1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন

যাকাত কী ও কেন?

  • সময় মঙ্গলবার, ৪ মে, ২০২১
  • ১২১৭ বার দেখা হয়েছে

যাকাত ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের অন্যতম। কোনো ব্যক্তি যখন কালেমা পড়ে ইসলামের সীমার মধ্যে দাখিল হয়, তখন থেকেই ইসলামের যাবতীয় বিধি-নির্দেশ মেনে চলা তার জন্যে অপরিহার্য। যাকাত আদায় করা সচ্ছল মুসলমানের প্রতি সৃষ্টিকর্তার অলঙ্ঘনীয় নির্দেশ। কোনো মুসলমানের স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এ নির্দেশ অমান্য করার অর্থই হলো আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে মুনাফেকি করা।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই যারা সত্যে বিশ্বাস করে, সৎকর্ম করে, নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তাদের প্রতিফল তাদের প্রতিপালকের কাছে সংরক্ষিত। তাদের কোনো ভয় বা পেরেশানি থাকবে না। বাকারা : ২৭৭

সূরা তওবার ৭১ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন, “আর বিশ্বাসী নর হোক বা নারী, তারা একে অপরের সাথি। এরা পরস্পরকে সৎ কাজে উদ্বুদ্ধ করে আর পাপ-অন্যায় থেকে বিরত রাখে। তারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আনুগত্য করে। এরাই আল্লাহর রহমতের ছায়ায় থাকবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

বিদায় হজের ভাষণে রসুলুল্লাহ (স) বলেন, হে মানুষ ! তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে। নামাজ কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রোজা রাখবে, হজ করবে আর সঙ্ঘবদ্ধভাবে নেতাকে অনুসরণ করবে, তাহলে তোমরা জান্নাতে দাখিল হতে পারবে।

যাকাত শব্দের অর্থ পবিত্র করা, পরিশুদ্ধ করা বা প্রবৃদ্ধি দান করা। শরিয়তের ভাষায়, সুনির্ধারিত সম্পদ সুনির্ধারিত শর্তে তার হকদারকে অর্পণ করা। এক কথায় কোনো মুসলমান আল্লাহ নির্ধারিত (নিসাব) পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে এবং তা এক বছর পর্যন্ত তার কাছে থাকলে তার নির্ধারিত পরিমাণ অংশ হকদারের কাছে পৌঁছে দেয়াকে যাকাত বলা হয়। সুনির্ধারিত অংশটি শরিয়তসম্মতভাবে আদায় না করলে গোটা সম্পদই মুমিনের জন্যে হারাম হয়ে যায়।

যাকাত একটি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ব্যবস্থা

২য় হিজরিতে যাকাত ফরজ হওয়ার পর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মহানবী (স) যাকাত ব্যবস্থা চালু করেন। যাকাত আদায়ে যাকাতের নিসাব এবং খরচের খাত নির্ধারণ করে একে একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তোলেন। হযরত মা’আজ ইবনে জাবাল (রা)-কে ইয়েমেনের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দান করে রসূল (স) ঘোষণা দেন- তাদের জানিয়ে দাও যে, তাদের ধন-মালে আল্লাহ তায়ালা সদকা-যাকাত ফরজ করে দিয়েছেন, যা তাদের ধনী লোকদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে ও গরীব বা ফকিরদের মাঝে বণ্টন করা হবে। (বোখারী, মুসলিম)

এসব সুস্পষ্ট নির্দেশের আলোকেই ইসলামের প্রখ্যাত ভাষ্যকারগণ বলেছেন, যে লোক কোরআন ও সুন্নাহর সরাসরি নির্দেশ অস্বীকার করবে, তার ফরজ হওয়াকে অমান্য করবে, সে নির্ঘাত কাফির বলে গণ্য হবে। (আল্লামা ইউসুফ আল কারযাভীকৃত ইসলামের যাকাত বিধান, ১ম খণ্ড, পৃ- ১০১)

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com