নেইমার নৈপুণ্যে দাপুটে জয় দিয়ে আসর শুরু করেছে ব্রাজিল। বি গ্রুপের প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সেলেসাওরা। পেনাল্টি থেকে গোল আদায়ের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করেছেন নেইমার। একটি করে গোল করেছেন মারকুইনহোস আর বারবোসা।
করোনায় প্রায় ভেস্তে যাওয়া আসরটা অবশেষে আলোর মুখ দেখল। মাঠে গড়াল কোপা আমেরিকা। আসর নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও শেষ মুহূর্তে আয়োজক হয়ে যাওয়া ব্রাজিলের জয়টা ছিল প্রত্যাশিত।
ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্জায় ভেনেজুয়েলাকে নিয়ে ছেলে খেলা করতে না পারলেও আধিপত্য ঠিকই বিস্তার করেছে সেলেসাওরা। নেইমারের নৈপুণ্যে ব্রাজিল ৩-০ গোলে হারিয়েছে ভেনেজুয়েলাকে। তিন গোলের একটি নেইমার করেছেন। অন্য দুটির পেছনে অবদান এই পিএসজি তারকার।
বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল ৪-৩-৩ ছকে মাঠে নেমেছিল। বিপরীতে ভেনেজুয়েলা ৫-৪-১ ছকে নিজেদের রক্ষণ সামলাতে ব্যস্ত থেকেছে। যদিও গোল হজম থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্রাজিল। একের পর এক আক্রমণ করে তটস্থ রেখেছে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের। কিন্তু প্রথমার্ধে তাদের এক গোল নিয়ে থাকতে হয়েছে। তবে প্রথমার্ধে যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, তাতে করে গোল সংখ্যা আরও বাড়লে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
ম্যাচের ৯ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়ে নেইমার লক্ষ্যে শট নিতে পারেনি। একটু পর মিলিতাওর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। যদিও সেলেসাওদের প্রথম গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হয়নি।
২৩ মিনিটে প্রথম গোল হয়। নেইমারের বা প্রান্তের কর্নার থেকে মারকুইনহোস ৬ গজের মধ্যে থেকে লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে নেন। ২৫ মিনিটে বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে ব্রাজিল গোল পায়নি। ৩০ মিনিটে নেইমারের আরও একটি প্রচেষ্টা পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
বিরতির পর ব্রাজিল আরও দুর্বার। ৫৩ মিনিটে গ্যাব্রিয়েল জেসাসের ক্রসে নেইমার পোস্টের সামনে ফাঁকায় পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৬২ মিনিটে দানিলোকে ফেলে দেয় ভেনেজুয়েলার এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে দেখে শুনে নেইমার গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।
নেইমারের ঝলক তখনও শেষ হয়নি। ৮৯ মিনিটে ব্রাজিল তৃতীয় ও শেষ গোল পায়। সেখানেও অবদান নেইমারের। বা প্রান্ত থেকে গোলকিপারকে কাটিয়ে নেইমারের নেওয়া ক্রসে গাব্রিয়েল বারবোসা ৩-০ করেন।
কোচ তিতের মুখে তখন চওড়া হাসি। দল যে হেসে-খেলে কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু
করেছে ।