ভারত বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলের জন্য আরও একটি নতুন রেল পথ চালু হওয়ার কথা রয়েছে ২৬শে মার্চ। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় শিলিগুড়ি থেকে ঢাকা পর্যন্ত ওই ট্রেন সপ্তাহে দু’দিন করে চলাচলবে করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এই ট্রেনটি চালু হলে পশ্চিমবঙ্গ, সিকিমে যেমন বাংলাদেশী পর্যটকরা বড় সংখ্যায় অনায়াসে আসতে পারবেন, তেমনই সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষদেরও বাংলাদেশ যেতে পারবেন অনায়াসেই। পর্যটন শিল্প এই ট্রেনটি নিয়ে আশাবাদী হলেও পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় অথবা সিকিমের মানুষ কতটা এই ট্রেনে চেপে বাংলাদেশে আসতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
কারণ, শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কোনও ভিসা কেন্দ্র নেই, তাই ভারতীয় পর্যটকদের এই ট্রেনে চাপতে হলে কলকাতায় গিয়ে ভিসা করে তারপরে শিলিগুড়ি ফিরে এসে ট্রেন ধরতে হবে। ভারতে নিয়মিত ট্রানজিট সুবিধা পাচ্ছে না কেন বাংলাদেশ।সেই প্রশ্নের জবাবে শিলিগুড়ির অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অ্যান্ড ট্যুরিজমের আহ্বায়ক রাজ বসু বলছিলেন, “আমরা তো আশা করছি এই নতুন ট্রেনে দু’দেশ থেকেই বহু মানুষ যাতায়াত করবেন, কিন্তু একটা সমস্যা হচ্ছে যে ভিসা করাতে যেতে হবে কলকাতায়। তারপর এখানে এসে ট্রেন ধরা যাবে।”
কলকাতায় বাংলাদেশের উপ রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান বিবিসিকে বলেছেন, “একবার শিলিগুড়িতে একটা ভিসা কেন্দ্র করার কথা উঠেছিল, কিন্তু তা নিয়ে আর এগুনো হয় নি। অতীতে কয়েকবার ভিসা শিবির সেখানে করা হয়েছিল – কিন্তু এখন মেশিন পাঠযোগ্য ভিসা হয়ে যাওয়ার ফলে বেশ ভারি যন্ত্র লাগে। সেগুলো বয়ে নিয়ে গিয়ে শিবির করা বোধহয় সম্ভব হবে না এ মুহুর্তে।” কিন্তু ভবিষ্যতে যদি ভিসা আউটসোর্সিং করে দেওয়া হয়, তাহলে একটা সমাধানের পথ বের হতে পারে বলে মনে করেন মি. হাসান। ভারত আর বাংলাদেশের রেল কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বড় স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি প্রথম ৮৪ কিলোমিটার পথ ভারতের মধ্যে দিয়ে আর বাকি ৪৪৬ কিলোমিটার পথ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাবে।