1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ অপরাহ্ন

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কুড়িগ্রামে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

  • সময় শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১০৪৮ বার দেখা হয়েছে

রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে এই অঞ্চলে তাপমাত্রাও কমে এসেছে। শনিবার রংপুর বিভাগের জেলা কুড়িগ্রামে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সকাল ৯টায় জেলার রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বনিম্ন ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৯টায় সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ সেখানে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কৃষি ও সিনপটিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়ায় কিছুটা বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত দু’দিন ধরে তাপমাত্রা কমতে থাকলেও ভোরের আলোর ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। আকাশে মেঘ না থাকায় সকালে দেখা যাচ্ছে সূর্যের মুখ। দিনভর পাওয়া যাচ্ছে আলো। ফলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠছে। তবে উত্তর দিক হিমেল হাওয়া বয়ে আসায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে প্রচণ্ড শীতে কুড়িগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নদ-নদী মধ্যবর্তী দ্বীপচর ও তীরবর্তী চর গ্রামের মানুষ। এসব এলাকায় বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষ অতিদরিদ্র হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী শীতবস্ত্র কিনতে পারছেন না। ফলে শীতে কষ্ট পাচ্ছেন তারা।

ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদ-নদীবেষ্টিত সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী সরকার জানান, তার ইউনিয়নের ৩২টি গ্রামের মধ্যে ২০টি হচ্ছে দ্বীপচর ও নদ-নদী তীরবর্তী চরগ্রাম। এই দ্বীপচর ও তীরবর্তী চর গ্রামগুলোতে বসবাস করে প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের ১৫ হাজারের মতো মানুষ। এদের অধিকাংশ অতিদরিদ্র এবং দিনমজুর। এদের অনেকের শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য না থাকায় ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, সরকারিভাবে মাত্র ৪০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। গত ৯ ডিসেম্বর সেগুলো বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ৯ উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়ন এবং ৩টি পৌরসভার প্রতিটিতে ৪৬০টি করে ৩৫ হাজারের মতো কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৯ উপজেলার প্রতিটিতে ৬ লাখ করে ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ টাকায় স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র ক্রয় করে বিতরণের কার্যক্রম চলছে।

তিনি আরও জানান, অতিদরিদ্র শীতার্ত মানুষের দোড়গোড়ায় শীতবস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো সচেষ্ট রয়েছে।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com