কারণ, সব কথার সেরা কথা হলো আসসালামু আলাইকুম বা আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক — এই কথাটি। এই কথাটি শুধু শান্তিকামনা করে না, এ কথার মধ্য দিয়ে সুখ সৃষ্টি হয়, পরস্পরের প্রতি সমমর্মিতা বাড়ে। আর শান্তি, সুখ, সমমর্মিতার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি পরিবারে। কারণ দিনশেষে আমরা সবাই ফিরি ঘরে, পরিবারের মানুষদের কাছে।
২০২২ সালে আমাদের পরিবারের পরিজনদের প্রতি প্রথম করণীয় হোক সালাম চর্চা। নিজে আগে হাসিমুখে সালাম দেয়া এবং সালাম পেলে হাসিমুখে তার উত্তর দেয়া।
নিজে আগে সালাম দেবো
সালাম কে কাকে আগে দেবো? যিনি আগে দেবেন, তিনি এগিয়ে থাকবেন পুণ্যের দিক থেকে। সেই তিনি বয়সে যত বড় বা ছোট হোন না কেন। রসুলুল্লাহ (স) আগে সালাম দেয়াটাকে সবচেয়ে পছন্দ করতেন এবং তিনি সবসময় আগে সালাম দিতেন। এজন্যে যার সাথেই দেখা হোক, ছোট-বড় নির্বিশেষে আমরা আগে সালাম দিতে সচেষ্ট থাকব।
সালাম বিনিময় হতে পারে একটি সুন্দর পারিবারিক সংস্কৃতি
মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা নূর-এর ৬১ নম্বর আয়াতে বলেছেন, এ কল্যাণের দোয়া আল্লাহর কাছ থেকে নির্ধারিত, কল্যাণময় ও পবিত্র। পবিত্র কোরআনে ঘরে প্রবেশের পূর্বে অভিবাদন জানিয়ে সালাম দেয়ার কথা বলা হয়েছে। কাউকে বিদায় দেয়ার সময় আমরা সালাম দেবো। প্রতিদিন হাসিমুখে এই কল্যাণকামনা যদি চলতে থাকে, তাহলে আমাদের পরিবারগুলোতে আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন। পরিবারই হবে আমাদের সুখের নীড়, শান্তির উৎস।
কারো সাথে ভুল বোঝাবুঝি বা কথা কাটাকাটি হয়েছে? সমঝোতার পথ তৈরি করতে চাচ্ছেন? তাকে শান্ত করতে চাচ্ছেন? হাসিমুখে সালাম দিয়ে নিজেই এগিয়ে যান।
তবে সালামের ক্ষেত্রে কাউকে জোর করবেন না। ভাই-বোনকে সালাম দিন। বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঘুম থেকে উঠে হাসিমুখে সালাম দিন। তাদের কুশল জিজ্ঞেস করুন। বাইরে যাওয়ার আগে তাদেরকে সালাম দিয়ে যান। তাদের দোয়া সবসময় আপনার সাথে থাকবে। প্রতিটি পদক্ষেপ সুন্দর হবে, সাফল্যমণ্ডিত হবে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সালাম বিনিময় হতে পারে একটি সুন্দর পারিবারিক সংস্কৃতি।