এখনকার তরুণরা তো অধিকাংশই চিন্তা করার সুযোগ পায় না। আমাদের সময় আমরা চিন্তা করার সুযোগ পেতাম, কল্পনা করার সুযোগ পেতাম।
এখন অসুবিধাটা কোথায়? এখন কোনো তরুণ কল্পনা করতে পারে না।
আমরা বই পড়তাম। ধরুন আপনি একটা উপন্যাসই পড়ছেন। উপন্যাস যখন পড়ছেন পুরো দৃশ্যপটটা আপনি কল্পনা করছেন এবং আপনার ব্রেন কিন্তু এক্টিভেটেড হচ্ছে।
আর যখন আপনি একটা ভিডিও দেখছেন আপনার ব্রেনের কিছুই করার নাই। আপনি তো আর কল্পনা করতে পারছেন না। আপনি দেখে ফেলছেন। যখন দেখে ফেলছেন তখন তো আপনি কল্পনা করতে পারবেন না। আপনি ব্রেনের শক্তিটাকে ব্যবহার করতে পারবেন না।
এজন্যে কী করবেন? বাচ্চাদের হাতে এই মোবাইল স্মার্টফোন এগুলো দেবেন না। বাচ্চা অটিস্টিক হয়ে যাবে। কারণ তার ব্রেন তো ডেভেলপ করবে না। তার তো কল্পনা করার কোনো প্রয়োজন নাই। সবই দেখছে।
সো ব্রেন বিকেম ইনএকটিভ। কারণ যখন আপনি একটা ভিডিও দেখছেন ব্রেনের করার কিছু নাই। আপনি সবকিছুই দেখছেন।
আর যখন আপনি পড়ছেন, পড়ার সাথে সাথে কল্পনায় ঐ দৃশ্যটা চলে আসছে, ব্রেন ঐ দৃশ্যটাকে কল্পনা করে ফেলছে।
আচ্ছা এই ছিল… আচ্ছা নদীর ধারে বসে আছে। আচ্ছা কীভাবে বসে আছে? সে এভাবে বসে আছে। ব্রেন সাথে সাথে দৃশ্যপটগুলো কল্পনা করে নিচ্ছে।
[প্রজ্ঞা জালালি, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯]