ক্যাম্পাসে পূজা হবে, মাহফিল হবে না।
সংখ্যালঘুদের কথা চিন্তা করে খাবারের দোকান খোলা থাকবে কিন্তু সাহরিতে গরুর মাংস থাকবে না। এদিকে খোলামেলা পোশাক পরে আসতে পারলেও পর্দা করে আসা যাবে না। সারাবছর অমুক তমুক দিবসের ছুটি দেয়া গেলেও রোজার মাসে ক্লাস বন্ধ রাখা যাবে না। ক্যাম্পাসে সবার সামনে প্রেম করলেও বিয়ে করে ফেললে ক্লাসে জানানো যাবে না। ধর্ম প্রচার করা সাংবিধানিক অধিকার হলেও ক্যাম্পাসে দাওয়াতি কাজ করা যাবে না। সালাতের সময় ক্লাস, পরীক্ষা নেয়া হলেও আপত্তি করা যাবে না। কনসার্ট হারাম হলেও মুসলমান ঘরের সন্তান কনসার্টের জন্য টাকা দিতে হবে। ফ্রিমিক্সিং থেকে বেঁচে থাকতে চাইলেও গ্রুপ করে ছেলেমেয়েকে একত্রে রাখা হবে। শিক্ষককে বাবার মতো বলে মেয়েদের পার্সোনাল স্পেসে জায়গা করে দেয়া আবশ্যক করা হবে। দাড়ি রাখলে আলাদা করে মার্কিং করে রাখা হবে। পাঞ্জাবি-টুপি পরে ক্লাসে গেলে এটা মাদ্রাসা নাকি ভার্সিটি সেই পার্থক্য মনে করানো হবে। দাঁড়ি রাখলে জঙ্গি বলে আখ্যায়িত করা হয়। ধর্ম প্রচার করলে তাকে উগ্রবাদী বলা হয়। ধর্মিয় বই বিক্রি করা যাবে না। আসলে আমরা কোন দেশে বসবাস করি? এটাই আমি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারলাম না। এই দেশে আসলেই কি ৯২%+ মুসলিম আছে? আমার বোধগম্য নয় ।