1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন

প্রতিকূলতা সক্ষমতা বাড়ায়

  • সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০২২
  • ৬২৬ বার দেখা হয়েছে

আজকের সাদাকায়নে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আর পরম করুণাময়ের কাছে গভীর গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ২১শে মে বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের ঊষালগ্নে ঠান্ডা বাতাস আর বৃষ্টি সেই সাথে ঝড়ো হাওয়া প্রবাহিত করার জন্যে।

এই শীতল বাতাস ও বৃষ্টি কয়েকদিনের ভ্যাপসা গরম দূর করে দেয় মুহূর্তে। ফলে দিবসটির সারা দিন-ই আবহাওয়া ছিল ঠান্ডা। এক আরামদায়ক ঠান্ডায় সকালে মাঠে ময়দানে পার্কে দেশে বিদেশের পাঁচ শতাধিক ভেনুতে আবালবৃদ্ধবনিতা ধ্যানে নিমগ্ন হন।

আর বিকেলে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সমবেত হন শিশু চিত্রাঙ্কন উৎসবে।

এবারের মেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল- ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ। সর্বস্তরের মানুষ একাত্ম হয়েছেন এই ভাবনায়। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের সকল আয়োজনকে সফল করার জন্যে আপনিসহ দেশ বিদেশের সকল ধ্যানী ও ধ্যান অনুরাগীদের আমরা বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে হীন চক্রান্ত থেকে!

বাস্তব সত্য হচ্ছে হাজার হাজার বছর ধরেই আমাদের দেশ ধ্যানের দেশ। যোগ প্রাণায়াম ধ্যান ধর্ম মিশে আছে আমাদের অস্থিমজ্জায়। যে কারণে যে-কোনো প্রতিকূলতা বিপদ আপদ দূর্যোগ মোকাবেলায় শুধু ব্যক্তিগত নয় জাতিগত সক্ষমতা আমাদের অনেক বেশি।

অবশ্য আতঙ্কের বেনিয়ারা সবসময় তৎপর থাকে নতুন নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করে বিভ্রান্তির ধুম্রজাল সৃষ্টি করে নিজেদের আখের গোছাতে।

করোনাকালে আতঙ্কের ধুম্রজাল বিস্তার করে তারা যেমন নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টা করেছে এখন আবার নতুন করে ইউক্রেনের যুদ্ধের ধুম্রজাল সৃষ্টি করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে নিজেদের আখের গোছানোর চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।

এই মজুদদার মুনাফাখোররা আতঙ্কের বেনিয়ারা একেক সময় একেক পণ্য বাজার থেকে হাওয়া করে দেয়। তারপরে বেশি দামে বিক্রি করে নিজেদের আখের গোছায়।

আসলে মজুদদার মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাই তাদের হীন চক্রান্ত থেকে জাতিকে অনায়াসে মুক্তি দিতে পারে।

ইনশাল্লাহ! ইউক্রেনের যুদ্ধজনিত প্রভাব মোকাবেলায়ও সক্ষম হবে বাঙালি জাতি!

২০২০ সালে করোনাকালের শুরুতেই আমরা বলেছিলাম যে, ইনশাল্লাহ করোনা আমাদের দেশে সুবিধা করতে পারবে না। আমরা আল্লাহর রহমতে সবচেয়ে সফলভাবে করোনা মোকাবেলায় সক্ষম জাতি হিসেবে পৃথিবীর সামনে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি।

এবং বাস্তবতা হচ্ছে যেভাবে আমরা জাতিগতভাবে করোনাকে মোকাবেলা করেছি ইউক্রেনের যুদ্ধজনিত প্রভাব থেকেও ইনশাল্লাহ আমাদের জাতি সফলভাবে এটাকে মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

প্রতিকূলতা বাধা প্রতিবন্ধকতাই সৃষ্টি করে একজন বিশ্বাসীর সক্ষমতা!

প্রতিকূলতা বাধা প্রতিবন্ধকতা আসলে বিশ্বাসী প্রত্যয়ী মানুষের সক্ষমতাই বাড়ায়।

আমরা যদি আমাদের সাম্প্রতিককালের ইতিহাস দেখি করোনাকাল বাদ দিয়েও আমরা বলতে পারি, এক সময় কোরবানির পশু ও প্রাণীজ আমিষের ব্যাপারে আমরা প্রতিবেশী ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। তারা পশু পাঠালে আমাদের কোরবানি হতো। পাঠানো নিয়ে গড়িমসি করলেই অসুবিধা হতো।

একবার তারা ঘোষণাই দিয়ে দিলেন যে, কোরবানির পশু তারা আর পাঠাবেন না। এবং এই ঘোষণা আমাদের অর্থনীতির জন্যে শাপেবর হয়ে গেল।

