1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন

পারিবারিক একাত্মতা বাড়াবেন কীভাবে?

  • সময় বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬০ বার দেখা হয়েছে

পারিবারিক একাত্মতা বাড়াবেন কীভাবে?

আমাদের আজকের সাদাকায়নের যে আলোচনা পারিবারিক একাত্মতা বাড়ান। তার মানে হচ্ছে পারিবারিক একাত্মতা আমাদের – যে মাত্রায় থাকা উচিত সেই মাত্রা থেকে কম আছে। যদি কম না থাকত তাহলে বাড়ানোর কথা বলা হতো না।

‘হাম দো হামারা দো’ থেকে হয়ে গেছে ‘হাম হাম তুম তুম’

তো আসলে পরিবার কী? পরিবার কিছুদিন আগেও ছিল হাম দো হামারা দো। এখন হয়ে গেছে হাম হাম তুম তুম। আমি আমি তুমি তুমি। এখন এই হাম হাম তুম তুম, মানে আমি আমি এবং তুমি তুমি – সমস্যাটা হয় ওখানে। যখন আমি এবং তুমি হয়ে যাই। পরিবার হচ্ছে আমরা। যখন আমরা হই তখন এটা হয় পরিবার। আর যখন আমি হই আর তুমি হই তখন এটা আর পরিবার থাকে না। তো পরিবার কী? পরিবারের সম্পর্কের কিন্তু কোনো শেষ নাই। বিভিন্ন নাম আছে। পরিবারে কারো নাম মা কারো নাম বাবা কারো নাম খালা কারো নাম খালু কেউ চাচা কেউ চাচী।

শোনার আগ্রহ যদি থাকে তাহলে একাত্মতা হয়

কেউ স্বামী কেউ স্ত্রী কেউ ছেলে কেউ মেয়ে। কেউ ভাই কেউ বোন কেউ ভাতিজা কেউ ভাতিজি কেউ দাদা-দাদি নানা-নানি নামের কোনো অভাব নাই। পরিচয় ভিন্ন ভিন্ন কিন্তু পরিবার কিন্তু সব মিলে- পরিবার সব মিলে। এবং এই পরিবারিক সুখ অথবা শান্তি আমরা যাই বলি এটার জন্যেই প্রয়োজন হচ্ছে একাত্মতা। যে পরস্পরের কথা শোনার আগ্রহ। মূল বিষয়টা হচ্ছে, পরিবারের যারা আছেন তাদের প্রত্যেকের কথা শোনার আগ্রহ যদি থাকে তাহলে একাত্মতা হয়। একাত্মতার অভাব হচ্ছে শোনার আগ্রহ থাকে না। বলার আগ্রহ থাকে। দুই পক্ষেরই যদি শুধু বলার আগ্রহ থাকে তাহলে কী হয়?

পরিবার সবসময় এঁকে বেঁকে যায়

এটা নিয়েও আমাদের সুফিদের গল্প আছে। সুফিরা আসলে- সুফি বলি ঋষি বলি- একই জিনিস। একেক ভাষায় একেকভাবে তারা সম্বোধিত হন। তো সুফিদের গল্প।

যে এক লোক নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। নদীতো- কিন্তু খালের মতন সোজা যায় না। নদী সবসময় এঁকে বেঁকে যায়। এবং পরিবারও কিন্তু সবসময় এঁকে বেঁকে যায়।

তো এক নির্জনতা- প্রিয় মানুষ- তিনি যাচ্ছেন, নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছেন। কোনো কোলাহল নাই কিচ্ছু নাই। যখনই একটা বাঁক পার হলেন, আরেক বাঁকে গিয়ে যখন পৌঁছলেন দেখেন যে দুইজন মানুষ, সুস্থ-সবল মানুষ, খুব জোরে কথা বলছে। দুইজনের মাঝখানের দূরত্ব হচ্ছে দুই হাত। কিন্তু দুইজনই কথা বলছে জোরে। জোরে কথা বলছে। এমনভাবে কথা বলছে যে যাকে বলছে সে যেন নদীর ঐ পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। তাকে কথা শোনানোর জন্যে এবং কথা বলছে। বাক্য কোনোটা সমাপ্ত হচ্ছে অর্ধ সমাপ্ত হচ্ছে তারপরে চেঁচামেচি হচ্ছে।

