ইতিমধ্যে টোটাল ফিটনেস নিয়ে তরুণ সমাজে প্রবীণ সমাজে সব সমাজেই যথেষ্ট আলোড়ন, যথেষ্ট কৌতূহল ও যথেষ্ট উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে।
আমরা টোটাল ফিটনেসের লক্ষ্যে কিছু জিনিস সংযুক্ত করতে পারি, বিশেষভাবে নিয়মিত দমচর্চা তারপরে কোয়ান্টাম ইয়োগা, নিয়মিত শারীরিক শ্রম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। যে খাবারটা আমাকে সুস্থ রাখবে দীর্ঘদিন, যে খাবারটা আমাকে ভালো রাখবে দীর্ঘদিন, যে খাবারটা আমাকে ৮০ বছর বয়সেও একজন তরুণের মতো কাজ করার শক্তি জোগাবে এবং সেরকম শারীরিক অবস্থা সুস্বাস্থ্য সৃষ্টি করবে।
তো আসলে একদিকে যেরকম ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের চিন্তা আমাদেরকে করতে হবে আরেকদিকে স্বাস্থ্যনাশক খাবার, যে খাবার স্বাস্থ্য নাশ করে যে খাবার মানুষকে বুড়িয়ে দেয়, যে খাবার মানুষকে অসুস্থ করে তোলে, যে খাবার ধীরে ধীরে মৃত্যুর পথে নিয়ে যায় সেই খাবারগুলো আস্তে আস্তে বর্জন করতে হবে।
খাবার যত ক্ষতিকর হোক, অনেকগুলো ক্ষতিকর খাবার একসাথে বর্জন করাটা কঠিন। একসাথে বললে, বলে তাহলে খাবটা কী?
তাহলে আমাদের কী করতে হবে? আমাদের সবচেয়ে ক্ষতিকর যেটি, একটা আইটেম একটা বিষয় একটা উপকরণ একটা উপাদান এটাকে আমাদের বর্জন করতে হবে। কারণ শত্রুকে ধরলে কী করতে হয়? সবাইকে যদি একসাথে ধরা হয় তাহলে কি পারা যায়? পারা যায় না। তাহলে কী করতে হয়? একটা একটা করে ধরতে হয়।
তো এখন আমরা এই ক্ষতিকর খাবারের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর খাবারের একটা উপকরণ যদি শনাক্ত করতে পারি এবং সেটাকে বর্জন করতে পারি তাহলে আমাদের দেশে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হবে।
যে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে আমরা অনেকগুলো অনেকগুলো আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারি, অনেকগুলো গবেষণাগার করতে পারি অনেকগুলো পুল করতে পারি। এবং করতে পারি না এমন কিছু নাই।
৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা কি কম? হ্যাঁ? ৫০ হাজার টাকা না ৫০ হাজার কোটি টাকা।
আমি কি বলব সেই জিনিসটার নাম? বলব? আমি চিনি ওগো চিনি, তুমি হচ্ছো চিনি। হাঁ চিনি! সাদা চিনি, রিফাইন্ড সুগার।
এই রিফাইন্ড সুগারের আরেক ইংরেজি নাম আমরা সবাই জানি, সেটা হচ্ছে হোয়াইট পয়জন।
এই হোয়াইট পয়জন কী হয়?
