বিয়েতে উপহার দেয়া কি অপরাধ? উপহার না দিলে সমাজ ভালো মনে করে না। কী করা উচিত?
সমাজ তো অনেক কিছুকেই ভালো মনে করে না। তাতে কি ভালো মন্দ, ন্যায্য-অন্যায্যের সংজ্ঞা পাল্টে যায়! যায় না। আসলে এই বিয়ের উপহার বা সামাজিক উপহারের চল একটা কুপ্রথা ছাড়া কিছু নয়। এই কুপ্রথাকে বর্জন করা উচিত। আমরা কোয়ান্টামে কিন্তু কোনো বিয়েতে উপহার দেই না এবং কোনো উপহার প্রত্যাশাও করি না। কোয়ান্টাম সদস্যরা বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে যান কোনোরকম উপহার না নিয়ে।
আসলে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিফট-একটা গজব ছাড়া আর কিছু না। এই গিফটগুলো কোনো কাজে আসে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো বন্ধ অবস্থাতেই থাকে। সেগুলো আবার অন্য কারো বিয়েতে দেয়া হয়।
তো এটা একটা সামাজিক অপচয়, যার আসলে কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা সবধরনের সামাজিক অপচয়, সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই।
অতএব আপনারা নিজেরা বিয়ের অনুষ্ঠানে গিফট নিয়ে যাবেন না। তৃপ্তিসহকারে খাবেন, প্রাণভরে দোয়া করবেন এবং আনন্দিতচিত্তে ফিরে আসবেন। আর নিজেদের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আগেই বলে দেবেন যে, ভাই, গিফট আনার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা গিফট দেইও না, গিফট নিইও না।
আসলে এই গিফট কিনতে গিয়ে অনেক সময় আত্মীয়স্বজনের যে দুর্দশা হয়, সেটা ভাবা হয় না। দেখলে কষ্ট হয়। অথচ কী আশ্চর্য! গিফট নেয়ার জন্যে আলাদা টেবিল থাকে, সেখানে আবার লেখা হয় কে কে গিফট দিল। ওটা যখন খোলা হয়, তখন এগুলো নিয়ে আবার কথা হয়-দেয়া উচিত ছিল সোনার চেইন, দিল কাচের মগ। এটা লিখে রাখো। ওর মেয়ের বিয়েতেও কাচের মগ দেবো।
গিফট হচ্ছে আপনার ইচ্ছা হলে আপনার মাকে, বাবাকে, স্বামী/ স্ত্রী, সন্তান, ভাইবোনকে বন্ধুকে আপনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কিছু দিচ্ছেন। সেটা আলাদা বিষয়। সেটা হচ্ছে উপহার। উপহারকে রসুলুল্লাহ (স) খুব পছন্দ করতেন। কিন্তু সামাজিক গিফট সামাজিক অনাচার ছাড়া আর কিছু না।