ্ছে এই কোরআনের জ্ঞান না জানা।
তো এখন যেহেতু সহজ হয়েছে বাংলাতেই আপনি পড়তে পারছেন। এবং আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি যে, এই পর্যন্ত বাংলাতে যত কোরআন রয়েছে তার মধ্যে সহজে পড়ে যাওয়া যায়, বোঝা যায় এটা করার তৌফিক আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে দিয়েছেন, কোয়ান্টামকে দিয়েছেন। তো এটা সংগ্রহ করবেন এটা পড়বেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন।
আসলে আমি যখন বোঝার চেষ্টা করেছি পড়ার চেষ্টা করেছি, বুঝি নাই বহুদিন বুঝি নাই। আগ্রহও ছিল না সে-রকম। আগ্রহ অনুভব করি নাই।
আগ্রহ অনুভব করলাম কখন? যখন বুঝতে পারলাম। যখন এর ভেতরে ডুবে গেলাম। তারপরে মনে হলো যে না…
এবং একটা সময় আসবে যে আপনার যে-কোনো সমস্যা থাকুক যে-কোনো সমস্যা নিয়ে বসেন আপনি পড়তে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন যে, মন হালকা হয়ে গেছে। মনের সেই যে ভার সে ভার ভাবটা নাই। যে চাপ, চাপ ভাবটা নাই। কেন? এটাই হচ্ছে কোরআনের মোজেজা।
এবং যখন ডুবে যাবেন কিছুক্ষণ পরে মনে হবে যে কোরআন আপনার সাথে অর্থাৎ আল্লাহ যেন আপনার সাথে কথা বলছেন।
সূরা আদিয়াত ১০০ নম্বর সূরার মানে আমি তো প্রথম চারটা আয়াত শোনালাম। বলেন… আমাদের এখনকার মূল সমস্যাইতো এটা। আমরা সবাই ছুটছি র্ঊধ্বশ্বাসে ধাবমান।
কী ব্যস্ত? আরে কিসের ব্যস্ত? কী কারণে ব্যস্ত? বিনোদনের জন্যে ব্যস্ত। আরে! ব্যস্ত যদি থাকতে হয়, এটা কি আর বিনোদন হলো? সেটা কি বিনোদন হলো? যে আমি বিনোদনে যাচ্ছি আমিকি মানে আমি রিলাক্স করতে যাচ্ছি। ভেরি বিজি, আমি এখন রিলাক্স করতে যাচ্ছি।
তার মানে হচ্ছে যে, আপনি কী জন্যে ব্যস্ত নিজেই বোঝেন না। সবসময় ধাবমান। যাকে জিজ্ঞেস করেন ব্যস্ত। কী ব্যস্ত? খোঁজেন কী ব্যস্ত? নাই। জীবনকে সুন্দর করার জন্যে? না। জীবনকে বরং আরো নোংরা করার জন্যে অসুন্দর করার জন্যে। কী ব্যস্ত? ফেসবুকে কি দিচ্ছেন আপনি? স্ট্যাটাস দিচ্ছেন যে, আমি এখন বাথরুমে আছি। স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। যে আমি এখন সিলিংয়ের ওপরে আছি স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
এই যে আমি একটা এখন আমি চাইনিজ খাচ্ছি, ব্যস্ত। চাইনিজ খাচ্ছি। অমুক জায়গায় ২০০ টাকা দিয়ে কফি খাচ্ছি। এই দেখ, কফি একটু মুখে দিয়ে আবার এভাবে করে লাইক দিয়ে দিচ্ছি। আরে আশ্চর্য! এটা ব্যস্ততা? শান্তি দিয়েছে? এটাতে শান্তিতে পাচ্ছে? পাচ্ছে না তো। স্ট্যাটাস দিয়ে শান্তি নাই।
কোরআন বোঝার জন্যে কী প্রয়োজন? এমনি পড়ে গেলে হবে না। এমনি শুনে গেলে হবে না। কী করতে হবে? এটা কোরআন নিজেই বলে দিয়েছে। যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তুমি মৌন থাকো এবং মনোযোগ দিয়ে শোনো।