আমরা কোরবানির পশু এবং প্রাণীজ আমিষে স্বনির্ভর হয়ে গেলাম।

আসলে প্রতিকূলতা বিশ্বাসী প্রত্যয়ী মানুষের সক্ষমতাই বাড়ায়। আমাদের মনছবি স্বপ্ন পদ্মাসেতুর কথাও নির্দ্বিধায় উল্লেখ করতে পারি।

আইএমএফ পদ্মাসেতুর অর্থায়ন করতে অস্বীকৃতি জানাল। শর্ত দিল এবং তারা ভেবেছিল তাদের শর্ত মেনেই বাংলাদেশ এগোবে। তাদের অর্থ ছাড়া পদ্মাসেতু হবে না।

আলহামদুলিল্লাহ! পদ্মাসেতু এখন শুধু মনছবি নয়। এখন শুধু কল্পনা নয় এখন এটা বাস্তবতা। শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

পদ্মাসেতুর নির্মাণের এই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে গ্রহণ করার জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এর সাথে জড়িত সকল স্তরের পরিকল্পক ও কর্মীদের আমরা অভিনন্দন জানাই।

প্রিয় সুহৃদ! আমাদের এই সক্ষমতা আমাদের অস্থিমজ্জায় সুপ্ত রয়েছে। কারণ ধ্যান ধর্ম নৈতিকতা সমমর্মিতা মিশে আছে আমাদের অস্থিমজ্জায়।

দুর্যোগ মোকাবেলায় যে-কোনো দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ!- ডয়চে ভেলে

এ প্রসঙ্গে আমরা জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে-র একটি রিপোর্টের কথা উল্লেখ করতে পারি।

২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রবল বৃষ্টিপাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জার্মানি বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ড। আকস্মিক বন্যা ভাসিয়ে নিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। ঘুমন্ত অবস্থায় বাড়িঘর তলিয়ে প্রাণ হারায় মানুষ।

প্রস্তুতি নেয়ার সময়ও পায় নি এসব ধনী দেশের নাগরিকরা। ২২০ জন মারা যায়। তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ইউরোপে।

এক জার্মান নাগরিক টিভিতে সাক্ষাৎকারে বলেন, গরীব দেশগুলোতে বন্যায় লোক মারা যেতে পারে। কিন্তু জার্মানির মতো দেশে বন্যায় কেউ মারা যাবে এটা তো কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে বলছে, অথচ বাস্তবতা তুলে ধরছে উল্টো চিত্র। ইউরোপে যে বন্যা নিয়ে এত মাতম ও আতঙ্ক হয়েছে তার চেয়ে ঢের বেশি ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড় ও বন্যা ২০২০ সালে আঘাত হানে বাংলাদেশে। ইউরোপের দেশগুলোর তুলনায় যা বেশ জনবহুল ও দরিদ্র। অথচ আম্পানে বাংলাদেশে মারা যায় ২৬ জন। যদি ঘুর্ণিঝড়টি ইউরোপের কোনো উপকূলে আঘাত হানত প্রাণহানী বেশি হতো বলেই ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা এ ও বলছেন, বন্যা ঘুর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগ মোকাবেলায় পৃথিবীর যে-কোনো দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

১৯৭০-র ঘুর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়েই বাংলাদেশ বাড়িয়েছে তার সক্ষমতা!

কীভাবে এটা সম্ভব হলো?

১৯৭০ সালের প্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশটি ধারাবাহিকভাবে তার সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

এবং এই কারণেই প্রভাবশালী জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে বলছে, ধনী দেশগুলোর উচিৎ বাংলাদেশের থেকে শেখা কীভাবে দুর্যোগ সামলাতে হয়!

সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে-কে ধন্যবাদ তারা এ বিষয়ে যথাযথ সত্য বলেছেন।

প্রতিকূলতার মাঝে যারা বেড়ে উঠেছেন তাদের সক্ষমতাই বেশি!

আসলে জাতীয় জীবনে আমাদের এই সক্ষমতার পাশাপাশি চারপাশের ব্যক্তিজীবনের দিকে যদি তাকাই আমরা দেখব আসলে প্রতিকূলতার মাঝে যারা বেড়ে উঠেছেন তাদের সক্ষমতা আদরে লালিত পরিবেশে বেড়ে ওঠা মানুষজনের চেয়ে অনেক বেশি।

চারপাশে তাকান দেখেন, অধিকাংশ ধনীর দুলাল-দুলালীরা পড়াশোনার এত সুযোগ সুবিধা পেয়েও পাবলিক মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভে ব্যর্থ হয়।

প্রতিকুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা কয়েকজন মানুষের সফলতার আংশিক গল্প!

