রৌপ্য পদক পেয়েছে ঢাকার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম, ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে একই কলেজের ইমতিয়াজ তানভীর রহিম ও আবসুর খান সিয়াম এবং রাজশাহী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মো.. ফাহিম আবরার। এ ছাড়া সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক।
গত ২৩ জুলাই গভীর রাতে আন্তর্জাতিক ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি ইন্টারন্যাশনাল বোর্ড সভায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ বছর এই প্রতিযোগিতা হয়েছে ভার্চ্যুয়ালি। ৫১তম আন্তর্জাতিক পদার্থবিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছে ৯০টি দেশ। এবারের আয়োজক লিথুয়ানিয়া। ২০১১ সাল থেকে এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাশিয়া থেকে ঘোষণা করা হয় গণিত অলিম্পিয়াডের ফল। গণিতে এবার তিনটি ব্রোঞ্জপদকের পাশাপাশি দুটি সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। পদার্থবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার আশা, শিগগিরই দেশের জন্যে স্বর্ণপদক নিয়ে আসবে শিক্ষার্থীরা।
ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে প্রতিটি দেশ থেকে পাঁচজন প্রতিযোগী অংশ নেয়। প্রত্যেককে ৫০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। ৩০ নম্বরের তাত্ত্বিক এবং ২০ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, করোনার এই সময়ে যেখানে সব জায়গায় মৃত্যুর আহাজারি, সেখানে এ ধরনের সাফল্যের খবর শুনলে মনটা আনন্দে ভরে যায়।
১৯ ও ২১ জুলাই বাংলাদেশ দলের পাঁচ শিক্ষার্থী ঢাকার একটি কেন্দ্র থেকে ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেয়।
রৌপ্যপদক বিজয়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের জন্যে কিছু করতে চেয়েছি। রৌপ্যপদক পাওয়ায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রথম আলোর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি দেশজুড়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নানা ধাপে ফিজিক্স দলের সদস্যদের নির্বাচন করে।
পদক বিজয়ীসহ দলের সব সদস্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ শিরিন।
এর আগে ২০১৭ সালে ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে একটি রৌপ্য পদকের পাশাপাশি তিনটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ দল।
এবার শিক্ষার্থীদের এই দারুণ সাফল্য দেশের সব মানুষকে করোনার এই দুঃসময়ে খানিকটা হলেও স্বস্তি দেবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলের কোচ এম আরশাদ মোমেন।
সূত্র : প্রথম আলো (২৫ জুলাই ২০২১)