এই হোয়াইট পয়জন যদি বেশি খাওয়া হয় এবং রক্তে যতটুকু সুগার প্রয়োজন তারচেয়ে এক মিলি বেশি এক মিলিগ্রাম বলি মিলিলিটার বলি, বেশি চিনি থাকে মানে হচ্ছে আপনার বয়সের চেয়ে আপনি পাঁচ মাস বেশি বুড়িয়ে যাবেন।
অর্থাৎ যা বয়স তারচেয়ে পাঁচ মাস বেশি মনে হবে। অর্থাৎ চেহারাটা বুড়ো বুড়ো লাগবে।
এই চিনি যখন খাওয়া হয়, চিনির ফলে কোন রোগগুলো হয় এগুলো যদি আমরা আরেকটু বোঝার চেষ্টা করি তাহলে আমরা দেখব যত বৈজ্ঞানিক গবেষণা পরিচালিত হয়েছে প্রত্যেকটা গবেষণা বলেছে যে, চিনি হচ্ছে স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর।
আমরা খুব সহজ ভাষায় বলতে পারি, হৃদরোগ স্ট্রোক এবং মুটিয়ে যাওয়া ওবেসিটি যেটাকে বলে, যেটাকে শুদ্ধ বাংলায় বলে মেদস্থুলতা।
এই মুটিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে সাদা চিনি। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা কিন্তু সাদা চিনির কথা বলছি। রিফাইন্ড সুগারের কথা বলছি। যেরকম আখের রস রিফাইন করে সুগার বানানো হয় চিনি বানানো হয়। আখ কিন্তু শরীরের জন্যে ভালো। আখ যত খুশি চিবোন কোনো অসুবিধা নাই।
খেজুরের গুড় খেজুর বিট। বিটেও চিনি হয়। বিট চেনেন তো? লাল লাল গোল গোল। বিট খান। কোনো অসুবিধা নাই।
অর্থাৎ এটা প্রাকৃতিক ফল ন্যাচারালি যেভাবে পাওয়া যায় সেইভাবে খান কোনো অসুবিধা নাই। কিন্তু অসুবিধাটা করে কখন? যখন এটা রিফাইন্ড সুগার হয়ে গেল সাদা চিনি হয়ে গেল তখন হচ্ছে এই রোগগুলোর কারণ হয়।
তো অতএব সাদা চিনি ব্যবহার করা হয় যে খাবারগুলোতে এই খাবারগুলো বর্জন করব।
যে খাবারে যত বেশি চিনি থাকবে সেই খাবার আপনার কী রোগ সৃষ্টি করবে? হৃদরোগ স্ট্রোক মেদস্থুলতা মুটিয়ে যাওয়া তারপরে আবার মুটিয়ে যাওয়ার কারণে যে রোগগুলো হয় ডায়াবেটিস তারপরে ওখান থেকে কিডনির প্রবলেম।
এটা কিন্তু একটার পর একটা। মানে চিনির অনেক ভাই ব্রাদার আছে। মানে সে যে রোগ সৃষ্টি করে তার অনেক শাখা প্রশাখা আছে। এবং এই শাখা প্রশাখার রোগগুলো তখন সৃষ্টি হবে।
এবং অল্প বয়সে চিনি বেশি খেলে মুটিয়ে যেরকম যাওয়ার আশঙ্কা থাকে একই সাথে মুটিয়ে যাওয়ার কারণে সিস্ট এবং টিউমারের আশঙ্কা বেশি থাকে। যে কারণে আমেরিকানরা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি চিনি খায়। আমেরিকায় হৃদরোগ সবচেয়ে বেশি, মুটিয়ে যাওয়া সবচেয়ে বেশি, স্ট্রোক সবচেয়ে বেশি এবং ক্যানসার সবচেয়ে বেশি। এবং মূল কারণ হচ্ছে চিনি।
তারা সমস্ত খাবারে চিনি ব্যবহার করে এবং তারা চকলেট বেশি খায়। চকলেটের একটা বড় উপাদান হচ্ছে চিনি, কোকো এবং দুধ।
চিনি এবং দুধ যখন ঘন হয় তখন চকলেট কীরকম থাকে? একটু আঠালো আঠালো থাকে না? এই আঠালো আঠালো খাবারটা আবার মুখে যে ব্যাকটেরিয়াগুলো থাকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এগুলোর চমৎকার খাবার।
যে-কারণে দাঁত এবং দাঁতের মাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। যে-কারণে আমেরিকানদের কিন্তু দাঁত ২৮ ৩২ দাঁতের আমেরিকান এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। না এটা আমেরিকান ডেন্টাল এসোসিয়েশনের রিপোর্ট।
অবশ্য আমেরিকাতে সবচেয়ে ভালো বিজনেস কারা করছে প্রফেশনালি? ডেন্টাল সার্জন। ডেন্টাল সার্জন যদি হতে পারেন কী করবেন? একজনের ঠোঁট এভাবে করেন দাঁত দেখাল। হান্ড্রেড ডলার।
কারণ ওখানে দাঁতের এত বেশি রোগ সে তুলনায় চিকিৎসক এত কম যে ওখান থেকে আমাদের দেশের মানুষ বাংলাদেশে এসে দাঁতের চিকিৎসা করে আসা যাওয়া থাকা খাওয়া খরচের পরেও তার টাকা বেঁচে যায়। ওখানে করলে আরো বেশি টাকা খরচ হতো।
