কিছুক্ষণ আগেই ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। তাই আর্জেন্টিনা সমর্থক অনেকের মাঝেই শংকা ছিল- একই রাতে আরেকটি অঘটন ঘটবে না তো? নাটকীয়ভাবে খেলা গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। তবে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলল আর্জেন্টিনা। মূল সময়ের দুই গোলের একটি করেছেন মেসি, অন্যটিতে রেখেছেন অবদান।
টাইব্রেকারও তিনি একটি গোল করেছেন।
লুসাইল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই আক্রমণাত্বক ফুটবল খেলছিল। তবে উল্লেখযোগ্য সুযোগ মিলছিল না। ৩৩ তম মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন ডাচ গোলকিপার। সেটিই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম শট। এর দুই মিনিট পরই আর্জেন্টিনাকে আনন্দে ভাসিয়ে দেন নাহুয়েল মোলিনা। শুরু থেকেই কড়া মার্কিংয়ে থাকা মেসিকে এবার আটকানো যায়নি। ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে বেশ কয়েকজন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে পাস দেন মোলিনাকে। ডি-বক্সের মুখে প্রথম ছোঁয়ায় বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ডিফেন্ডার। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে আর্জেন্টিনা।
বিরতির পর ৭১তম মিনিটে পেনাল্টি পায় আর্জেন্টিনা। আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে ডি বক্সের ভেতর আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্কোস আকুনাকে ফাউল করে বসেন ডাচ ডেনজেল ডামফ্রিস। এই বিশ্বকাপেই পেনাল্টি মিস করা মেসি এবার আর ভুল করেননি। ঠাণ্ডা মাথায় বাঁকানো শটে বল জালে জড়িয়ে দেন। ৮২তম মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে নেদারল্যান্ডস। ডানদিক থেকে সতীর্থের ক্রস ১২ গজ বক্সে পেয়ে দারুন গোলে স্কোরলাইন ২-১ করে ফেলেন ওউট ওয়েঘোর্স্ট। ৮৮তম মিনিটি লিওনেল পারদেস প্রতিপক্ষককে মারাত্মক ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন। ডাগ আউট থেকে ডাচ খেলোয়াড়েরা ছুটে মাঠে ঢুকে পারদেসের ওপর চড়াও হয়। অবশ্য খুব দ্রুতই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যোগ করা ১০ মিনিট সময়ে ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ওউট ওয়েঘোর্স্ট। ম্যাচে ফিরে সমতা। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে! সেই অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোল করতে পারেনি। তাই অবধারিতভাবে টাইব্রেকার। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-৩ গোলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। ৩-৩ সমতা থাকার পর জয়সূচক গোলটি করেন লাউতারো মার্টিনেজ।