ফ্রান্সেস ফেসবুকের প্রোডাক্ট ম্যানেজার ছিলেন। সম্প্রতি তিনি ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকের গোপন তথ্য ফাঁস করছেন। তার করা অভিযোগগুলো তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে এবং ফেসবুক নিয়ন্ত্রণেরও জোর দাবি উঠেছে।
যদিও ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, সাম্প্রতিক এই প্রচার-প্রচারণা কোম্পানিটি সম্পর্কে মিথ্যা ধারণা তৈরি করেছে। ক্ষতিকর কনটেন্টের বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াইয়ের ইঙ্গিত করে কোম্পানির কর্মীদেরকে দেওয়া এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, এসব অভিযোগের বেশিরভাগেরই কোনো মানে হয় না।
চিঠিটি ফেসবুকে পাবলিক পোস্ট করা হয়েছে। চিঠিতে তিনি আরও বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য, সুস্থতা ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। যেসব প্রচারণা আমাদের কাজ ও উদ্দেশ্যকে ভুলভাবে উত্থাপন করে তা দেখা আমাদের জন্যে কষ্টকর।
ফেসবুক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম। কোম্পানিটি বলেছে তাদের মাসিক অ্যাকটিভ ইউজার ২.৭ বিলিয়ন। এছাড়া তাদের হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামও মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ ব্যবহার করছে। যদিও ভুল তথ্য ছড়ানো ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে না পারায় কোম্পানিটিকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে।
সিবিএস নিউজকে হাউগেন বলেছেন সম্প্রতি তিনি ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ কিছু তথ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। ওই তথ্যগুলো ব্যবহার করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইনস্টাগ্রামে বিশ্লেষণ করে দেখেছে অ্যাপটি মেয়েদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
মঙ্গলবার শুনানিতেও অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন হাউগেন। তিনি বলেছেন, কোম্পানির নেতৃত্ব জানে কীভাবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম নিরাপদ করতে হবে, কিন্তু তারা প্রয়োজনীয় সেই পরিবর্তনটুকু করছে না। কারণ তারা মানুষের চেয়ে তাদের মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়।
সূত্র: সমকাল (৬ অক্টোবর, ২০২১)