এবং বলবেন যে, এত সুন্দর সুন্দর দাঁত যে দেখি নায়িকাদের! সব নকল। আসল নাই। অধিকাংশ আমেরিকানদেরই আরো মানে ধরুন ১৫ ১৬ ১৭ বছর থেকে মানে দাঁতের অবস্থা শেষ।
তো তাহলে দাঁতের জন্যে ক্ষতিকর এবং চকলেট যেহেতু চিনি এবং চর্বি। দুধের মধ্যে কী থাকে? ফ্যাট থাকে। এবং এই ফ্যাট এবং চিনি ঘন না হলে চকলেট কখনো টেস্টি হয় না। এবং এই কারণে যিনি বেশি চকলেট খাবেন তারও ওজন বেড়ে গিয়ে কী আশঙ্কা থাকবে? হৃদরোগ স্ট্রোক ডায়াবেটিস মেদস্থুলতা।
এবং যারা চিনি বেশি খাবেন তাদের ঘুমের রোগ হবে। ঘুমের রোগ মানে কী? অনিদ্রা। কারণ চিনি জাতীয় জিনিস যখন রাতে খান তখন কী হয়? রক্তের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। এবং ঘুমটা ডিস্টার্বড হয়ে যায়।
আজকাল যে যারা রাতে ডিনার করেন ডিনারের শেষ হয় কী দিয়ে? ডেজার্ট দিয়ে। এবং ডেজার্টে কী থাকে? চিনি। যার ফলে যেদিনই ডিনার রাতে মানে বুফে টুফে যদি কেউ খেয়ে আসেন সেই রাতে আর ঘুম হয়? ঘুমে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। কারণ আপনি শরীরকে যা দেবেন শরীর তো সেইভাবে কাজ করবে।
চিনির যে মানুষ মারার ক্ষমতা কত! ধরেন আমরা সবচেয়ে বড় বোমার কথা কী জানি? পারমাণবিক বোমা। পারমাণবিক বোমা হচ্ছে সবচেয়ে প্রাণঘাতী বোমা। পারমাণবিক বোমা।
এবং প্রথম পারমাণবিক বোমা মারা হয় কোথায়? হিরোশিমা নাগাসাকি। তো হিরোশিমায় যখন এই পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হলো প্রথম তারপর নাগাসাকিতে।
এবং হিরোশিমাতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের এক লক্ষ থেকে সোয়া লক্ষ মারা যায়। নাগাসাকিতে মারা যায় ৫০ থেকে ৮০ হাজার মানুষ নাগাসাকি। এবং দুটা মিলে মারা যায় ৩ লক্ষ ৭২ হাজার মানুষ।
এবং আমরা সারা পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষ কী করেছি? এই পারমাণবিক বোমার নিন্দা করেছি। কারণ মৃত্যুটা আমরা কী দেখেছি? তাৎক্ষণাৎ এবং চোখের সামনে দেখেছি। মৃত্যুটা দৃশ্যমান হয়েছে যে এই বোমা ফেলার ফলে এত লোক মারা গেছে।
এবং আমরা সারা পৃথিবীর মানুষ পারমাণবিক বোমার নিন্দা করেছি। এবং বোমা বর্জনের কথা বলেছি যে না, পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা যাবে না।
আর চিনি আসক্তি থেকে হোয়াইট পয়জন থেকে কত লোক মারা যায় প্রতি বছর সেটার হিসাব কিন্তু আমরা খেয়াল করি না। আস্তে আস্তে মারা যায় তো। ছড়িয়ে ছিটিয়ে মারা যায়।
এবং চিনির কোনো দোষ নাই তখন। তখন দোষ হচ্ছে হৃদরোগের ডায়াবেটিসের। দোষ হচ্ছে স্ট্রোকের দোষ হচ্ছে ক্যান্সারের দোষ হচ্ছে কিডনি ডিজিজের দোষ হচ্ছে কোভিডের। কিন্তু মূল কারণ চিনি।
চিনি হচ্ছে বাংলায় একটা কথা আছে না, মিছরির ছুড়ি। আসলে এই শব্দটা হওয়া উচিৎ কী? চিনির ছুড়ি। ছুড়ি বুঝতে পারছেন তো, ছোড়া। চিনির ছুড়ি, মিছরির ছুড়ি না। চিনির ছুড়ি।
চিনি আসলে আমরা বলতে পারি এক গুপ্তঘাতকের নাম। চিনিকে আমরা বলতে পারি যে আপনার অগোচরে আপনাকে হত্যা করার নাম। মানুষকে হত্যা করার নাম। চিনিকে আমরা বলতে পারি পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ংকর প্রাণঘাতী।
তো আসলে কেন? আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন তাদের রিপোর্ট হচ্ছে ২০২০ সালে এক কোটি ৯১ লক্ষ মানুষ সারা পৃথিবীতে মারা গেছে হৃদরোগে।
২০১৯ সালে ডব্লিউএইচওর রিপোর্ট হচ্ছে, মারা গেছে এক কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষ শুধু হৃদরোগে।
