র্যাপলারের প্রধান মারিয়া রেসা আরো বলেন, ‘ফেসবুকের কল্যাণে রাগ এবং হিংসা যেন সত্যকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ফেসবুকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে। তাদের সাবেক এক কর্মচারী অভিযোগ তোলেন, হেট স্পিচ দমন ও ভুল তথ্য প্রতিরোধে ফেসবুক যতটা না ব্যস্ত, তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত অর্থ উপার্জনে। ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের এই বিশাল পরিবারের কর্তারা অবশ্য এই বক্তব্য অস্বীকার করেছে।’
রেসার মন্তব্যের বিষয়ে ফেসবুকের বক্তব্য চাওয়া হলে তাদের একজন মুখপাত্র জানান, ফেসবুক এর মধ্যেই দৃশ্যমান ক্ষতিকর কনটেস্ট সরাতে বিপুল অর্থলগ্নি ও জনবল নিয়োগ করেছে। ওই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং অবশ্যই আশা করি, পৃথিবীব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের কাজ সঠিকভাবে করে যাবেন। যদিও ফেসবুকই এখন সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম, তবুও এখনো এটি সত্য ও গণমাধ্যমের বিপরীতে দাঁড়িয়ে।’
রেসা বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা না জানলে আপনি সত্য জানতে পারবেন না। আপনি তখন বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাবেন। প্রকৃত ঘটনা, সত্য ও বিশ্বাস—এ তিনটির একটিও যদি আপনার কাছে না থাকে, তবে আপনি গণতন্ত্রহীন হয়ে যাবেন। আর যদি সত্য জানার পরও আপনি সেটা সঠিকভাবে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে না পারেন, তবে আপনি অনেককে অনেক কিছু জানা থেকে বঞ্চিত করবেন।’ রয়টার্স।
সূত্র : কালেরকণ্ঠ (১০ অক্টোবর, ২০২১)