যখন গত বছর আতঙ্কবাদীরা করোনা নিয়ে মহাআতঙ্ক সৃষ্টির কাজে ব্যস্ত ছিল তখনও আল্লাহর ওপর নির্ভর করে ১৮ই মার্চ ২০২০ সালে আমরা বলেছিলাম যে, আমাদের দেশে করোনা সুবিধা করতে পারবে না। আমাদের আবহাওয়া করোনার জন্যে অনুকূল নয়।
এবং আমাদের জাতিগত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এক অর্থে ঈর্ষণীয়। এবং যে-কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় ঘুরে দাঁড়ানোতে আমাদের জাতিগত সক্ষমতা এবং দক্ষতা অতুলনীয়। এবং আমাদের পূর্বপুরুষরা বছর বছর বন্যা জলোচ্ছ্বাস প্লাবন মহামারি এগুলোকে জয় করেছে। অতএব করোনা নিয়ে আমাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আর ২০২১ সালের জুলাই মাসে এসে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলতে পারি যে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন কোনো আতঙ্কও নেই। কারণ গত বছর মার্চ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আতঙ্কবাদীদের আতঙ্ক প্রচারণার বিপক্ষে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব-উপাত্ত দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি যে করোনা কোনো বাঘ ভাল্লুক হায়েনা নয়। করোনা সিজনাল ফ্লুরই একটা ভেরিয়েশন।
ঠান্ডা-সর্দির মতো করোনার সাথেই আমাদের বসবাস করতে হবে। করোনা আসবে করোনা থাকবে করোনা সংক্রমিত হবে। ফ্লু যেরকম শত শত বছর ধরে আছে বা হাজার হাজার বছর ধরে আছে এবং আরো হয়তো যতদিন মানুষ বাঁচবে ততদিন থাকবে। থাকুক।
আমাদের জীবন জীবিকা চলতে হবে। জ্ঞানচর্চা সাধনা চলতে হবে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে হবে।
করোনার চেয়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার শক্তি অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ তাদের পাঁচ মাসের গবেষণার পর তারা জানালেন, ঢাকায় ৭১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি তৈরি হয়েছে।
নারীদের মধ্যে এন্টিবডির হার ৭০.৬ শতাংশ। আর পুরুষদের মধ্যে এন্টিবডির হার ৬৬ শতাংশ।
আসলে কোনো জনগোষ্ঠীর ৬০-৮০ শতাংশ মানুষের শরীরে যদি সেই ভাইরাসের এন্টিবডি তৈরি হয় তাহলে সেটাই হার্ড ইমিউনিটি সৃষ্টি করে।
প্রিয় সুহৃদ! ৭১ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার এন্টিবডি তৈরি হওয়া নিঃসন্দেহে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জনগোষ্ঠীর সক্ষমতারই প্রকাশ।