দুর্ব্যবহারের এখনকার আধুনিক রূপ হচ্ছে বুলিং এবং ট্রলিং।
আসলে এই বুলিংয়ের সবচেয়ে বেশি শিকার কিন্তু হচ্ছে শিশু কিশোরেরা। অনেক মা-বাবা হয়তো এটা বোঝেন না এবং এই বুলিং তাকে ট্রমাগ্রস্ত করে ফেলতে পারে। শিশুর মধ্যে আচরণগত কোনো পরিবর্তন দেখলেই প্রথম সন্দেহ করবেন যে, সে কোথাও বুলিংয়ের শিকার হয়েছে কিনা।
যারা মা আছেন, বাবা আছেন, শিশুর মধ্যে এনি চেঞ্জ, শিশু হঠাৎ চুপ হয়ে গেল, হঠাৎ সে কথা বলছে না বা সে একটা খাবার পছন্দ করত এখন সে আর সেটার প্রতি আগ্রহ ফিল করছে না বা যে আচরণ করত তার চেয়ে ভিন্ন কোনো আচরণ করছে, তখনই আপনি প্রথম অনুসন্ধান করবেন সে স্কুলে অথবা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব দ্বারা কোনো বুলিংয়ের শিকার হয়েছে কিনা।
বুলিং শারীরিক হতে পারে, যেমন দৈহিক উৎপীড়ন- চিমটি দেয়া, লাথি মারা, ধাক্কা দেয়া তারপরে আপনার যৌন উৎপীড়ন এটার শিকার হতে পারে।
আবার বুলিং কথা দিয়ে হতে পারে যে-রকমভাবে একজন আসছে তাকে তাকিয়ে এই মটকু আয় তো! এই যে কথা দিয়ে উৎপীড়ন।
তৃতীয় হচ্ছে একজনকে কথা দিয়ে নানানরকম বদনাম, উপনাম বা নানানরকম খারাপ নামে তাকে সম্বোধন করা, সামাজিকভাবে হেয় করা।
এটা বন্ধু বান্ধবদের দ্বারা হতে পারে বা আত্মীয়দের দ্বারা হতে পারে যে, সে কিছু শুনছে, কিছু শুনছে না এমনভাবে ইঙ্গিত করা। যতক্ষণ সে উপস্থিত থাকছে তার মধ্যে টেনশন সৃষ্টি হচ্ছে যে আচ্ছা কী বলল আমার সম্পর্কে কী ইঙ্গিত করল? কী বর্ণনা দিল? এটা হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক সাইকোলজিক্যাল টর্চার এটা বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে, পরিচিতদের মধ্যে, স্কুলমেটদের মধ্যে, ক্লাসমেটদের মধ্যে বেশি হয়।
তো এই যে আকার ইঙ্গিতে বুলিং করা এই প্রচ্ছন্ন বুলিং যে তাকে ইঙ্গিত করে কিছু বলা হচ্ছে কিন্তু সে কিছু শুনছে না বা সে বুঝতে পারছে কিন্তু সে ধরে নিচ্ছে বোধহয় এটা হবে।
এখন সবচেয়ে বেশি বুলিংয়ের শিকার হচ্ছে সাইবার বুলিং। আমাদের দেশে এটা করোনাকাল থেকে আরো বেড়ে গেছে। এর ফলে যে কত বাচ্চা বুলিংয়ের শিকার হয়েছে ব্রিলিয়ান্ট বাচ্চা, তাদের পড়ালেখা শেষ।
[প্রজ্ঞা জালালি, ০৫ অক্টোবর ২০২৪]