দান ও স্বেচ্ছাসেবার মধ্য দিয়ে চারপাশের মানুষের সাথে সখ্য গড়ে ওঠে। একাকিত্বের অনুভূতি কমে।
বিপদে-আপদে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ফলে দাতার আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
দানের অভ্যাস ব্যক্তিকে কৃতজ্ঞ ও ইতিবাচক হতে শেখায়। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়ার ফলে তিনি জানেন, সুখ-দুঃখ মিলিয়েই জীবন। তাই অভিযোগপ্রবণ না হয়ে যা আছে তা নিয়েই এগোতে হবে।
যারা নিয়মিত দান করেন তাদের কাছে বেঁচে থাকাটা অনেক অর্থবহ।
দাতারা দীর্ঘায়ু হন। তাদের স্ট্রেস ও বিষণ্নতা কম। গড়পড়তা মানুষের তুলনায় তারা সুস্থ থাকেন।
আলঝেইমার্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এ ধরনের কাজের তৃপ্তি মস্তিষ্কের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, যা মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখে দীর্ঘদিন।
দান ও স্বেচ্ছাসেবায় যারা নিবেদিত, তারা ব্যক্তিজীবনে ও পারিবারিক জীবনের সমস্যাগুলোও সহজে সমাধান করতে পারেন। কারণ প্রতিক‚ল নানা পরিস্থিতিতে কাজ করার ফলে সমস্যা সমাধানের সহজাত দক্ষতা গড়ে ওঠে স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে।
মানুষের সাথে মেলামেশার সুযোগ ঘটে বেশি। নেতৃত্বের গুণাবলি বিকশিত হয়।
নিয়মিত দান মানুষকে বিনয়ী ও সমমর্মী করে। ফলে পারস্পরিক সম্পর্কগুলো মজবুত হয়, দীর্ঘস্থায়ী হয়।