স্ট্রোকে মারা গেছে ৬৫ লক্ষ মানুষ।
হৃদরোগে প্রতিদিন কত মানুষ মারা যাচ্ছে পৃথিবীতে যদি আমরা হিসাব করি তাহলে কিন্তু বেরিয়ে যাবে।
হৃদরোগে সারা পৃথিবীতে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৫২ হাজার মানুষ। স্ট্রোক এবং স্থুলতাজনিত রোগে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
অর্থাৎ নাগাসাকিতে যে পারমাণবিক বোমায় একদিনে যে লোক মারা গিয়েছিল হৃদরোগ স্ট্রোক এবং ওবেসিটি এটা মিলিয়ে তারচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে সারা পৃথিবীতে একদিনে।
আমাদের দেশে কিন্তু চিনি উৎপাদন হয় না। আমাদের দেশে চিনি আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে।
এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এই চিনি উৎপাদন করে এবং এই চিনি আমদানির ক্ষেত্রে ধরেন এই বছর আমদানি করা হয়েছে কত লক্ষ টন? ২১ লক্ষ টন। এবং চিনির টন হচ্ছে ৪৭০ থেকে ৪৮০ ডলার।
আমরা একটা এভারেজ করে ফেলি গড়পড়তা করতে ফেলি আরো খরচ টরচ দিয়ে যদি ৫০০ ডলার হয় টন চিনি এবং ২০ লক্ষ টন। তাহলে কত টাকা হয়? তাহলে এটার পরিমাণ হচ্ছে ১০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থাৎ আমরা সাদা বিষ আমদানির জন্যে কত ব্যয় করছি? ১০ হাজার কোটি টাকা কমসে কম ব্যয় করছি এই চিনির পেছনে। এবং চিনি আসছে বিদেশ থেকে।
দুই নম্বর, এই যে হার্ট ডিজিজ স্ট্রোক ওবেসিটি ক্যানসার এই রোগগুলো থেকে বাঁচার জন্যে আমরা কত টাকা বছরে খরচ করছি? কমসে কম আমাদের দেশের মানুষের এর পেছনে ব্যয় হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার কোটি। ধরলাম ৪০ হাজার কোটি টাকা।
তাহলে চিনি আমদানির ক্ষেত্রে ১০ হাজার আর রোগের চিকিৎসার জন্যে ৪০ হাজার। তো কত টাকা আমাদের বেঁচে যায় যদি এই রোগগুলো থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি? ৫০ হাজার কোটি টাকা বছরে আমরা বাঁচাতে পারি। ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে আমাদের।
এবং যেটাকে আমরা কী কাজে ব্যয় করতে পারব? অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল গবেষণাগার এবং দেশের উন্নয়নের জন্যে মানুষের উন্নয়নের জন্যে মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের জন্যে।
এবং এর পাশাপাশি আমরা কী থাকব? সুস্থ সুন্দর দীর্ঘজীবনের অধিকারী হবো।
তাহলে বুদ্ধিমান মানুষের কী করা উচিৎ? চিনি বর্জন করা উচিৎ।
তো অতএব চিনি সাদা চিনি আমরা বর্জন করব। চিনি কখনো চায়ে ব্যবহার করব না বা সরাসরি চিনি খাওয়া বর্জন করব প্রথম থেকে এবং আস্তে আস্তে আমরা চিনিজাত যত জিনিস আছে এটাকে আমরা বর্জন করব। তাহলেই আমরা কী হতে পারব? টোটালি ফিট হতে পারব।
এবং এই টোটাল ফিটনেসের জন্যে আমরা সূচনা করতে চাই কীসের? নো সুগার নো সুগার। চিনি নয় চিনি নয়।
এবং এটা আমরা নিজেরা না খেয়ে শুরু করব। এবং আমি আপনাদের বলতে পারি আমি চিনি আজকে থেকে না, আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি না। যেদিন থেকে চিনি সম্পর্কে সচেতন হয়েছি সেদিন থেকে আমি চিনি বর্জন করেছি।
আর আমি নিজে যেটা করতে পারি সেটাই সবাইকে বলি। যেটা আমি করতে পারি না সেই ব্যাপারে আমি কাউকে কিছু আমি বলি না।
তো আপনারা কী করবেন? চিনি সচেতনতা সৃষ্টির নায়ক হিসেবে কাজ করবেন। এবং ইনশাল্লাহ একদিন চিনিও আমাদের টেবিল থেকে আমাদের কিচেন থেকে বিদায় নিয়ে নেবে। এবং স্বাস্থ্যকর সমস্ত খাবার আমাদের কিচেনে আমাদের টেবিলে চলে আসবে।