1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নতুন বছর,নতুন বাংলাদেশ রক্তের বিকল্প শুধুই রক্ত তাই সেবাদানের ক্ষেত্রে রক্তদাতারা সমাজে উজ্জ্বল নক্ষত্র দীর্ঘসূত্রিতা : ধর্মীয় ব্যাখ্যা প্রতিভাবানদের সাফল্যের রহস্য কী? পান্তা-ইলিশ নয়, পান্তাপিয়া দিয়েই আসুন আমরা আয়োজন করি আমাদের বৈশাখী ঢাকা কোয়ালিফাইন লীগে ঢাকা ডায়মন্ডস স্পোর্টিং ক্লাবের বড় জয় কালোজিরা : নবীজী (স) যাকে বলেছেন মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের শেফা! নসিবো ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া থেকে সতর্ক থাকুন AABAD Khulna University এর অর্থায়নে ও এবং এন এফ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ । ঈদের বেতন-বোনাস পায়নি৭ কারখানার শ্রমিকরা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে চীন ও ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের

  • সময় শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৭০৯ বার দেখা হয়েছে

বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে অন্য প্রতিযোগী দেশের ধরাছোঁয়ার বাইরে চীন। ভিয়েতনাম হঠাৎ করে চমকে দিয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানির মুকুটও কেড়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বরাবরই চীন ও ভিয়েতনামের দাপট। বর্তমানে বাংলাদেশের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি পোশাক রপ্তানি করে দেশ দুটি। তবে এবার একসঙ্গে চীন ও ভিয়েতনামকে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ।

চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) বাজারটিতে বাংলাদেশ ৩৭০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে চীন ও ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে যথাক্রমে ৯১৩ ও ৮০৭ কোটি ডলারের পোশাক। এতে চীনের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর ভিয়েতনামের রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

অবশ্য বাজারটিতে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে গেছে ভারত। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ভারত ২৩১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ হাজার ২৩৬ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছেন।

এই আমদানি গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাইয়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। তার মানে, সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র যে পরিমাণ পোশাক আমদানি বাড়িয়েছে, বাংলাদেশের রপ্তানি তার চেয়ে ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশি পোশাকের বড় বাজার। তবে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রপ্তানি কমে যায়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে।

ইতোমধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নেও ব্যাপক অগ্রগতি হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। গত বছরও শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য করোনার থাবায় রপ্তানি নিম্নমুখী হতে থাকে। বছর শেষে ৫২২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়।

করোনার মধ্যেও চলতি বছর পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বাজার হিস্যাও কিছুটা বেড়েছে। গত বছর বাংলাদেশের বাজার হিস্যা ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ হয়েছে। যদিও ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর চীনের ক্ষেত্রে সেটি ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি সামনের মাসগুলোতে আরও বাড়বে। কারণ, কারখানাগুলোতে ক্রয়াদেশের ভালো চাপ আছে।’

সূত্র : প্রথম আলো (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১)

নতুন মন্তব্য

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com