1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
আজও উৎপাদন বন্ধ আশুলিয়ার ২১৯ কারখানায় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর চট্টগ্রামের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী আটক পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশে প্রবেশ ফি কমলো বোটানিক্যাল গার্ডেনের আশুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ৫৮ পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা ইতিহাসের পাতায় ১১ সেপ্টেম্বর উষ্ণ হৃদয় ও ঠান্ডা মস্তিষ্কের সম্মিলনে মানুষ হয় ভালো মানুষ, দেশ হয় ভালো দেশ ইতিহাসের পাতায় ১০ সেপ্টেম্বর আন্দোলন যেন থামছেই না, কার্যাদেশ হারানোর শঙ্কা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের ভেতরে রেখেই তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা

পি কে হালদারের দুর্নীতির ৯৬০ কোটি টাকা জব্দ

  • সময় বুধবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১
  • ৬৫৬ বার দেখা হয়েছে

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত ৩৯ কম্পানির সংশ্লিষ্ট ৮৩ ব্যক্তির শতাধিক হিসাব জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সহায়তায় এসব হিসাব জব্দ করা হয়েছে।

ফ্রিজকৃত হিসাবের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ ও এমটিবি মেরিন লিমিটেডের মালিক নওশের উল ইসলামের নামে থাকা ৯৫২ কোটি টাকা এবং তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগমের নামে লোপাটকৃত দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এ ছাড়া এমটিবি মেরিন লিমিটেডের অন্য মালিক বাসুদেব ব্যানার্জির নামে চার কোটি ৬৪ লাখ টাকা ও ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের মালিক পাপিয়া ব্যার্নাজির নামে ৬১ লাখ টাকা ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে নওশের উল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী মমতাজ বেগম, এমটিবি মেরিন লিমিটেডের অন্য মালিক বাসুদেব ব্যার্নাজি ও ন্যাচার এন্টারপ্রাইজের মালিক পাপিয়া ব্যার্নাজিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলেও দুদকের ডাকে সাড়া দেননি তাঁরা। তবে আলোচিত পি কে হালদার চক্রের প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

দুদক সূত্রে জানা যায়, নওশের ইসলাম ভুয়া কম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস লিজিং ও পিপলস লিজিং থেকে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কয়েক বছরে তার একাধিক হিসাবে ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা জমা করেন। যার মধ্যে উত্তোলন করেন দুই হাজার ৪৩২ কোটি। কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর দুদকের উদ্যোগে ৯৫২ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। একইভাবে নওশের ইসলামের স্ত্রী মমতাজ বেগম ভুয়া কম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে কয়েক বছরে তাঁর একাধিক হিসেবে চার কোটি টাকা জমা করেন। যার মধ্যে ২.৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। আর দুদক দুই কোটি ৬৯ লাখ টাকা জব্দ করেছে।

অন্যদিকে বাসুদেব ব্যানার্জি ভুয়া কম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে তার একাধিক হিসাবে জমা করে ৭৬৪ কোটি টাকা এবং উত্তোলন করে ৪৬২ কোটি। তাঁর হিসাবে থাকা ৪.৬৪ কোটি টাকা জব্দ করেছে দুদক। অন্যদিকে পাপিয়া ব্যানার্জি কয়েক বছরে ভুয়া কম্পানির নামে ঋণ দেখিয়ে তাঁর একাধিক হিসাবে জমা করেন পাঁচ কোটি ৩৫ লাখ এবং উত্তোলন করেন ৩৪ কোটি টাকা। তাঁর হিসাবে থাকা ৬১ লাখ টাকা জব্দ হয়েছে দুদকের অনুরোধে।

এ বিষয়ে দুদক উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে আমাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে হয়। পি কে হালদারের বিষয়ে উচ্চ আদালতেরও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © RMGBDNEWS24.COM