সেখানে প্রতিকূলতায় যার পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা সেই শিউলি এখন চিকিৎসক হওয়ার পথে।

রাজশাহীর ঘটনা।

শিউলির ভাষায়, এক কেজি আটার দাম তখন ১০ টাকা আর একটা খাতার দামও ১০ টাকা। আটা কিনলে খাতা হয় না, আবার খাতা কিনলে না খেয়ে রাত কাটাতে হয়। তারপরেও খাতা-ই কিনেছিলেন শিউলি।

ভাতের অভাব থেকে মুক্তির আশায় স্কুলে পড়ার সময় মা-বাবা তাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়িতে ভাতের অভাব ছিল না, কিন্তু সেখানেও তার কান্না থামে নি। বাড়ির বউকে আর পড়াতে চান নি তারা। শিউলির জেদ, তিনি পড়বেন। স্বামীও পড়াবেন।

এরপর বাড়িতে শিউলির ভাত বন্ধ হয়ে যায়। না খেয়েই কলেজে যান। প্রতিবাদ করায় স্বামীসহ শিউলিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

স্বামী সামান্য বেতনে একটি কোম্পানির কাজ করতেন। বাড়ি ভাড়া দিলে আর খাওয়ার কিছু থাকে না। এর মধ্যে শিউলি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। পড়তে পড়তেই মা হয়েছেন। এসব করেই এ বছর তিনি বারিন্দ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন।

প্রিয় সুহৃদ! এটা শুধু এক শিউলির ডাক্তার হওয়া নয়। প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী দারিদ্র্য অনটন সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল বুয়েট পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

যশোরের কিশোর দেবনাথ দিনমজুরের ছেলে। এবার সুযোগ পেয়েছেন যশোর মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার।

পিরোজপুরের মোছাম্মৎ শাবনুর সপ্তম শ্রেণি থেকেই টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালিয়ে আসছে। এ বছর জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে।

সাতক্ষীরার মারুফা খাতুন। জেলের মেয়ে। তিনবেলা খাবার জোটে না প্রতিদিন। এবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

কুষ্টিয়ার সবুজ আহমেদ। গ্রামের হাটে সবজি বিক্রি করে সংসার চালান তার বাবা। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এরকম আরো বহু ছেলেমেয়ে প্রতিবছরই অভাব-অনটন প্রতিকূলতা কাটিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।

অর্থাৎ প্রতিকূলতা অভাব-অনটন বিশ্বাসী-প্রত্যয়ী মানুষের ভেতরে নতুন সক্ষমতার জন্ম দেয়।

মেডিটেশন অনুশীলনকারীর সক্ষমতা যে-কারো চেয়ে অনেক বেশি!

যারা নিয়মিত মেডিটেশন অনুশীলন করেন প্রতিকূলতা মোকাবেলায় তাদের সক্ষমতা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি!

কারণ কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে গভীর মনোযোগ দেয়ার সামর্থ্য তাদের বেশি। তারা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারেন। আবার অপ্রত্যাশিত পরিবেশগত আনুকূল্য তারা পান বেশি। দুর্বিপাক মোকাবেলার পাশাপাশি রোগব্যাধি থেকেও তারা অন্যদের চেয়ে কম সময়ে নিরাময় লাভ করেন।

এ কারণে ক্রনিক রোগের নিরাময়ের জন্যে পাঠ্য বইতে না থাকলেও ডাক্তাররা এখন ক্রনিক রোগীদের প্রেসক্রিপশন করছেন যোগ প্রাণায়াম মেডিটেশনের।

ক্রনিক রোগীদের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে সামাজিক দৌড়…

দি গার্ডিয়ানের ২০২২ সালের মে মাসের ২৮ তারিখের একটি রিপোর্ট হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার ডাক্তাররা এখন ক্রমবর্ধমান হারে সামাজিক যোগাযোগ, ইয়োগা, মেডিটেশন করার জন্যে রোগীদের উৎসাহিত করছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্রাক্টিশনার্স, পার্ক রান অস্ট্রেলিয়ার সাথে যৌথভাবে ক্রনিক ব্যাধি নিরাময়ের উদ্যোগ নিয়েছেন।

পার্ক রান অস্ট্রেলিয়ার স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতি শনিবার সকালবেলা পাঁচ কিলোমিটার ফ্রি দৌড়ের ব্যবস্থা করেন। কেউ দৌড়ান কেউ হাঁটেন কেউ জগিং করেন। কেউ বা শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেন।

এবং এই সামাজিক দৌড় তাদের স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।

রয়্যাল অস্ট্রেলিয়ান কলেজ অব জেনারেল প্র্যাক্টিশনার্সের ২০১৯ সালের একটি রিপোর্টে বলা হয় যে, সোশাল প্রেস্ক্রাইবিং অর্থাৎ রোগীকে নন মেডিকেল এক্টিভিটিস যেমন ফিটনেস প্রোগ্রাম ইয়োগা এবং মেডিটেশন চর্চায় উৎসাহ দেয়ার ফলে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে এবং তারা ভালো থাকছে।

