আগামী প্রজন্মের দক্ষতা বা ২১ শতকের দক্ষতা হিসেবে গবেষকরা কিছু গুণ বা দক্ষতাকে চিহ্নিত করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে –
১. বাস্তব সামাজিক যোগাযোগ বা Social communication
২. বিশ্লেষণধর্মী চিন্তা ও সমস্যা সমাধান বা Critical thinking and Problem solving
৩. সৃজনশীলতা ও নতুনত্ব বা Creativity and Innovation
৪. মিলেমিশে কাজ করা ও মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বা Collaboration and Adaptability
৫. আত্মমূল্যায়ন ও জবাবদিহিতা বা Self-assessment and Accountability
৬. কাজে প্রযুক্তির ব্যবহার Application of technology to workflow
৭. সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা বা Cultural understanding
এই প্রতিটি গুণই বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে বিকশিত করার সুযোগ রয়েছে সাদাকায়নে। উন্মুক্ত এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং পরবর্তী ধাপে স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আলোচিত প্রতিটি দিকের বাস্তব প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর এই অভিজ্ঞতাই একজনকে গড়ে তোলে আধুনিক সময়ের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্যে।
সাদাকায়নে বিভিন্ন জীবনমুখী আলোচনায় এ গুণগুলো বিকাশের জন্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও টিপস তুলে ধরা হয় বাস্তব ঘটনা, উদ্বুদ্ধমূলক গল্প ও উদাহরণের সাহায্যে। ফলে শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কোনো বয়সের, যে কোনো পেশার মানুষ বিষয়গুলো সহজেই উপলব্ধি করতে পারেন। বাস্তব জীবনে কীভাবে তা প্রয়োগ করতে হবে তা বুঝতে পারেন।
মেডিটেশন, আলোচনা ও কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে তৈরি হয় স্ট্রেস, টেনশন থেকে মুক্ত থাকার এক স্বতঃস্ফূর্ত শক্তি। সামাজিক এ কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণের ফলে বাস্তব সামাজিক যোগাযোগ ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তাভাবনা বিকশিত হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সেবামূলক কাজে স্বেচ্ছাসেবায় অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে সাদাকায়ন, ফলে অন্যান্য জীবনমুখী বাস্তব গুণাবলি বিকশিত হয়। সবার সাথে মিলিমিশে কাজ করা, মানিয়ে চলার পাশাপাশি নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে বিকশিত হয় সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা ও নতুন কিছু করার দক্ষতা। প্রতিটি কার্যক্রমের ইতিবাচক পর্যালোচনার মাধ্যমে জবাবদিহিতা ও আত্মমূল্যায়নের অভ্যাস গড়ে ওঠে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।