দুই হাত দূরত্বে থাকলেও এদের মানসিক দূরত্ব অনেক

তো দুইজনের যে অবস্থা, চিৎকার-চেঁচামেচি। উনি আর কোনোকিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পেলেন না যে এর মধ্যে গিয়ে আবার কোন ঝামেলায় পড়ি। তিনি গ্রামে চলে এলেন। গ্রামের যিনি বুজুর্গ বা যিনি ঋষি ছিলেন। কারণ বুজুর্গ বা ঋষিদের কাছেই মানুষ বুদ্ধি বা পরামর্শের জন্যে যেত আগে, এবং তারা সৎ বুদ্ধি সৎ পরামর্শ দিতেন। তো জিজ্ঞেস করছেন বুজুর্গক্‌ যে হুজুর, আমি আজকে এইরকম ঘটনা দেখলাম। যে দুইজন লোক দুই হাত দূরত্বে এত জোরে চিৎকার করছে যে মনে হচ্ছে যে একজন নদীর ঐ পাড়ে একজন নদীর এই পাড়ে। কারণটা বুঝলাম না। তো হুজুর হাসলেন, হেসে বললেন যে দেখো, এরা দুই হাত দূরত্বে থাকলেও এদের মানসিক দূরত্ব হচ্ছে নদীর ঐ পাড় আর এই পাড়। মনের দিক থেকে তারা দুই পাড়ে। দুই দিকে অনেক দূরে আরকি। যার ফলে দুইজনই পরস্পরকে তার কানে কথা ঢোকানোর জন্যে চিৎকার করছে। ভাবছে যে যত জোরে আওয়াজ করতে পারবে তত তার কানে ঢুকবে। কারণ দুইজনের মধ্যে মানসিক দূরত্ব অনেক।

মানসিক দূরত্ব হচ্ছে একাত্মতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা

তাহলে আমরা কী দেখছি? যে মানসিক দূরত্বটা হচ্ছে একাত্মতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা সবচেয়ে বড় অন্তরায়। মন যদি দূরে থাকে তাহলে আপনি কাছে থাকলেও অনেক দূরে থাকবেন। এবং কাছে থাকলেও জোরে কথা বললেও শুনবেন না। যদি মন দূরে থাকে আরকি। আবার দেখেন মা এবং বাচ্চা, ছয় মাসের বাচ্চা, কিছুই বোঝে না, চিৎকার করছে আরকি। মা কিন্তু চিৎকার করে না। মায়ের ভাষাটা কী হয়? হাসি। ও ও- মায়ের ভাষা- ভাষারও কোনো অর্থ নাই, শিশুর ভাষারও কিন্তু শব্দেরও কোনো অর্থ নাই আরকি। কিন্তু মুহূর্তে সে দেখা যাচ্ছে ও ও শুনে- ও ও ও সে চুপ।

ভাষাটা বোঝা হচ্ছে খুব গুরুত্বপূর্ণ

কেন? দুইজনের মধ্যে শিশু এবং মায়ের মধ্যে মনের টান আছে মনের মিল আছে। যার ফলে ভাষা না বুঝলেও শিশু কী চাচ্ছেন মা বোঝেন এবং শিশু ভাষা বুঝলেও মা কী বলতে চাচ্ছে শিশু সেটা বোঝে। না বোঝে না? বলেন, (দর্শকের কথা) বোঝে। তো আসলে এই ভাষাটা বোঝাটা হচ্ছে খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ, খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আসলে পারিবারিক বন্ধনের কোনো গ্রামার নাই

আসলে পারিবারিক বন্ধনের কোনো গ্রামার নাই ব্যাকরণ নাই অংক নাই। এটা বললাম যে এটা আঁকা বাঁকা থাকে। এক ফ্যামিলির এক হাজবেন্ড ওয়াইফ। যখনই তারা ঘরে আসেন ঝগড়া করেন। ঝগড়া চলছে। তো তার মানে ছেলেমেয়েরা বলল যে ঠিক আছে তোমাদের তো এখন বয়স হয়েছে এত ঝগড়া করার দরকারটা কী? মেয়ে বলল যে মাকে, যে তুমি আমার সাথে থাকো। আবার বাবাকে ছেলে বলল যে তুমি আমার সাথে থাকবা। এখন দুইজন আলাদা থাকবে না। তো মা বলছে সে মেয়েকে, যে বাবার কী হবে? তোর বাবাকে কে দেখবে? মানে (হাসি) বাবা বলছে ছেলেকে তোর মা তো আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না।

