ভোলার চরফ্যাশনে নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার দিনভর একটানা ভারী বর্ষণ ও ঘুর্ণি বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় নদী ও সাগর মোহনা উত্তাল হয়ে ওঠেছে। নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হয়েছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচর ও চর নিজাম কুকরি-মুকরি, চর পাতিলার সহ নিম্মাঞ্চল। পনিতে তলিয়ে গেছে বসত ভিটে, ধসে পরেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের বসতঘর। ঘূর্ণি বাতাসের কবলে পড়ে মঙ্গলবার সকালে জেলেদের ৫টি মাছ ধরার নৌকা ডুবে গেছে। ৩২ জেলে নিখোঁজ হলেও কোষ্টগার্ড এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। ৩টি ট্রলার ও জাল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও ২টি ট্রলার ও জাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে ঢালচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। ঢালচর ইউনিয়নে ঢালচর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ঢালচর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে বিধস্ত হয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে।
চর কুকরি-মুকরি ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন বলেন, সারাদিন তীব্র বাতাস ও একটানা ভারী বর্ষণ ও নদীর পানি প্রবেশ করে চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলার দুই গ্রাম ও বাধের বাহিরে পাঁচ শতাধিক পুকুর ও খামারের মাছ, গবাদি পশু ভেসে গেছে। ধসে পড়েছে পাকা সড়ক। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ছোট ছোট নৌ-যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্র ছেড়ে তীরে এসে পৌছেছেন।
ঢালচরের ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম হাওলাদার বলেন , নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২/৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে ঢালচর ও মুজিব নগর ইউনিয়নের সিকদারচর, চর কলমী ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে বসত ভিটে। প্রবল জোয়ারের তোড়ে ধসে পড়েছে বসত ঘরসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া গবাদি পশুর খাদ্যের তীব্র সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। এসব চরের ঘর-বাড়ির, হাঁস-মুরগীসহ গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা রেডক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মেচপা উর রশিদ বলেন, ভোলার চরফ্যাশনের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে এ অঞ্চলে তিন নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। নিম্মাঞ্চলের পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য সেচ্ছাসেবকরা মাইক প্রচার করেছেন। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।