আইসোলেশন থেকে এখন সোশালাইজেশনের পথে অস্ট্রেলিয়ানরা…

এবং ক্রনিক ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরো সুস্পষ্টভাবে প্রযোজ্য।

রিপোর্টে বলা হয়, ২০ শতাংশ অস্ট্রেলিয়ান দুই বা ততোধিক ক্রনিক রোগে আক্রান্ত। এবং মানসিকভাবে অসুস্থদের অর্ধেকই কোনো না কোনো ক্রনিক রোগে আক্রান্ত।

প্রিয় সুহৃদ! অতএব যারাই কোনো ক্রনিক ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের জন্যে এটা অত্যন্ত সুখবর যে, অস্ট্রেলিয়াতেও ডাক্তাররা এখন যোগ এবং মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন। এবং রোগীদেরকে সামাজিকভাবে মেলামেশায় উদ্বুদ্ধ করছেন। আইসোলেশন থেকে এখন তারা সোশালাইজেশনের পথে পা বাড়াচ্ছেন।

যে নিজের পরিপূর্ণ যত্ন নেয় সে-ই সন্ধান পায় টোটাল ফিটনেসের!

আসলে একজন মানুষ সমাজবিচ্ছিন্ন হয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে কখনো সুস্থ ভালো থাকতে পারে না। সুস্থতার জন্যে একজন মানুষের প্রয়োজন হচ্ছে শরীরের যথাযথ যত্ন নেয়া।

যখন একজন মানুষ শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিকভাবে নিজের পরিপূর্ণ যত্ন নেয় তখনই সে আসলে টোটাল ফিটনেসের সন্ধান পায়। সে পরিপূর্ণ সুস্থতার সন্ধান পায়। সে তখন নির্দ্বিধায় বলতে পারে যে, আমি ভালো আছি।

শেখা এবং জানা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ, অনুশীলন তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

কোয়ান্টাম ৩০ বছর ধরে পরিপূর্ণরূপে মানুষকে ভালো রাখার জন্যেই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে সে শারীরিক মানসিক পারিবারিক সামাজিক এবং আত্মিকভাবে ভালো থাকতে পারে। সেজন্যে পরিপূর্ণ দিক-নির্দেশনা হচ্ছে কোয়ান্টাম মেথড।

কোয়ান্টাম মেথড শুধু শেখা ও জানার মধ্য দিয়েই এই কার্যক্রম শেষ হয়ে যায় না। বরং নিয়মিত অনুশীলন করার জন্যে যে অনুষঙ্গ যে পারিপার্শ্বিকতা প্রয়োজন সবটুকুই আছে কোয়ান্টাম মেথডে।

জানা এবং শেখা যেমন গুরুত্বপূর্ণ একইভাবে অনুশীলন এবং চর্চা করা তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এবং সবসময় ইতিবাচক পরিমণ্ডলে থাকা আরো গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী ১০, ১১, ১২, ১৩ জুন ঢাকাতে এবং ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ জুন চট্টগ্রামে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স অনুষ্ঠিত হবে। পরিচিতদের এই কোর্সে নিয়ে এসে আপনি যেমন পরিপূর্ণ সুস্থতার অবগাহন করার সুযোগ করে দিতে পারেন একইভাবে আপনি নিজেও কোর্স রিপিট করে নিজের ভেতরে নতুন সক্ষমতা সৃষ্টি করার সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

যারা মেডিটেশন শিখেছেন কোর্স করে বা কোয়ান্টাম মেথড বই পড়ে তারা নিয়মিত অনুশীলন করতে কখনো গাফেলতি করবেন না।

আসলে শেখা এবং জানা যেরকম গুরুত্বপূর্ণ; অনুশীলন তার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এবং অনুশীলনটা যখনই নিয়মিত হবে তখন নতুন নতুন ক্ষেত্রে আপনি অনায়াসে আপনার সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারবেন। প্রতিটি প্রতিকূলতা এবং প্রত্যেকটা চ্যালেঞ্জকেই তখন আপনার মনে হবে এটা একটা নতুন সুযোগ এটা একটা নতুন সাফল্যের সোপান।

ধ্যানের যোগ এবং প্রাণায়ামের চর্চা আপনাকে করবে আরো প্রাণবন্ত ও প্রাণোচ্ছল!

২১ জুন ইন্টারন্যাশনাল ইয়োগা ডে।

ধ্যানের পাশাপাশি ইয়োগা বা যোগের চর্চা প্রাণায়ামের চর্চা আপনাকে আরো প্রাণবন্ত আরো প্রাণোচ্ছল করে তুলবে।

আপনার জীবন সুন্দর হোক সফল হোক। আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন প্রাণবন্ত থাকুন।

আর প্রতিদিন নিয়মিত ১০ বার বলুন- ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ।

 

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © RMGBDNEWS24.COM