এবং যেই মানে একত্র হলো আবার ঝগড়া। এবং মানে ঝগড়া হচ্ছে আবার। খাওয়াদাওয়াতে কোনো বিরাম নাই। দুইজন খাওয়াদাওয়া করছে (হাসি) ঝগড়া হচ্ছে আরকি। এবং যে মা, মায়ের শরীর অত ভালো ছিল না। অসুস্থ ছিল। নানানরকম রোগ। সবাই মনে করেছে যে মা আগে মারা যাবে বাবা পরে। বাবা মোটামুটি মানে সুস্থ, ভালো। তো বাবা হাসপাতালে গিয়েছেন, হাসপাতালে নিতে নিতে মারা গেছেন। এবং কোনো অসুখ-বিসুখ ছাড়া হাসপাতালে নেয়ার পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলো। তো এখন মৃত ব্যক্তিকে তো আগে কী করা যেত না? ঘরে তো আর উঠানো যাবে না। সিঁড়ি বারান্দায় আরকি, বিল্ডিংয়ের সিঁড়িতে তাকে রাখা হয়েছে।

ঐ মহিলার শেষ শব্দ ছিল, ও আল্লাহর কাছে চলে গেছে?

ছেলেমেয়েরা চিন্তায় পড়ে গেল যে মাকে যদি বলা হয় যে বাবা মারা গেছেন তাহলে মারা যাবে। তো আরেকজন বলল যে, না মানে আসল ঘটনাতো তাকে জানাতে হবে।

এবং শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নিল যে না, যেহেতু তার সঙ্গী, তার সঙ্গী কোথায় সঙ্গী সম্পর্কে সঠিক তথ্যটা দেয়াই ভালো, সত্য জানাটাই ভালো। তা না হলে প্রতি মুহূর্ত, যে আচ্ছা তোর বাবা কখন আসবে কখন আসবে কখন আসবে? প্রতি মুহূর্ত অপেক্ষা। তো মা তো নামতে পারে না। তাকে কোলে করে নামানো হলো। তো বলে যে তোর বাপ কোথায়? এই কাপড় তুলল। বলে যে কী হয়েছে? বলে যে আল্লাহর কাছে চলে গেছে। তো ঐ মহিলার শেষ শব্দ ছিল ও আল্লাহর কাছে চলে গেছে? এবং এরপরে খাওয়াদাওয়া সব বন্ধ। এবং জাস্ট সিক্স ডেজ। তিনি মারা গেলেন। কিন্তু যতক্ষণ জীবিত ছিলেন আরকি তাদের ঝগড়া কিন্তু কখনো থামে নাই।

ঝগড়ার পরে যদি হাসতে না পারেন তখন বুঝবেন একাত্মতার অভাব

তো আসলে এই যে একাত্মতা, একাত্মতাটা কিন্তু আলাদা জিনিস। পরিবারে এটা মনে করার কোনো কারণ নাই যে ঝগড়া হবে না ঝাঁটি হবে না এই হবে না সেই হবে না। সবকিছু হবে। এটাই পরিবার। কিন্তু আবার কোথায় যেন কিছুক্ষণ পরে মিল। তাহলে বুঝতে হবে একাত্মতা আছে। আর ঝগড়া না হলে বুঝতে হবে কোনো টান নাই গতি নাই এখানে এই পরিবারে সব পুতুলের মতো রোবটের মতো চলাচল করছে। অতএব ঝগড়া হলেই মনে করবেন না যে পরিবারে একাত্মতার অভাব আছে। কখন মনে করবেন? ঝগড়ার পরে যদি আপনি হাসতে না পারেন তখন বুঝতে হবে যে পারিবারিক একাত্মতার অভাব ঘটেছে। ঝগড়ার পরে আপনাকে হাসতে হবে।

এক হচ্ছে, দোষারোপ করা। এবং দুই হচ্ছে, আমাকে বোঝে না

তো আসলে পারিবারিক একাত্মতার পথে অভাবটা কোথায়?

