1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সন্ধ্যার পরেই টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঈদ যাত্রায় রং-চং দিয়ে কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা, প্রজ্ঞাপন জারি পুলিশের ছুটি বাতিল, ডাকাতি ঠেকাতে ছবি নেওয়া হবে যাত্রীদের ‘অপমানে’ কারাখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র গাজীপুর আবারো ঈদের আগে রাস্তা অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অভিনেতা বাপ্পী ২০২৭ বিশ্বকাপে তরুণদের জন্য ওয়ানডে জায়গা ছেড়েছেন ম্যাক্সওয়েল মৃত্যুদণ্ড বহাল মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর জামায়াতের নিবন্ধনসহ অন্য বিষয় নিষ্পত্তি করবে ইসি

বাবা-মা, দুলাভাই সবার সাথে আমার ছোট ভাই অন্যায় ব্যবহার করে।

  • সময় বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
  • ১২৯৭ বার দেখা হয়েছে

বাবাকে গালিগালাজ করে। তার কথা, এক বনে দুই বাঘ থাকতে পারে না। বাবাকে তার কাছে মাফ চাইতে হবে। কারণ বাবা তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। বাবা কেন তাকে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেন নি? কেন বাবা টেক্সটাইলটা বিক্রি করে দিল? এবং এ ব্যবসা তার হাতে ছেড়ে দিল না? এসব কারণে বাসায় অশান্তি শুরু হয়েছে। কথায় কথায় সে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। টাকা না দিলে বাসায় অফিসে আগুন লাগানোর ভয় দেখায়। সে অন্যায়ভাবে মা-বাবাকে দোষ দিচ্ছে। তাকে দুই মাস আগে কোয়ান্টাম কোর্স করানো হয়েছে। দুই বছর আগে হজও করানো হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই কিছু বোঝানো যাচ্ছে না। বাবার সাথে দুই বছর ধরে কথা বন্ধ। এখন ভাবছি মনোচিকিৎসকের কাছে পাঠাতে হবে। আমরা কী করতে পারি? উল্লেখ্য, সে অস্ট্রেলিয়া থেকে এমবিএ করেছে। গুরুজী, আপনার পরামর্শ চাচ্ছি।

 

যে বাবার ওপর নির্ভর করে, বাবা প্রতিষ্ঠিত করে দেবে আশা করে সে তো বাঘ না। সে বিড়ালও না। সে ইঁদুর। অবশ্য তার দোষ নেই। ছোটবেলা থেকে তাকে সঠিক জীবনদৃষ্টি দেয়া হয় নি। জীবন কী, এটা বুঝতে দেয়া হয় নি। তাকে যেভাবে লালন করা উচিত ছিল সেভাবে হয় নি।

আজকে আপনার ভাইয়ের অবস্থার জন্যে আপনার ভাই যতটা দায়ী, আপনার বাবা-মায়ের দায়িত্বও কোনো অংশে কম নয়। কারণ একজনকে বড় স্কুলে, বড় কলেজে বা বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেই মা-বাবার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।

অস্ট্রেলিয়া থেকে সে এমবিএ করেছে কিন্তু ন্যূনতম যে মানবীয় গুণ অর্জন করা উচিত ছিল, সেটুকু করে নি। কারণ ছেলে যা চেয়েছে তা-ই দেয়া হয়েছে। শুধু বাবা যখন বুঝেছে এই ফ্যাক্টরি ছেলেকে দিলে সে চালাতে পারবে না, তখন ফ্যাক্টরি দেয় নি। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে।

আসলে সন্তানকে সঠিক জীবনদৃষ্টি দিতে হয় ছোটবেলা থেকেই। তাকে বোঝাতে হবে যে, তোমাকে এভাবে চলতে হবে। তাহলে তুমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে। অর্থাৎ তাকে পরিশ্রমী ও কষ্টনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে হয়। একটা পাকা বাঁশ আর সোজা করা যায় না, কাঁচা থাকতেই সেটিকে যা করার করতে হয়। এখন তাকে মনোচিকিৎসকের কাছেই পাঠানো প্রয়োজন।

আসলে প্রত্যেকটা শিশু হচ্ছে সোনা। এখন এই সোনাকে যদি আপনি তুলে রাখেন, মখমলের কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন, এটা কোনোদিন অলংকার হবে না। সোনাকে যদি অলংকার করতে হয়, তাহলে এটাকে আগুনে পোড়াতে হবে, পেটাতে হবে। পোড়াই এবং পেটাই যত সূক্ষ্ম হবে তত অলংকার সুন্দর হবে। আপনার সন্তান তখনই সফল মানুষ হবে যখন ছোট থাকতেই তাকে সঠিক জীবনদৃষ্টি ও পরিশ্রম করার সুযোগ দেবেন।

প্রত্যেক সফল মানুষ স্বাবলম্বী, সাহসী এবং পরিশ্রমী ছিলেন। রসুল (স)-এর জীবন দেখুন। মা-বাবা হারানো, কৈশোরে নিজ উদ্যোগে মেষ চরানো, নিজের দায়িত্ব নিজে পালন, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা-যাত্রা—সব মিলিয়ে কত পরিশ্রমের জীবন, কত সফল জীবন।

আসলে লেবু টিপে রস বের করতে হয়, সরিষা পিষে তেল বের করতে হয়, ধান মাড়াই করে চাল বের করতে হয়। যদি মনে করেন লেবুকে কষ্ট দেবো না, সরিষা পিষব না, ধানকে কষ্ট দেবো না, তাহলে লেবুর রস খেতে পারবেন না, সরিষার তেল কিংবা ভাতও খেতে পারবেন না। পরিশ্রমের মাধ্যমেই মানুষের সুপ্ত যোগ্যতা বিকশিত হয়।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com