আসসালামু আলাইকুম। বরকতান! বরকতান!! কোয়ান্টাম! কোয়ান্টাম!!
আসলে যখন একজন মানুষ অন্যের জন্যে নিজের আরামটা ছেড়ে দেয়, অন্যকে আরাম করতে দিয়ে নিজে কষ্টের কাজটা বেছে নেয় কষ্টের বিষয়টা বেছে নেয়, তখন কী হয়? তখন আমরা কোয়ান্টামে বলি ল’জ অব ন্যাচারাল রিটার্ন।
প্রকৃতির প্রতিদান। আসলে আল্লাহতায়ালা তো সব একটা প্রাকৃতিক নিয়ম করে দিয়েছেন সেই নিয়মের মধ্য দিয়ে কাজ হয় এবং কাজ নষ্ট হয়।
হয়ও সেই নিয়মের মধ্য দিয়ে আল্লাহ যে নিয়ম করে দিয়েছেন, আবার নষ্টও হয় সেই নিয়মের মধ্য দিয়ে। যেটাকে আমরা বলি প্রকৃতির প্রতিদান।
আজকে আলোচনার বিষয়বস্তু যেটা হচ্ছে, সুস্থ জীবন চাইলে কাজ করুন মানুষের কল্যাণে। সুস্থ জীবন চাইলে কাজ করুন মানুষের কল্যাণে।
আসলে মানুষের কল্যাণে কাজ করলে কী হয়? নিজে সুস্থ থাকা যায়।
এবং সুস্থ থাকাটা কী? সুস্থ জীবনটা কী?
আমরা আমাদের কোর্সে কী বলি? আমরা আমাদের কমান্ড সেন্টার কেন করেছি?
কমান্ড সেন্টার আমরা করেছি অন্যের কল্যাণের জন্যে। কমান্ড সেন্টার হচ্ছে অন্যের কল্যাণের জন্যে।
এই যে অন্যের কল্যাণ- কেন? অন্যের যত কল্যাণ করবেন আপনার তত কল্যাণ হবে।
এবং অন্যের যত ক্ষতি করবেন আপনার তত ক্ষতি হবে।
আমেরিকার ঘটনা এটি। ঘটনাটা খুব চমৎকার।
একজন আত্মউন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।
তিনি একশহর থেকে আরে শহরে যাবেন। টিকেট বিমান যে-কোনো কারণে হোক জ্যামে পড়ে গেছেন। একদম শেষ মুহূর্তে যখন উনি বিমানের গ্যাংওয়ে। অর্থাৎ যেখান থেকে বিমানে ঢুকতে হয়, এই গ্যাংওয়ে পর্যন্ত যখন গিয়েছে তখন দরজা বন্ধ হয়ে গেছে।
ওখানে যে কর্তব্যরত ব্যক্তিটি ছিলেন তাকে প্রথম খুব রিকোয়েস্ট করলেন।
রিকোয়েস্টে যখন কাজ হয় না, তখন বকাবকি করি।
খুব বকাবকি করলেন। কিন্তু কোনো লাভ হলো না। এটা বন্ধ তো বন্ধই।
এবং উনি নিজের চোখের সামনে দেখলেন যে বিমানটা এগিয়ে যাচ্ছে রানওয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। রানওয়ে থেকে বিমান উঠছে।
মনের দুঃখে রাগে ক্ষোভে তিনি টিকেট কাউন্টারে গেলেন। মানে টিকেট ফেরত দিয়ে টাকা নেয়ার জন্যে।
কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আছেন আর ক্ষোভে গজরাচ্ছেন। এর মধ্যেই পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঐ টিকেট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই একটা প্রচণ্ড আওয়াজ পেলেন- বিস্ফোরণের শব্দ!
এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পেলেন, যে বিমানে ওনার ওঠার কথা ছিল, যে বিমানে ওঠার জন্যে উনি এত চেষ্টা করেছেন, রিকোয়েস্ট থেকে তারপরে ঝগড়া, সে বিমানটা রানওয়ে থেকে ওঠার সময়েই একটা ইঞ্জিন আউট হয়ে যায়! এবং কন্ট্রোল ফেল করে এবং বিমান বিধ্বস্ত হয়।
পাইলট-ক্রু থেকে শুরু করে সব যাত্রী মারা যান, কেউ বাঁচেন নি! উনিই একমাত্র উঠতে পারেন নি বলে বেঁচে গেছেন।
কেন? কারণ যে কাজটা উনি করতেন আত্মউন্নয়নের কাজ অন্যের আত্মিক উন্নয়নের কাজ অন্যের মানসিক উন্নয়নের কাজ অন্যের মনোবল উন্নয়নের কাজ অন্যের কল্যাণের কাজ। প্রকৃতি তাকে প্রতিদান দিয়েছে আল্লাহ তাকে প্রতিদান দিয়েছেন। তিনি বিমানের টিকেটটা আর ফেরত দেন নাই টাকাও তোলেন নাই। ঐ টিকেটটা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন এবং মাঝেমাঝে স্মরণ করেন দেখেন।
উনিও সে-সময় যদি আর দুই মিনিট আগে পৌঁছতে পারতেন তাহলে বিমানে উঠতেন এবং উনিও লাশ হয়ে যেতেন। জীবন ওনার কাছ থেকে চলে যেত জীবন ওনার কাছে থাকত না। জীবন থেকে তিনি বঞ্চিত হতেন।
তো আমরা আসলে যখন অন্যের কল্যাণ করি এই কল্যাণটা সবসময়, সবসময় জমা থাকে। সবসময় জমা থাকে।
যখন আপনার প্রয়োজন তখন এমন মানুষ আপনাকে সহযোগিতা করবে, এমন মানুষ আপনার সাহায্য করবে যেটা আপনি তাকে আগেও দেখেন নাই পরেও দেখেন নাই।
[কোয়ান্টামম সাদাকায়ন, ১৮ অক্টোবর, ২০১৯]