প্রশ্ন : ফাউন্ডেশনের কাজের ক্ষেত্রে অবমূল্যায়িত হলে কী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা উচিৎ?
উত্তর :
আসলে ফাউন্ডেশনের যে কাজ, আপনি যা-ই করছেন, হোয়াটএভার ইউ আর ডুয়িং, আপনার মূল্যায়ন করা কোনো ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব না। এবং ব্যক্তির হাতে মূল্যায়ন দেবেন না।
আপনি মূল্যায়িত হবেন আল্লাহর কাছে। আল্লাহ আপনার কাজের মূল্যায়ন করবেন।
মানে এটাও হচ্ছে একটা কী? বিভ্রান্তি।
আসলে একজন মানুষ যে তার জীবদ্দশায় মূল্যায়িত হতে চায়, তার মূল্যায়ন জীবদ্দশায় শেষ হয়ে যায়।
এবং যারা মৃত্যুর পরেও মূল্যায়িত হয়েছেন, তারা কেউ জীবদ্দশায় মূল্যায়িত হতে চান নাই। তারা জীবদ্দশায় শুধু কাজ করেছেন। শুধু কাজ করেছেন। তার মূল্যায়ন শুরু হয়েছে তার মৃত্যুর পরে।
আর আসল মূল্যায়ন তো হচ্ছে আল্লাহর কাছে!
অতএব আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে কাজ করছি এবং আমাদের আর কোনো মূল্যায়নের প্রয়োজন নাই।
আমি বলতে পারি যে, আমি এত নির্ভাবনায় কাজ করতে পারি কেন?
কারণ আমি শুধু আল্লাহ কীভাবে মূল্যায়িত করবেন এটুকুই চিন্তা করি।
কে আমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে, পক্ষে না বিপক্ষে, নিন্দা না প্রশংসা, এটা নিয়ে কোনোদিন মাথা ঘামাই নি এবং এখনো ঘামাই না।
সেজন্যে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি যে আল্লাহ অনেক কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন।
অতএব আপনি যখন ফাউন্ডেশনে কাজ করবেন সবসময় আপনার দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যে, আমি কাজ করছি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে।
আমার সেবক, আমার লিডার, আমার মোমেন্টিয়ার, আমার অর্গানিয়ার আমাকে কী মূল্যায়ন করল না করল, কোনো অসুবিধা নাই। কোনো মূল্যায়ন না করুক কোনো অসুবিধা নাই। কোনো চিন্তা করবেন না।
কারণ সময় এমন একটি শক্তি, সময় এমন একটি ফোর্স যা আপনার কাজ মূল্যায়িত হবেই। আজ, কাল বা পরশু।
এবং আসল মূল্যায়ন তো আল্লাহর হাতে।
অতএব সবসময় কাজ করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে। কে কী বলল না বলল, কে চেয়ার এগিয়ে দিল না দিল, কেউ এগিয়ে না দিলে আপনি তাকে এগিয়ে দেবেন।
তো আমরা সেইভাবেই কাজ করব এবং অধিকাংশই আমরা এইভাবেই কাজ করি। এবং সেইজন্যেই ফাউন্ডেশন আজকের যে অবস্থান এই অবস্থানটাকে অর্জন করতে পেরেছে এবং মানুষের জন্যে আমরা কাজ করতে পেরেছি।
[সজ্ঞা জালালি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০]