মনটাকে ঢেলে দিতে হবে। কোরআন কিচ্ছু চায় না। শুধু কোরআন না, পৃথিবীর কেউ কিছু চায় না এই মনোযোগটুকু ছাড়া। আপনি একজনকে মানে আপনার খুব প্রিয়জন সবকিছু দিয়ে ফেলেন, সোনা এনে একেবারে ছুড়ে মারেন এক ঝাঁকা।
কিন্তু যদি মনোযোগ না থাকে তাহলে কি হবে? এই সোনা কতক্ষণ তাকে মানে শান্তি দেবে? বলেন, ইয়ং লেডিস? নাই।
ইয়ংম্যান, আপনার ধরুন কর্মজীবী স্ত্রী সমস্ত বেতন এনে আপনাকে সব ছুড়ে দিল এই রাখো, এগুলো সব তোমার। আমি একটু যাচ্ছি। কী? তার যে উপার্জনের বান্ডেল বা বস্তা আপনাকে তৃপ্তি দেবে? দেবে না।
তো পৃথিবীর সবকিছু চায় এই মনোযোগ, এই মন। কোরআনও চায় এই মনোযোগ। মন দেন; আমি তো বললাম, ডুবে যখন যাবেন তখন কথা বলা শুরু করবে। আপনার ভাষা বুঝতে হবে, শুধু ভাষা পড়তে পারলেই অর্থ বোঝা যায় না। আপনি অর্থ বুঝতে পারবেন, দুটো শব্দের মাঝখানে কী শব্দ আছে এটা আপনি বুঝতে পারবেন। দুটো বাক্যের মাঝখানে অলিখিত কী বাক্য আছে সেটা বুঝতে পারবেন।
ধরেন আপনি মর্মবাণীতে দেখবেন যে, অনেক ব্রাকেট দেয়া আছে। একটা বাক্যের মধ্যে শেষ করা হয়েছে ব্রাকেট দিয়ে বা একটা বাক্যের মাঝখানে ব্রাকেট আছে। ঐ ব্রাকেটটুকু উঠিয়ে দেন বাক্যটা আপনি বুঝতে পারবেন না তখন। তখন আপনার কাছে বুঝটা একরকম। ঐ ব্রাকেটটা যখন থাকছে তখন বুঝটা আরেক রকম।
ধরেন আমরা আমাদের প্রচলিত যত অনুবাদ রয়েছে অনুবাদ পড়ে আমরা শান্তি পাই না কেন? ব্রাকেট নাই। মানে আরে দুই বাক্যের মাঝখানে কোন বাক্য যেটা বলা হয় নি কবিতাতে তো সবকিছু বলা হয় না।
কোরআনের সবচেয়ে বড় পাওয়ারটা কী? বড় পাওয়ার হচ্ছে এটার মেসেজ এবং এটা ধ্বনিব্যঞ্জনা। একটা কবিতা একটা গান। গানে কী থাকে? একটা মেসেজ থাকে। গানে একটা বাণী থাকে। আর কী থাকে? আর ধ্বনিব্যঞ্জনা থাকে। আমি কি বোঝাতে পারলাম জিনিসটা?
আমি যতটুকু বুঝি যে, একটা গান যত গান হোক সে গানে যদি মেসেজ না থাকে… যে-রকম একদিন অনেক আগের কথা টিভিতে গান হচ্ছে। একজন গান গাইতে গাইতে উনি লাম লাম লাম লাম আবার গুণছেন মানে যাতে কতবার লাম বলছেন। এটা তো লাম। আরে লাম কিসের লাম? উঠলাম, না গেলাম, না খাইলাম কিসের লাম? কোনো মেসেজ নাই। গান হলো একটা? এটা তো গান না। এটা উচ্চারণ হতে পারে, কিছু ধ্বনি হতে পারে, ধ্বনি হলেই গান হয় না।
আবার শুধু বাণী থাকলেই গান হয় না। গানের জন্যে দরকার ধ্বনি এবং বাণী। ধ্বনি মানে হচ্ছে সুর। কোরআনের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে। এখানে মেসেজ আছে এবং ধ্বনি আছে সুর আছে। যে কারণে এটার আবেদন এত বেশি।
মানে ধরেন রসুলুল্লাহ (স) যখন কোরআন শোনাতেন আরেকজনকে, কাফেরেরা কী বলত? এই শুনবা না শুনবা না, শুনলে তুমিও পাগল হয়ে যাবা। এবং এমন হয়েছে ধরেন, আবু জাহেল তো অত্যন্ত মানে কী ছিল? আবু জাহেল তো আবু জাহেল, সবাই জানেন।
তো আবু জাহেল, আবু সুফিয়ান এবং হযরত মুহাম্মদ (স) এরা আবার দে ওয়্যার ভেরি ফ্রেন্ডলি, তারা খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তো যখন নবীজী ধর্মপ্রচার শুরু করলেন নবুয়তের পরে, তো এরা তো বিপরীত পক্ষে চলে গেল। আবু জাহেল তো একেবারে কড়া।