এক হচ্ছে, দোষারোপ করা। সবসময় একজন আরেকজনকে দোষারোপ করা। একটা ঘটনা হয়েছে, পরিস্থিতির দায়িত্ব অন্যের ওপর চাপিয়ে দেয়া। আমার না তোমার। যেরকম অনেক সময় হয় যে ছেলে রেজাল্ট খারাপ করলে বাবা বলে এই তোমার ছেলে। আর রেজাল্ট ভালো করলে (হাসি) তখন কিন্তু আর মার ছেলে বলে না। তখন বলে যে আমার ছেলে। তো (হাসি) এখন দোষটাও সবসময় অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা।

এবং দুই হচ্ছে, আমাকে বোঝে না। এই দুটো হচ্ছে পারিবারিক একাত্মতার পথে অভাব।

সবসময় শুনবেন, বলবেন কম

তো আসলে প্রতিকারটা কী? কোয়ান্টামে আমরা বলি যে প্রত্যেকটা সমস্যার সমাধান আছে এবং প্রত্যেকটা সমস্যার প্রতিকার আছে। প্রতিকারটা কী? ভালো শ্রোতা হোন। সবসময় শুনবেন, বলবেন কম। পারিবারিক জীবনে শুনবেন বেশি এবং অপর পক্ষকে অফুরন্ত বলার সুযোগ দেবেন। আপনাকে তুলাধুনা করার সুযোগ দেবেন। স্ত্রী যদি মানে কথা বলতে চায়, তুলাধুনা করার সুযোগ দেবেন। তুলাধুনা করার পরে দেখবেন যে উনি- তুলাধুনা শেষ দেখবেন যে উনি খাবারদাবার নিয়ে আবার আপনার কাছে চলে এসছেন, ঠিক আছে খাও। তো আপনি কথা না বলে যদি ভালো খাবার পান (হাসি) আপনার কথা বলার দরকারটা কী? (হাসি)

মনোযোগ দিয়ে শুনলে ৯০ ভাগ অভিযোগ শেষ

তো হাজবেন্ডের বিরুদ্ধে বা ওয়াইফের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আছে, হাজবেন্ড এবং ওয়াইফ যদি মনোযোগ দিয়ে শুধু শুনে- শুনলে ৯০ ভাগ অভিযোগ শেষ হয়ে গেল। বাকি ১০ ভাগ কিছু তো থাকবে। সেটাকে ঠিক করে নেয়াটা খুব সহজ।

আমাকে বুঝল না, না আমি বোঝাতে পারি নাই?

আর দুই নম্বর আমাকে বুঝল না, না আমি বোঝাতে পারি নাই। কীভাবে বোঝাতে পারব সে বোঝানোর দায়িত্ব নিতে হবে এবং সরাসরি কথা বলবেন সবসময়। ডাইরেক্ট। ভায়া মিডিয়া না কোনো বিকল্প পথে না।

আর সন্তানের ক্ষেত্রে সন্তানের বন্ধু হোন। কারণ সন্তান সবচেয়ে বেশি কথা শুনে বন্ধুর। অতএব আপনি তার বন্ধু হয়ে যান। তার ভাষা বোঝার চেষ্টা করেন, আপনি দেখবেন যে সন্তান আপনার ভাষা বোঝার চেষ্টা করছে। আর সন্তান যিনি, আপনার দায়িত্ব হচ্ছে মা-বাবাকে বোঝানো। এবং আমরা কোয়ান্টাম পরিবার একটা ব্যতিক্রমী পরিবার। আমাদের সিনিয়র গ্রাজুয়েটরা হচ্ছে ছেলেমেয়ে, জুনিয়র গ্রাজুয়েট হচ্ছে তার মা-বাবা। আগে ছেলেমেয়েরা কোর্স করেছে মেডিটেশন করেছে। তাদের পরিবর্তন দেখে মা-বাবা উদ্বুদ্ধ হয়ে কোর্স করতে এসছেন। এটা হচ্ছে আমাদের পরিবারের ৭০ ভাগ অবস্থা।

বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে কনভিন্স করার জন্যে, ঝগড়া করার জন্যে না

তো আসলে সন্তান হিসেবে, ইয়ংম্যান, মা-বাবাকে বোঝানোর দায়িত্ব তো ইউর। ইউ আর দি লেটেস্ট এবং লেটেস্ট হচ্ছে গ্রেটেস্টকে সবসময় পরাজিত করে। তো অতএব কী করবেন? আন্তরিকতা নিয়ে চেষ্টা করবেন এবং অপেক্ষা করবেন। এবং কৌশলী হবেন। ঝগড়ায় যাবেন না কখনো বাবা-মার সাথে। বুদ্ধি প্রয়োগ করবেন। কারণ আপনি তার চেয়ে বুদ্ধিমান। শুধু বুদ্ধিটা প্রয়োগ করতে হবে মা-বাবার সাথে কী করার জন্যে? মা-বাবাকে কনভিন্স করার জন্যে, মা-বাবার সাথে ঝগড়া করার জন্যে না রাগারাগি করার জন্যে না।

পরিবারে শিশুর মতন হোন

এবং সবচেয়ে বড় কথা একটা অস্ত্র আছে পরিবারিক জীবনে, একটা অস্ত্র প্রয়োগ করবেন। গাম্ভীর্য রাখবেন না। গম্ভীর থাকবেন না। মানে আপনি কত জানেন, অনেক বড় অ্যা জাননেওয়ালা, না। বি চাইল্ড। শিশুর মতন হোন। সহজ-সরল হাসিমুখে এবং পরিবারের সবাইকে আগে সালাম দেবেন, আসসালামু আলাইকুম। আব্বু আসসালামু আলাইকুম। আম্মু আসসালামু আলাইকুম। স্ত্রীকে আসসালামু আলাইকুম। হাসিমুখে সালাম দেবেন এবং কোনো গাম্ভীর্য রাখবেন না। সবসময় ফ্রেন্ডলি সবার সাথে ফ্রেন্ডলি। এবং যখনই আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের খোলসটা ছেড়ে ফেলবেন সবাই যখন আপনাকে বন্ধু ভাববে, কারণ বন্ধুর দ্বারা সবাই প্রভাতি হয় সবচেয়ে বেশি।

সুসম্পর্ক যিনি রক্ষা করবেন তিনি দীর্ঘায়ু হবেন এবং তার রিজিক বাড়বে

এবং এই যে পারিবারিক সুখ এবং শান্তি, এটা কিন্তু খুব ইম্পর্টেন্ট। আমাদের নবীজী (স) ১৪শ বছর আগে বলেছেন স্বজনপরিজন সুজনের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষাকারীর আয়ু যেমন বাড়ে, তেমনি প্রবৃদ্ধি ঘটে উপার্জনে। অর্থাৎ স্বজনপরিজন এবং সুজন, পরিবারের জন এবং ভালো মানুষের সাথে সুসম্পর্ক যিনি রক্ষা করবেন তিনি দীর্ঘায়ু হবেন এবং তার রিজিক বাড়বে।

অতএব আত্মীয়দের সাথে এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে সুসম্পর্ক যত বেশি রক্ষা করবেন, আপনি দীর্ঘায়ু হবেন এবং আপনার উপার্জন বেড়ে যাবে। খরচ করার ক্ষমতা বেড়ে যাবে। উপার্জন বাড়া মানে খরচ করার ক্ষমতা বাড়া। এবং আপনি সুখী এবং দীর্ঘায়ু হবেন।

তো এতক্ষণ মনোযোগ দিয়ে যে শুনলেন এইজন্যে আপনাদেরকে আবারও আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। সবাই ভালো থাকুন এবং সবসময় নিয়মিত মেডিটেশন করুন এবং সবসময় পরিবারে হাসিমুখে কথা বলুন এবং পরিবারে সবাইকে আগে সালাম দিন। সবাই ভালো থাকুন। খোদা হাফেজ। আসসালামু আলাইকুম।

[কোয়ান্টামম সাদাকায়ন, ২৬ এপ্রিল ২০২৪]

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com