৫০ হাজার পাউন্ডের এই পুরস্কারটির জন্যে চূড়ান্তভাবে ছয় জন সাহিত্যিককে মনোনীত করেছিল জুরি বোর্ড, যার নেতৃত্বে ছিলেন মার্কিন ইতিহাসবিদ মায়া জেসনফ। ডেমন গ্যালগেট এর আগেও দুইবার বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। এবার এই পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘প্রবল উত্তেজনা আর চিন্তা থেকে মুক্তি পেলাম আমি! সত্যিই দারুণ লাগছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৬৯ সাল থেকে বুকার পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বিশ্বের স্বনামধন্য সাহিত্যিকদের। ডেমন গ্যালগাটের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দুই লেখক নাদিন গোরদিমার ও জে এম কোয়েৎজি এই সম্মানজনক পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আফ্রিকান হিসেবে এ পুরস্কারটি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমি এই পুরস্কারটি গ্রহণ করেছি, সেসব লেখকদের পক্ষ থেকে যাদের কিছু গল্প আপনারা পড়েছেন, শুনেছেন আর কিছু গল্প অজানা থেকে গেছে। আমি বলছি, আমার মহাদেশের লেখকদের কথা। আমি তাদের হয়ে বলছি, অসাধারণ সব গল্প আসছে, অপেক্ষায় থাকুন।’
পুরো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি লাইভ করা হয় লন্ডনের বিবিসি রেডিও থিয়েটার থেকে। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগী ও বিশেষ অতিথিরাই কেবল এই অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ নিতে পেরেছেন।
এ বছর বুকার পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম এসেছিল মার্কিন সাহিত্যিক রিচার্ড পাওয়ারসের ‘বিউইলডমেন্ট’, শ্রীলঙ্কার সাহিত্যিক অনুক অরুদপ্রগাসমের ‘আ প্যাসেজ নর্থ’, মার্কিন কবি-ঔপন্যাসিক ‘নো ওয়ান ইজ টকিং অ্যাবাউট দিজ’, সোমালি-ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত নাদিফা মোহামেদের ‘দ্য ফরচুন ম্যান’, মার্কিন সাহিত্যিক ম্যাগি শিপস্টেডের ‘গ্রেট সার্কেল’ উপন্যাস।
সূত্র : সমকাল (৪ নভেম্বর ২০২১)