1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন

রাজশাহী মেডিকেলের করোনা ইউনিট বন্ধ ঘোষণা

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২
  • ৭৬১ বার দেখা হয়েছে

করোনামুক্ত হয়েছে রাজশাহী। চলতি মাসে রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। ফলে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় চালু করা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ড ‘করোনা ইউনিট’। ১৩ মে ২০২২ এই ওয়ার্ডটি বন্ধ ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় ওই মৃত্যু হয়েছিল। একই সালের ২৮ জুনও মৃত্যু ছিল ২৫ জন। মারা যাওয়া ২৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আর চারজন শ্বাসকষ্ট নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তারা করোনা নেগেটিভ ছিলেন।

রাজশাহীতে মেডিকেলে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ ছিল। হাসাপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। হাসপাতালে মোট করোনা ডেডিকেটেড শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৪৫৪ টিরও বেশি। তবে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। করোনা ইউনিটের প্রতিটি ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দা কাণায় কাণায় পূর্ণ ছিল। প্রতিদিনই ছিল করোনায় মৃত রোগীর স্বজনদের আহাজারী।

এ বছরের শুরু থেকেই করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ নিম্নমুখী হতে থাকে। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ থেকে ৬ জন। সংক্রমণের পরিমাণ মাসের প্রথম থেকেই শূন্য। ১৩ মে সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটিই ‘শূন্য’।

২০২০ সালের মার্চের দিকে এই হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষায়িত ‘করোনা ইউনিট’ তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘ দু’বছরে সবার তিক্ত অভিজ্ঞতার অবসানে করোনামুক্ত হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনাকালের সেই মৃত্যুর দৃশ্য এখন আর নেই। সে সময় করোনা আক্রান্ত রোগীর কষ্ট এবং স্বজন হারানোর আহাজারী ছিল নিত্যদিনের বিষয়। মাত্র ২০ শয্যার আইসিইউ আর শতাধিক রোগীর অপেক্ষার প্রহর। মহামারী পরিস্থিতির সেই টালমাটাল জনজীবন এখন স্বাভাবিক।

তিনি জানান, শুক্রবার মেডিকেলের করোনা ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে মাত্র দু’তিন জন করোনার লক্ষণ নিয়ে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ১২ মে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আপাতত এখন রোগী নেই। তবে যদি দু’জন রোগী করোনার লক্ষণ নিয়ে আসে তাদের রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল (আইডিএইচ) এ পাঠানো হবে।

 

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ মে, ২০২২)

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com