টিভি আমাদেরকে ঘরে বসেই দূরকে কাছে এনে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। আর কম্পিউটার কাজে এনেছে গতি। যুগের সাথে ছন্দ মেলাতে আমরা ব্যবহার করছি কম্পিউটার–কখনো ডেস্কটপ, কখনো ল্যাপটপ, কখনো-বা নোটবুক। টিভিতেও এসেছে বিপ্লব। সাদা-কালোর পর রঙিন, সম্প্রতি এসেছে স্মার্ট টিভি। প্রযুক্তি এগোবে তার গতিতে, আমাদের সচেতনতাও যেন এগোয় সেই মাত্রায়। এজন্যে প্রযুক্তি-সংক্রান্ত শুদ্ধাচার দ্বিতীয় পর্বে সন্নিবেশিত হয়েছে টিভি ও কম্পিউটারের ব্যবহারে কিছু বাস্তব ও কার্যকর দিক-নির্দেশনা।টিভি দেখায়
অনির্দিষ্ট ও অফুরন্ত সময় নিয়ে টিভির সামনে বসবেন না। অযথা টিভি চালিয়ে রাখবেন না। কোন অনুষ্ঠান কতক্ষণ দেখবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন।
অন্যান্য চ্যানেলে আরো ভালো প্রোগ্রাম চলছে কিনা তা খুঁজতে ক্রমাগত রিমোট চাপতে থাকবেন না।
একেবারে সামনে বসে টিভি দেখবেন না। অন্তত ছয় ফুট দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখুন। এতে স্বাস্থ্যসুরক্ষা হবে। সেইসাথে টিভির প্রতি আসক্তি কমবে, বাঁচবে আপনার সময়।
টিভিতে দেখা ভায়োলেন্স হিংসা সন্ত্রাস চক্রান্ত ষড়যন্ত্র পরকীয়া বাস্তব জীবনে অবচেতনভাবে প্রলুব্ধ করে এসব ঘটনায় জড়িয়ে পড়তে। ফলে সৃষ্টি হয় টেনশন হতাশা আসক্তি আর অন্তর্দ্বন্দ্ব। টিভি সিরিয়ালে আসক্তি পারিবারিক ও মানসিক প্রশান্তি নষ্ট করে। তাই সযত্নে সিরিয়াল এড়িয়ে চলুন।
প্রামাণ্য, শিক্ষামূলক, ভ্রমণ-বিষয়ক ও উৎসাহব্যঞ্জক অনুষ্ঠানগুলোই দেখার জন্যে নির্বাচন করুন।
একই নিউজ বার বার একাধিক চ্যানেলে দেখা থেকে বিরত থাকুন।
টিভি দেখতে দেখতে খাবেন না। এতে খাবারের স্বাদ কমে যাবে, কিন্তু খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। খাবারের প্রতি মনোযোগ দিন। খেয়ে তৃপ্তি বাড়বে, পুষ্টিও পাবেন।
ট্রেন্ডি হতে গিয়ে আড্ডায় অংশ নেয়ার জন্যে ওয়েব সিরিজ, এনিমেশন, বিনোদন ম্যাগাজিনের পাল্লায় পড়বেন না।
শোবার ঘরে টিভি রাখবেন না। ড্রইং রুমে/ ডাইনিং রুমে বা এমন স্থানে রাখুন যাতে একা দেখার সুযোগ না থাকে।
অতিথি হয়ে কোথাও গেলে বিনা অনুমতিতে টিভি ছাড়া/ বন্ধ করা, রিমোট নিজের কাছে রাখা থেকে বিরত থাকুন। অনেকে মিলে টিভি দেখার সময় চ্যানেল পাল্টানোর আগে অনুমতি নিন।
ছুটির দিনগুলোতে সিরিয়াল, মুভি বা অনলাইনে অলস সময় পার না করে পরিবারকে সময় দিন। সৃজনশীল, আত্ম উন্নয়ন বা সেবা কাজে অংশ নিন।