তো এখন আবু জাহলে এবং আবু সুফিয়ান একবার ঘটনা হলো যে, নবীজী তখন ঐ সাফা পাহাড়ের পাদদেশে তখন মানে তখনকার দিনে ঘরবাড়ি ছিল। তো একঘরে রাতে তিনি কথাবার্তা বলছেন। কোরআন তেলাওয়াত করেন কোরআনের বাণী নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কোরআন শোনাচ্ছেন এবং আলোচনা করছেন।
অন্ধকার। তখনকার দিনে তো অন্ধকারে তো… মানে তো আবু জাহেল এবং আবু সুফিয়ান দুজনেই। আরবদের তো সুবিধা মুখ মুড়ি দিলেই আর চেনা যায় না। তাদের মানে যে মাথার ওটা দিয়ে ঢেকে দিলেই চেনা যায় না।
তো দুজন শুনছে খুব। এবং মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে সারারাত শুনছে দুজন। ভোর হওয়ার আগেই দুজন স্বাভাবিকভাবে বেরিয়ে গেছে যে, যাতে কেউ চিনে না ফেলে। তো পরস্পর পরস্পরকে দেখে ফেলেছে, এই তুমিও? তুমিও? এবং তারা প্রতিজ্ঞা করল যে, তাদের আসা ঠিক না। তারা এলে অন্যদের ওপরে সাধারণ কোরাইশদের ওপরে এটার প্রভাব এটার খারাপ প্রভাব পড়বে।
তারা ঠিক করল যে না, আসবে না। পরদিনও আবার এসে উপস্থিত। আবার ঐ ভোরবেলা আবার দুজন দুজনকে চিনে ফেলল। তারপরে তারা প্রতিজ্ঞা করল যে না, আর আসবে না। অর্থাৎ কেন? বাণী এবং ধ্বনি দুটোর যে মিশ্রণ।
অর্থাৎ মেসেজ এবং ধ্বনি যখন একজনের অন্তরের প্রতিধ্বনি ঘটে, তখন সেটা তাকে নাড়া দেয়। এবং কোরআন হচ্ছে তা-ই।
তো যেখানে বলছিলাম যে, কোরআন ইউনিকনেসটা কোথায়? ধরেন পৃথিবীতে অনেক বড় বড় সাহিত্য আসছে কাব্য আসছে মহাকাব্য আসছে। কোরআনের ইউনিকনেস কোথায়? যে কোরআন যে ফর্মে লেখা হয়েছে যে ফর্মে পরিবেশিত হয়েছে সেই ফর্মে আগেও কেউ পরিবেশন করার চেষ্টা করেন নাই এবং পরেও কেউ এটা পারেন এটা চেষ্টাই করেন নি কেউ। কারণ এটা একটা ইউনিক ফর্ম যেখানে ধ্বনি এবং বাণী এবং ধ্বনির ব্যঞ্জনা, যা ইউনিক।
এবং কোরআনের যে আরবি কোরআনের যে ফর্ম এটা কারো পক্ষে অনুবাদ করা সম্ভব নয়। কেউ যদি মনে করে যে, আমি অনুবাদ করব হি ইজ এ ফুল। সে একটা মূর্খ ছাড়া কিছু না। এটা কারণ আল্লাহর ভাষা। আল্লাহ যে কথা বলেছেন সেটা কোনো মানুষের পক্ষে অনুবাদ করা সম্ভব? সম্ভব না। হ্যাঁ মানুষের পক্ষে এটার মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব।
যে কারণে আমাদের মর্মবাণীটা এত ভালো লাগে পড়তে। যারা পড়েছেন তারা বলেছেন যে না, পড়তে ভালো লাগে। কেন? ঐ মর্ম। আমার মর্মে যা আমি অনুভব করেছি সেটাই আমি ওখানে লিখেছি।
এবং লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি আল্লাহর কাছে সৎ থেকেছি। কারণ আমাকেও আল্লাহর কাছে যেতে হবে। নিজের কোনো ইচ্ছা অনিচ্ছা মতন যে, আচ্ছা ঠিক আছে, না। আল্লাহ যা বলতে চেয়েছেন সেটা আমি যেভাবে বুঝেছি সেভাবে আমি এটাকে উপস্থাপন করেছি, আল্লাহকে হাজির নাজির জেনে।