আমাদের শিশুবন্ধু জাতীয় অধ্যাপক ডক্টর এমআর খান মরহুম আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন। তিনি আমাদের কোয়াটামের প্রোমাস্টার এবং কোয়ান্টামের উপদেষ্টা ছিলেন।
তিনি একদিন খুব হাসতে হাসতে বলছিলেন যে, এখনকার জীবনকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। একজন জীবনের প্রথম ২৫ বছর ব্যয় করেন মাল-পানি অর্থাৎ টাকাপয়সা অর্থবিত্ত কীভাবে উপার্জন করা যাবে সেই বিদ্যা অর্জন করার জন্যে।
পরবর্তী ২৫ বছর ব্যয় করে অর্থবিত্ত উপার্জনের চেষ্টায়। নিজের শরীরের দিকে পরিবারের দিকে সমাজের দিকে কোনোদিকেই সে খেয়াল করে না, কোনোদিকেই সে খেয়াল করে না। শুধু টাকা টাকা টাকা।
এবং এর পরে বাকি ২৫ বছর যদি সে জীবিত থাকে তাহলে যা উপার্জন করেছে তা ব্যয় করে নিজের চিকিৎসার জন্যে ক্লিনিকের পেছনে।
শেষ পর্যন্ত তার প্রাণবায়ু নির্গত হয় লাইফ সাপোর্টে। যখন সে মনে করে যে পরিবার পরিজন তাকে দেখবে পরিবার পরিজনের উপস্থিতিকে খুব গভীরভাবে যখন সে মন থেকে চায় আপন কেউ কাছে আসুক তখন সে আসলে আপন কাউকে পায় না। কারণ সে অর্থবিত্ত ছাড়া আর কোনোকিছুকেই আপন করে নি।
অতএব সে-ও যখন কাউকে চায় আপন কেউ আসুক তখন আপন কেউ থাকে না।
শিশুবন্ধু এমআর খান স্যার ভ্রান্ত জীবনাচারের একাকিত্বের তথাকথিত আধুনিক নিঃসঙ্গ মানুষের চিত্রটা খুব কৌতুকের ছলে নির্ভুলভাবে বলে গেছেন।
প্রিয় সুহৃদ! স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কোভিডজনিত যে ট্রমা শারীরিক মানসিক সামাজিক নিঃসঙ্গতার প্রকট থেকে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা থেকে বিষণ্নতা থেকে ডিপ্রেশন থেকে আত্মহননের প্রবণতা থেকে সাধারণ মানুষের রক্ষার উপায় কী?
আসলে কোয়ান্টাম সাধারণ মানুষকে এই অসুস্থ জীবনাচার থেকে মুক্ত করার জন্যে সুস্থ জীবনাচার অনুশীলনের জন্যেই ৩০ বছর ধরে কাজ করছে। এবং করোনাকালে এসে আমরা বুঝতে পরেছি যে, আমাদের কাজটা এখন কত গুরুত্বপূর্ণ!
এবং সেজন্যে কোয়ান্টাম মেথড পোস্ট কোভিড টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করেছে গত এক বছর ধরে। যে পোস্ট কোভিড ট্রমা হিসেবে যে বিষয়গুলো আসতে পারে শারীরিক-মানসিক সামাজিক-আত্মিক প্রতিটি ক্ষেত্রে টোটাল ফিটনেস এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য।
আমাদের সাদাকায়ন আলোকায়ন এবং বিভিন্ন কর্মশালা এবং কোয়ান্টাম মেথড কোর্স সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে।
এবং কোয়ান্টাম মেডিটেশন চর্চার মধ্য দিয়ে এবং কোয়ান্টামের সাথে যারা যুক্ত আছেন করোনাকালেও তারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ছিলেন। এবং এখনও তারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো আছেন।
শুধু দেশে না। বিদেশেও যারা আছেন তারাও তাদের প্রতিবেশীদের চেয়ে তাদের সমাজের অন্যান্য মানুষের চেয়ে তারা ভালো আছেন।
এর কারণই হচ্ছে যে, কোয়ান্টাম মেথড বিচ্ছিন্নতা নিঃসঙ্গতা অবসাদ জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলা আত্মাকে শুকিয়ে ফেলা এগুলো থেকে গা ঝাড়া দিয়ে ওঠার অন্তর্গত শক্তি সৃষ্টি করে।
তাই চারপাশের মানুষকে যারাই ডিপ্রেশনে ভুগছেন, যারাই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদেরকে সাদাকায়নে নিয়ে আসেন। তাদেরকে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স ৪৮১ তম ব্যাচ যা হবে ১৮ ১৯ ২০ ২১শে মার্চ কোর্সে নিয়ে আসেন। ইনশাল্লাহ আমাদের মতো তারাও ভালো থাকবেন।